Ajker Patrika

তীব্র শীতে কাবু দিনাজপুরের মানুষ

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪: ৫৯
তীব্র শীতে কাবু দিনাজপুরের মানুষ

দিনাজপুরে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। গত চার দিনের ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে কাবু হয়ে পড়েছে দিনাজপুরবাসী। রাতভর বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। অনেক বেলা অবধি কুয়াশায় চারদিক ঢেকে থাকে। দূরপাল্লার যানবাহন চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও দেখা মিলছে না সূর্যের। 

জেলা আবহাওয়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসে আর্দ্রতা ছিল শতভাগ। সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। 

প্রচণ্ড শীতের কারণে কাজে বের হতে পারছেন না খেটে খাওয়া মানুষ। সন্ধ্যার পরে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছে না। রাস্তাঘাটে মানুষ ও যানবাহন চলাচল কমে গেছে। 

বেলা বাড়লেও কুয়াশা কমেনি। দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায়। ছবি: আজকের পত্রিকাবুধবার সকালে বিরল উপজেলার জয়নুল মুদিখানা এলাকায় চায়ের দোকানে আলাপচারিতায় আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা তো এইবার ভাবিছুনো শীত হবে নাই। কিন্তু গত ৩-৪ দিন থাকি তো ঠান্ডায় কাবু হই গেইছি। এত ঠান্ডা যে নড়াচড়া করা যায় না।’ 

দিনাজপুরে এই ঠান্ডা বাতাস ও কুয়াশা শুরু হয়েছে গত শনিবার থেকে। এরপর থেকে ক্রমাগতভাবে তাপমাত্রা কমছে। এর আগে গত শনিবার জেলার তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি, রোববারে ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি এবং সোমবারে তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল মঙ্গলবার দিনাজপুরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

শহরের মডার্ণ মোড় এলাকায় অটোচালক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘এত ঠান্ডা যে বাড়ি থাকি বাহির হইতেই ১১টা বাজি যাছে। আর তাড়াতাড়ি বাহির হইয়াও লাভ হছে নাই। রাস্তা লোকজনই থাকে না। কামাই হছে অর্ধেক। জিনিসপাতির যা দাম, দিন চালানোই মুশকিল।’ 

দিনাজপুর আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত শুক্রবারের পর থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আকাশের উপরিভাগে ঘন কুয়াশা থাকায় সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে পুরোপুরি আসছে না। এ জন্য বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। আগামী দুই দিন মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকতে পারে। 

এদিকে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান আজকের বলেন, সাধারণ মানুষের যেন কষ্ট না হয়, সে জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলায় ৫৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে আরও ৪ হাজার কম্বল বিতরণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত