নীলফামারীর সৈয়দপুর
রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
নীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে চুরির ঘটনা, বাড়ছে সামাজিক অশান্তি। অভিযোগ রয়েছে, এসব আসরের কথা জেনেও পুলিশ নিশ্চুপ। তবে পুলিশের দাবি, জুয়া বন্ধে তারা সোচ্চার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রেললাইনের পাড়, খেলার মাঠ, পাড়া-মহল্লা, অলিগলি ও খুপরি ঘরে আড়ালে-আবডালে প্রতিদিন বসছে জুয়ার আসর। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে জুয়া খেলা। এসব আসরে কয়েকজন বড় ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার এবং বয়সী মানুষ অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে উঠতি বয়সীদের সংখ্যাই বেশি।
স্থানীয় সূত্র বলেছে, সৈয়দপুর শহরের এক নম্বর রেলগেটসংলগ্ন বানিয়াপাড়া থেকে গোলাহাট পর্যন্ত রেললাইনের পাড়ে ২০-৩০টি স্পটে জুয়ার আসর বসে প্রতিদিন। এ ছাড়া রেলওয়ে মাঠ, ফিদা-আলী মাঠ, কয়ানিজাপাড়া, কাজিপাড়া, বাঙ্গালীপুর, সাহেবপাড়া, মিস্ত্রিপাড়াসহ শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় অর্ধশতাধিক স্পটে বসে জুয়ার আসর। এগুলো ছাড়াও সৈয়দপুর পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডে এবং পাঁচটি ইউনিয়নেও শতাধিক স্পট রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জুয়াড়ি বলেন, উপজেলায় সব মিলিয়ে প্রায় দেড় শ জুয়ার স্পট রয়েছে। স্পটগুলোর মধ্যে অল্প কিছু আছে, যেখানে ছোট পরিসরে বসে। বাকিগুলো বড়। এগুলোকে বলা হয় ‘চোরাই বোর্ড’। এই চোরাই বোর্ডগুলো পরিচালনা করেন মূলত ইমরুল কায়েস, বাদশা ও রাজু আহম্মেদ নামের তিনজন। স্পটগুলোতে প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয়।
জুয়ার আসরের আয়োজক হিসেবে অভিযুক্ত ইমরুল কায়েস, বাদশা ও রাজু আহম্মেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা বলেছেন, অনেক পরিবার এখন জুয়ার কারণে সর্বস্বান্ত। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে চুরির ঘটনা। উপজেলা শহরের ইসলামবাগ বড় মসজিদ এলাকার বাসিন্দা মতিউর রহমান বলেন, ‘জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে এবং জুয়ার টাকা নিয়ে প্রায় মারামারির ঘটনা ঘটছে। এতে এলাকার পরিবেশ অশান্ত হয়ে উঠছে।’
কয়ানিজপাড়া এলাকার রবিউল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘জুয়ার নেশা মাদকের মতো ভয়ংকর। এ নেশায় পড়ে সৈয়দপুরের একাধিক বড় ব্যবসায়ী এখন নিঃস্ব। এ ব্যাপারে প্রশাসন শক্ত অবস্থান না নিলে আরও অনেকে নিঃস্ব হয়ে যাবেন।’
এ বিষয়ে কথা হলে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফইম উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার এ কর্মস্থলে আসার বেশি দিন হয়নি, তাই জুয়ার আসর সম্পর্কে জানা নেই। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিসহ মাদক ও জুয়া বন্ধে পুলিশ সোচ্চার রয়েছে।’ জুয়া বন্ধে পুলিশকে সহায়তা করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান ওসি ফইম উদ্দীন।
নীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে চুরির ঘটনা, বাড়ছে সামাজিক অশান্তি। অভিযোগ রয়েছে, এসব আসরের কথা জেনেও পুলিশ নিশ্চুপ। তবে পুলিশের দাবি, জুয়া বন্ধে তারা সোচ্চার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রেললাইনের পাড়, খেলার মাঠ, পাড়া-মহল্লা, অলিগলি ও খুপরি ঘরে আড়ালে-আবডালে প্রতিদিন বসছে জুয়ার আসর। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে জুয়া খেলা। এসব আসরে কয়েকজন বড় ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার এবং বয়সী মানুষ অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে উঠতি বয়সীদের সংখ্যাই বেশি।
স্থানীয় সূত্র বলেছে, সৈয়দপুর শহরের এক নম্বর রেলগেটসংলগ্ন বানিয়াপাড়া থেকে গোলাহাট পর্যন্ত রেললাইনের পাড়ে ২০-৩০টি স্পটে জুয়ার আসর বসে প্রতিদিন। এ ছাড়া রেলওয়ে মাঠ, ফিদা-আলী মাঠ, কয়ানিজাপাড়া, কাজিপাড়া, বাঙ্গালীপুর, সাহেবপাড়া, মিস্ত্রিপাড়াসহ শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় অর্ধশতাধিক স্পটে বসে জুয়ার আসর। এগুলো ছাড়াও সৈয়দপুর পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডে এবং পাঁচটি ইউনিয়নেও শতাধিক স্পট রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জুয়াড়ি বলেন, উপজেলায় সব মিলিয়ে প্রায় দেড় শ জুয়ার স্পট রয়েছে। স্পটগুলোর মধ্যে অল্প কিছু আছে, যেখানে ছোট পরিসরে বসে। বাকিগুলো বড়। এগুলোকে বলা হয় ‘চোরাই বোর্ড’। এই চোরাই বোর্ডগুলো পরিচালনা করেন মূলত ইমরুল কায়েস, বাদশা ও রাজু আহম্মেদ নামের তিনজন। স্পটগুলোতে প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয়।
জুয়ার আসরের আয়োজক হিসেবে অভিযুক্ত ইমরুল কায়েস, বাদশা ও রাজু আহম্মেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা বলেছেন, অনেক পরিবার এখন জুয়ার কারণে সর্বস্বান্ত। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে চুরির ঘটনা। উপজেলা শহরের ইসলামবাগ বড় মসজিদ এলাকার বাসিন্দা মতিউর রহমান বলেন, ‘জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে এবং জুয়ার টাকা নিয়ে প্রায় মারামারির ঘটনা ঘটছে। এতে এলাকার পরিবেশ অশান্ত হয়ে উঠছে।’
কয়ানিজপাড়া এলাকার রবিউল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘জুয়ার নেশা মাদকের মতো ভয়ংকর। এ নেশায় পড়ে সৈয়দপুরের একাধিক বড় ব্যবসায়ী এখন নিঃস্ব। এ ব্যাপারে প্রশাসন শক্ত অবস্থান না নিলে আরও অনেকে নিঃস্ব হয়ে যাবেন।’
এ বিষয়ে কথা হলে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফইম উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার এ কর্মস্থলে আসার বেশি দিন হয়নি, তাই জুয়ার আসর সম্পর্কে জানা নেই। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিসহ মাদক ও জুয়া বন্ধে পুলিশ সোচ্চার রয়েছে।’ জুয়া বন্ধে পুলিশকে সহায়তা করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান ওসি ফইম উদ্দীন।
রোববার রাত ৮টার দিকে ৫৮ বিজিবির অধীনস্থ গয়েশপুর বিওপির হাবিলদার শিশিরের নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্ত ইউনিয়নের পিচমোড় থেকে আটটি স্বর্ণের বার এবং ছোট একটি স্বর্ণের টুকরাসহ গয়েশপুরের তেতুল মণ্ডলের ছেলে মো. মমিনকে আটক করে। তিনি বাইসাইকেলে স্বর্ণের বারগুলো ভারতে পাচার করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
৫ মিনিট আগেইজারাদার ফরহাদ তালুকদার ও তাঁর সহযোগীরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে রোববার পশুর হাট বসিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছেন। আমি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
৮ মিনিট আগেগত রমজানের শুরুতে হঠাৎ ধরা পড়ে তার ব্লাড ক্যানসার। আর্থিক সংকটে প্রাথমিক চিকিৎসার পর থেমে যায় তার চিকিৎসা কার্যক্রম। বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলার মানবিক স্বেচ্ছাসেবীরা এগিয়ে আসেন। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে সাহায্য চেয়ে তারা প্রায় পৌনে তিন লাখ টাকা সংগ্রহ করেন।
১১ মিনিট আগেরাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৫ ঘণ্টা আগে