নীলফামারী ও ডোমার প্রতিনিধি
স্ত্রী স্বীকৃতির দাবি নিয়ে নীলফামারীর ডোমারে ছাত্রলীগের নেতার বাড়িতে অনশন করেন এক নারী। এ ঘটনায় গোপনে পালাতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে আটক হন ওই নেতা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে আজ শুক্রবার ভুক্তভোগীর করা মামলায় আটক ছাত্রলীগের ওই নেতাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটে ডোমার উপজেলার পৌর এলাকার ছোটরাউতা সাহাপাড়ায়। অভিযুক্ত অভিজিৎ সর্বজ্ঞ পাপন ডোমার পৌর এলাকার ছোটরাউতা সাহাপাড়া এলাকার দেবরঞ্জন সর্বজ্ঞের ছেলে। তিনি ডোমার পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার ওই নারী (২৯) ছাত্রলীগের নেতা পাপনের বাড়িতে স্ত্রী স্বীকৃতির দাবি নিয়ে অবস্থান নেন। এ সময় তাঁকে বাড়ি থেকে বের করার জন্য মারধর করেন অভিজিৎ সর্বজ্ঞ পাপন (৩০)। ওই নারীর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন। খবর পেয়ে ডোমার থানার পুলিশ ছুটে আসে ঘটনাস্থলে। টের পেয়ে সবার অগোচরে বাড়ির পেছন দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন ছাত্রলীগের ওই নেতা।
এলাকাবাসী ও পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তাঁকে আটক করে। পালানোর সময় দৌড় দিলে পুকুরের পাড় থেকে পড়ে পায়ে আঘাত পান তিনি। পরে পুলিশ হেফাজতে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়।
অন্যদিকে ভুক্তভোগী ওই নারী নীলফামারী শহরের বাসিন্দা। তাঁর বিয়ে হয় সিরাজগঞ্জের এক যুবকের সঙ্গে। স্বামীর পরিবারের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় গর্ভবতী অবস্থায় বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন। পরে ডোমারে একটি এনজিওতে চাকরি পেয়ে কর্মস্থলে অবস্থান করেন। এ সময়ে পরিচয় হয় ডোমার পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি পাপনের সঙ্গে।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, ‘পাপনের সঙ্গে ২০১৩ সালে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত হই। ২০১৪ সালে পঞ্চগড়ের বোদেশ্বরি মন্দিরে আমরা বিয়ে করি। বিয়ে গোপন রাখার জন্য সে বারবার অনুরোধ করে। কারণ হিসেবে বলে, তার মায়ের হার্টের সমস্যা। মাকে ম্যানেজ করে আমাকে ঘরে তুলে নেবে। এরপর ডোমার ও নীলফামারী শহরের বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি ভাড়া করে সংসার করে আসছিলাম।’
ওই নারী বলেন, ‘এক মাস থেকে পাপন আমার সঙ্গে দেখা করে না, খোঁজখবরও রাখে না। এমনকি আমার মোবাইল কলও রিসিভ করে না। সে অনেক ক্ষমতাবান। সে বলে মন্ত্রী, নেতা, পুলিশ সব তার পকেটে। এখন সে আমাকে স্ত্রী বলে স্বীকার করছে না। আমি যেখানে ভাড়া ছিলাম, সেখানে গিয়ে জিজ্ঞেস করলে বুঝতে পারবেন আমার স্বামী কে?’
ওই নারী আরও বলেন, ‘আমার জীবন-যৌবন সব শেষ করে এখন আমাকে স্ত্রী হিসেবে মানে না। আমাকে খারাপ বানানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছে। আমার তিন মাসের পেটের বাচ্চা নষ্ট করে দিয়েছে। বাধ্য হয়ে আমি তার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছি স্ত্রীর মর্যাদা পেতে। আমি স্ত্রীর মর্যাদা চাই।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত অভিজিৎ সর্বজ্ঞ পাপন বলেন, ‘ওই নারীর তিনজন স্বামী। সে মানুষকে ব্ল্যাকমেল করে টাকা আদায় করে। আমাকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে এখন টাকা চায়। তার একটা ছেলে আছে। আমি একজন অবিবাহিত হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্রাহ্মণ ছেলে। আমার সম্পর্কে এলাকায় সবাই ভালো জানে। সে পরিকল্পিতভাবে আমার মাকে মারধর করে বাড়িতে ঢুকেছে।’
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ শুক্রবার ভুক্তভোগী নারীর দায়ের করা মামলায় পাপনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সন্ধ্যায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছেন।’
এদিকে ডোমার পৌর ছাত্রলীগের সভাপতির বিয়ে নিয়ে কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আলোচনার ঝড় বইছিল। ইতিমধ্যে ওই নারীর সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা অভিজিৎ সর্বজ্ঞ পাপনের একাধিক ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্ত্রী স্বীকৃতির দাবি নিয়ে নীলফামারীর ডোমারে ছাত্রলীগের নেতার বাড়িতে অনশন করেন এক নারী। এ ঘটনায় গোপনে পালাতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে আটক হন ওই নেতা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে আজ শুক্রবার ভুক্তভোগীর করা মামলায় আটক ছাত্রলীগের ওই নেতাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটে ডোমার উপজেলার পৌর এলাকার ছোটরাউতা সাহাপাড়ায়। অভিযুক্ত অভিজিৎ সর্বজ্ঞ পাপন ডোমার পৌর এলাকার ছোটরাউতা সাহাপাড়া এলাকার দেবরঞ্জন সর্বজ্ঞের ছেলে। তিনি ডোমার পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার ওই নারী (২৯) ছাত্রলীগের নেতা পাপনের বাড়িতে স্ত্রী স্বীকৃতির দাবি নিয়ে অবস্থান নেন। এ সময় তাঁকে বাড়ি থেকে বের করার জন্য মারধর করেন অভিজিৎ সর্বজ্ঞ পাপন (৩০)। ওই নারীর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন। খবর পেয়ে ডোমার থানার পুলিশ ছুটে আসে ঘটনাস্থলে। টের পেয়ে সবার অগোচরে বাড়ির পেছন দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন ছাত্রলীগের ওই নেতা।
এলাকাবাসী ও পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তাঁকে আটক করে। পালানোর সময় দৌড় দিলে পুকুরের পাড় থেকে পড়ে পায়ে আঘাত পান তিনি। পরে পুলিশ হেফাজতে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়।
অন্যদিকে ভুক্তভোগী ওই নারী নীলফামারী শহরের বাসিন্দা। তাঁর বিয়ে হয় সিরাজগঞ্জের এক যুবকের সঙ্গে। স্বামীর পরিবারের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় গর্ভবতী অবস্থায় বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন। পরে ডোমারে একটি এনজিওতে চাকরি পেয়ে কর্মস্থলে অবস্থান করেন। এ সময়ে পরিচয় হয় ডোমার পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি পাপনের সঙ্গে।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, ‘পাপনের সঙ্গে ২০১৩ সালে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত হই। ২০১৪ সালে পঞ্চগড়ের বোদেশ্বরি মন্দিরে আমরা বিয়ে করি। বিয়ে গোপন রাখার জন্য সে বারবার অনুরোধ করে। কারণ হিসেবে বলে, তার মায়ের হার্টের সমস্যা। মাকে ম্যানেজ করে আমাকে ঘরে তুলে নেবে। এরপর ডোমার ও নীলফামারী শহরের বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি ভাড়া করে সংসার করে আসছিলাম।’
ওই নারী বলেন, ‘এক মাস থেকে পাপন আমার সঙ্গে দেখা করে না, খোঁজখবরও রাখে না। এমনকি আমার মোবাইল কলও রিসিভ করে না। সে অনেক ক্ষমতাবান। সে বলে মন্ত্রী, নেতা, পুলিশ সব তার পকেটে। এখন সে আমাকে স্ত্রী বলে স্বীকার করছে না। আমি যেখানে ভাড়া ছিলাম, সেখানে গিয়ে জিজ্ঞেস করলে বুঝতে পারবেন আমার স্বামী কে?’
ওই নারী আরও বলেন, ‘আমার জীবন-যৌবন সব শেষ করে এখন আমাকে স্ত্রী হিসেবে মানে না। আমাকে খারাপ বানানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছে। আমার তিন মাসের পেটের বাচ্চা নষ্ট করে দিয়েছে। বাধ্য হয়ে আমি তার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছি স্ত্রীর মর্যাদা পেতে। আমি স্ত্রীর মর্যাদা চাই।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত অভিজিৎ সর্বজ্ঞ পাপন বলেন, ‘ওই নারীর তিনজন স্বামী। সে মানুষকে ব্ল্যাকমেল করে টাকা আদায় করে। আমাকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে এখন টাকা চায়। তার একটা ছেলে আছে। আমি একজন অবিবাহিত হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্রাহ্মণ ছেলে। আমার সম্পর্কে এলাকায় সবাই ভালো জানে। সে পরিকল্পিতভাবে আমার মাকে মারধর করে বাড়িতে ঢুকেছে।’
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ শুক্রবার ভুক্তভোগী নারীর দায়ের করা মামলায় পাপনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সন্ধ্যায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছেন।’
এদিকে ডোমার পৌর ছাত্রলীগের সভাপতির বিয়ে নিয়ে কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আলোচনার ঝড় বইছিল। ইতিমধ্যে ওই নারীর সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা অভিজিৎ সর্বজ্ঞ পাপনের একাধিক ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে বলে জানা গেছে।
ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা থেকে এই পথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। আজ শনিবার সকাল ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
৫ মিনিট আগেমাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের পূর্ব রাস্তি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৮ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৮ ঘণ্টা আগে