কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ অনন্তপুর গ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ ওঠার পর প্রেমিকসহ কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার সকালে তাঁদের জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়ন থেকে উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নওয়াবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উদ্ধারের পর ওই কিশোরী ও তার প্রেমিককে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে ওই কিশোরী। জবানবন্দিতে সে অপহরণের শিকার হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সে বলেছে, চার বছরের প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমিকের জীবন বাঁচাতে স্বেচ্ছায় পালিয়ে বিয়ে করেছে।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত বুধবার বিকেলে দশম শ্রেণি পড়ুয়া ওই কিশোরীকে (১৭) ‘ঘোষণা দিয়ে অপহরণের’ অভিযোগ ওঠে একই গ্রামের বাসিন্দা আলিনুরের (২৬) বিরুদ্ধে। পরদিন বৃহস্পতিবার ফুলবাড়ী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন কিশোরীর বাবা। আজ সকালে কিশোরীকে উদ্ধার ও আলিনুরকে আটক করে পুলিশ।
আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে কিশোরী দাবি করেছে, চার বছর ধরে আলিনুরের সঙ্গে তার প্রেম। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রাম্য সালিসে আলিনুরকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। প্রেমিককে নির্যাতনের বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি ওই কিশোরী। এরপর পারিবারিকভাবে ওই যুবকের বিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তার কথাতেই আলিনুর স্ত্রীকে তালাক দেন বলেও জবানবন্দিতে জানায় কিশোরী।
তাঁর সঙ্গে প্রেমের ‘অপরাধে’ আলিনুরকে পিটিয়ে গ্রাম ছাড়া করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল দাবি করে ওই কিশোরী জবানবন্দিতে বলে, তার চাচা (বাবার মামাতো ভাই) সাম্প্রদায়িক ইস্যুতে আলিনুরকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেছেন। মুকুলসহ অনেকে বলেছেন, এই অভিযোগ তুলে তাঁরা আলিনুরকে পিটিয়ে গ্রামছাড়া করবে। বিষয়টি জানতে পেরে সে আলিনুরকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে।
কিশোরীর বয়স ১৮ পূর্ণ না হওয়ায় আলিনুর তাকে নিয়ে চলে যেতে অসম্মতি জানিয়েছিলেন বলে জবানবন্দিতে ওই কিশোরী উল্লেখ করেছে। ‘না হলে তোমাকে মারবে, চলো পালিয়ে যাই’, এই বলে সে আলিনুরকে বোঝানোর চেষ্টা করে। এরপর আলিনুরের সঙ্গে কুড়িগ্রাম শহরে গিয়ে অ্যাফিডেভিট করে স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হয়। এরপর মুন্সির (ইমাম) কাছে গিয়ে বিয়ে করে।
বাবা–মায়ের কাছে যেতে অসম্মতি, কিশোরী সেফ হোমে
আদালত সূত্র জানায়, বাবা–মায়ের হেফাজতে যেতে অসম্মতি জানালে আদালত কিশোরীকে রাজশাহীর মহিলা ও শিশু–কিশোরী নিরাপদ হেফাজতিদের আবাসনে (সেফ হোম) পাঠানোর আদেশ দেন। আদালত কিশোরীর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করে আলিনুরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ওসি নওয়াবুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের সত্যতা পাওয়া গেছে। কিশোরীর বাবার করা মামলার পর কিশোরীকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত যুবককে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আসলে দীর্ঘদিনের প্রেমঘটিত, কোনো সাম্প্রদায়িক ইস্যু নয়।’ ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব, প্রেম–পরিণয় কিংবা সম্পত্তি–সংক্রান্ত বিরোধকে সাম্প্রদায়িক ইস্যু না বানানোর অনুরোধ জানান এসপি।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ অনন্তপুর গ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ ওঠার পর প্রেমিকসহ কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার সকালে তাঁদের জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়ন থেকে উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নওয়াবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উদ্ধারের পর ওই কিশোরী ও তার প্রেমিককে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে ওই কিশোরী। জবানবন্দিতে সে অপহরণের শিকার হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সে বলেছে, চার বছরের প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমিকের জীবন বাঁচাতে স্বেচ্ছায় পালিয়ে বিয়ে করেছে।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত বুধবার বিকেলে দশম শ্রেণি পড়ুয়া ওই কিশোরীকে (১৭) ‘ঘোষণা দিয়ে অপহরণের’ অভিযোগ ওঠে একই গ্রামের বাসিন্দা আলিনুরের (২৬) বিরুদ্ধে। পরদিন বৃহস্পতিবার ফুলবাড়ী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন কিশোরীর বাবা। আজ সকালে কিশোরীকে উদ্ধার ও আলিনুরকে আটক করে পুলিশ।
আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে কিশোরী দাবি করেছে, চার বছর ধরে আলিনুরের সঙ্গে তার প্রেম। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রাম্য সালিসে আলিনুরকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। প্রেমিককে নির্যাতনের বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি ওই কিশোরী। এরপর পারিবারিকভাবে ওই যুবকের বিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তার কথাতেই আলিনুর স্ত্রীকে তালাক দেন বলেও জবানবন্দিতে জানায় কিশোরী।
তাঁর সঙ্গে প্রেমের ‘অপরাধে’ আলিনুরকে পিটিয়ে গ্রাম ছাড়া করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল দাবি করে ওই কিশোরী জবানবন্দিতে বলে, তার চাচা (বাবার মামাতো ভাই) সাম্প্রদায়িক ইস্যুতে আলিনুরকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেছেন। মুকুলসহ অনেকে বলেছেন, এই অভিযোগ তুলে তাঁরা আলিনুরকে পিটিয়ে গ্রামছাড়া করবে। বিষয়টি জানতে পেরে সে আলিনুরকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে।
কিশোরীর বয়স ১৮ পূর্ণ না হওয়ায় আলিনুর তাকে নিয়ে চলে যেতে অসম্মতি জানিয়েছিলেন বলে জবানবন্দিতে ওই কিশোরী উল্লেখ করেছে। ‘না হলে তোমাকে মারবে, চলো পালিয়ে যাই’, এই বলে সে আলিনুরকে বোঝানোর চেষ্টা করে। এরপর আলিনুরের সঙ্গে কুড়িগ্রাম শহরে গিয়ে অ্যাফিডেভিট করে স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হয়। এরপর মুন্সির (ইমাম) কাছে গিয়ে বিয়ে করে।
বাবা–মায়ের কাছে যেতে অসম্মতি, কিশোরী সেফ হোমে
আদালত সূত্র জানায়, বাবা–মায়ের হেফাজতে যেতে অসম্মতি জানালে আদালত কিশোরীকে রাজশাহীর মহিলা ও শিশু–কিশোরী নিরাপদ হেফাজতিদের আবাসনে (সেফ হোম) পাঠানোর আদেশ দেন। আদালত কিশোরীর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করে আলিনুরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ওসি নওয়াবুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের সত্যতা পাওয়া গেছে। কিশোরীর বাবার করা মামলার পর কিশোরীকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত যুবককে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আসলে দীর্ঘদিনের প্রেমঘটিত, কোনো সাম্প্রদায়িক ইস্যু নয়।’ ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব, প্রেম–পরিণয় কিংবা সম্পত্তি–সংক্রান্ত বিরোধকে সাম্প্রদায়িক ইস্যু না বানানোর অনুরোধ জানান এসপি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আটক হন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা নাজমুল কবির শিশির। আজ শুক্রবার বিকেলে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি রামগঞ্জ পৌরসভার আঙ্গারপাড়া এলাকার মো. নয়ন মাস্টারের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লায় যৌথ বাহিনী তুলে নেওয়ার পর হাসপাতালে তৌহিদুর রহমান নামের এক যুবদল নেতার লাশ পেয়েছে পরিবার। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় তাঁর মৃত্যুর খবর পায় পরিবার। তবে কখন তাঁর মৃত্যু হয়েছে সে তথ্য জানা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু তথ্য জানিয়েছেন তাঁর ভাই আবুল কালাম।
১ ঘণ্টা আগেইতালি নেওয়া কথা বলে ফরিদপুর থেকে দুই জনকে নেওয়া হয়েছিল লিবিয়ায়। সেখানে নেওয়ার পর তাঁদের ওপর নির্যাতন করা হয়। এরপর নেওয়া হয় মুক্তিপণ। তবে এতেও মুক্তি মেলেনি। গুলি করে হত্যা করা হয়েছে ওই দুই যুবককে। ঢাকা, ফরিদপুর, লিবিয়া, গুলি, হত্যা, জেলার খবর
১ ঘণ্টা আগেএক মাসের ব্যবধানে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা বেড়েছে ৪ গুণের বেশি। আর আসামির সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। সরকার পতনের পর গত ডিসেম্বরে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ছিল ১৭টি। জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২টি।
১ ঘণ্টা আগে