Ajker Patrika

ভাদ্রের ভারী বর্ষণে দুশ্চিন্তায় আমনচাষিরা

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২৩, ১৭: ৩৩
Thumbnail image

শ্রাবণ শেষে চলছে ভাদ্র মাস। এমন সময় ভারী বর্ষণ হচ্ছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে বেড়েছে নদ-নদীর পানি। এমন অবস্থায় দুশ্চিন্তায় আমনচাষিরা। 

আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তুহিন মিয়া।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যা থেকে ভারী বর্ষণের ফলে উপজেলার জেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন জেলার খেটে খাওয়া মানুষ ও দিনমজুরেরা। 

এদিকে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নিচু এলাকার আমনখেত তলিয়ে গেছে। বাড়ছে নদীর পানি। বন্যার আশঙ্কা করছেন নদী পাড়ের মানুষেরা। দুশ্চিন্তার আছেন আমনচাষিরা। 

ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের কবিরমামুদ গ্রামের হুজুর আলী বলেন, ‘কিছুদিন আগে বৃষ্টির পানিতে আমার আমনখেত তলিয়ে ক্ষতি হয়েছিল। পরে পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর আবারও নতুন করে জমিতে ধান রোপণ করেছি। আবার যদি পানি বাড়ে তাহলে ধান নষ্ট হয়ে যাবে। তাহলে আমার কী হবে? আমার আর ক্ষমতা নাই যে আবারও নতুন করে ধান রোপণ করব।’ 

উপজেলার নাওডাঙ্গা গ্রামের কৃষক মাইদুল হক বলেন, ‘দুই বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ করেছি। গতকাল থেকে আকাশের অবস্থা ভালো না। বৃষ্টি রাত থেকে সমানে চলছে। এ রকম বৃষ্টি থাকলে তো বন্যা হবে। এবার ধান নষ্ট হয়ে গেলে বড় ক্ষতির মুখে পরব।’

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া বলেন, আগামী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। 

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আগামী ২৬ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বাড়তে পারে। ফলে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এখনো সবগুলো নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিপৎসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা অনেক কম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত