মাসুদ পারভেজ রুবেল, ডিমলা (নীলফামারী)
তিস্তা সেচ প্রকল্পের পানি ব্যবহারের জন্য কৃষকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, সেচনালা সংস্কারের অজুহাত ও সরকার নির্ধারিত সেচমূল্য না জানার অজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় সেচ সমিতি এই বাড়তি টাকা আদায় করছে। এ ছাড়া পানি না পাওয়া ও অসময়ে অতিরিক্ত পানি পাওয়ার অভিযোগ করেছেন প্রকল্প এলাকার অনেক কৃষক।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষের দাবি, কৃষকদের কাছ থেকে কোনো বাড়তি টাকা নেওয়া হয় না। স্থানীয় সমিতির মাধ্যমে কৃষকেরা সেচের পানির টাকা পরিশোধ করেন।
পাউবো সূত্র জানায়, সারা বছর সেচের পানি নিতে প্রতি একর জমির জন্য সরকারি দর ৪০০ টাকা (ভ্যাটসহ ৪৮০) নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বছর সেচ প্রকল্পের আওতায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ও ভুট্টা চাষ হয়েছে। তিস্তা সেচ প্রকল্প থেকে ৭৬৬ কিলোমিটার দীর্ঘ নালা দিয়ে সেচের পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তিস্তা ব্যারাজ থেকে শুরু হয়ে সেচ প্রকল্পের খাল নীলফামারী, রংপুর, বগুড়া ও দিনাজপুর জেলার ১২ উপজেলায় বিস্তৃত। এর দৈর্ঘ্য ৭৬৬ কিলোমিটার।
চাষিদের অভিযোগ, পাউবোর পক্ষ থেকে কোনো প্রচার চালানো হয় না। ফলে সাধারণ কৃষক জানতেই পারেন না সেচের ন্যায্য মূল্য কত। এ সুযোগে সেচ সমিতির নেতারা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে তিন গুণ বেশি টাকা আদায় করছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই সেচ প্রকল্পে এমন দুই শতাধিক সমিতি রয়েছে।
প্রকল্পের বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় সেচ সমিতিগুলো প্রতি একরে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১০০০ থেকে ১৩০০ টাকা পর্যন্ত বেশি নিচ্ছেন। বাড়তি টাকা সমিতির নেতা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজনের মধ্যে ভাগাভাগি হয়। সেচ প্রকল্পের নালা থেকে পানি সরাসরি যাচ্ছে জমিতে। অথচ নালার অজুহাতে তাঁরা এই বাড়তি টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে কৃষকেরা অভিযোগ করেছেন।
ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানি এলাকার আব্দুস সালাম, আলাকুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, তাঁদের এলাকার সেচ সমিতির দায়িত্বে থাকা লোকজন একরপ্রতি সেচমূল্য নেন ১ হাজার ৭০০ টাকা।
সাতজান গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, এক একর জমিতে পানি নিতে খরচ হচ্ছে ১৬০০ টাকা।
সাতজান এলাকার সেচ সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সমিতির মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগ করে সেচ এলাকার খাল পরিষ্কার ও নজরদারি করা হয়। এ কারণে কৃষকদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেওয়া হয়।
তিস্তা সেচ প্রকল্প অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, সেচের টাকা আদায় ও দেখভালের জন্য যাঁরা মাঠপার্যায়ে আদায়কারী হিসেবে কাজ করেন, তাঁরাই অতিরিক্ত টাকাটা নেন। সমিতি শুধু সরকারনির্ধারিত টাকা পায়।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসম্প্রসারণ কর্মকর্তা অমলেশ চন্দ্র রায় বলেন, সেচ দেওয়ার জন্য প্রকল্প এলাকায় অনেকগুলো সমিতি গঠন করা হয়। সমিতির নেতাকে পানি সেচের টাকা পরিশোধ করতে হয়। তাঁরা খাল সংস্কারের জন্য কৃষকদের সঙ্গে পরামর্শ করেই বেশি টাকা নেয়।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ‘কৃষকদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেওয়ার তথ্য আমার জানা নেই।’
তিস্তা সেচ প্রকল্পের পানি ব্যবহারের জন্য কৃষকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, সেচনালা সংস্কারের অজুহাত ও সরকার নির্ধারিত সেচমূল্য না জানার অজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় সেচ সমিতি এই বাড়তি টাকা আদায় করছে। এ ছাড়া পানি না পাওয়া ও অসময়ে অতিরিক্ত পানি পাওয়ার অভিযোগ করেছেন প্রকল্প এলাকার অনেক কৃষক।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষের দাবি, কৃষকদের কাছ থেকে কোনো বাড়তি টাকা নেওয়া হয় না। স্থানীয় সমিতির মাধ্যমে কৃষকেরা সেচের পানির টাকা পরিশোধ করেন।
পাউবো সূত্র জানায়, সারা বছর সেচের পানি নিতে প্রতি একর জমির জন্য সরকারি দর ৪০০ টাকা (ভ্যাটসহ ৪৮০) নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বছর সেচ প্রকল্পের আওতায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ও ভুট্টা চাষ হয়েছে। তিস্তা সেচ প্রকল্প থেকে ৭৬৬ কিলোমিটার দীর্ঘ নালা দিয়ে সেচের পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তিস্তা ব্যারাজ থেকে শুরু হয়ে সেচ প্রকল্পের খাল নীলফামারী, রংপুর, বগুড়া ও দিনাজপুর জেলার ১২ উপজেলায় বিস্তৃত। এর দৈর্ঘ্য ৭৬৬ কিলোমিটার।
চাষিদের অভিযোগ, পাউবোর পক্ষ থেকে কোনো প্রচার চালানো হয় না। ফলে সাধারণ কৃষক জানতেই পারেন না সেচের ন্যায্য মূল্য কত। এ সুযোগে সেচ সমিতির নেতারা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে তিন গুণ বেশি টাকা আদায় করছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই সেচ প্রকল্পে এমন দুই শতাধিক সমিতি রয়েছে।
প্রকল্পের বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় সেচ সমিতিগুলো প্রতি একরে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১০০০ থেকে ১৩০০ টাকা পর্যন্ত বেশি নিচ্ছেন। বাড়তি টাকা সমিতির নেতা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজনের মধ্যে ভাগাভাগি হয়। সেচ প্রকল্পের নালা থেকে পানি সরাসরি যাচ্ছে জমিতে। অথচ নালার অজুহাতে তাঁরা এই বাড়তি টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে কৃষকেরা অভিযোগ করেছেন।
ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানি এলাকার আব্দুস সালাম, আলাকুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, তাঁদের এলাকার সেচ সমিতির দায়িত্বে থাকা লোকজন একরপ্রতি সেচমূল্য নেন ১ হাজার ৭০০ টাকা।
সাতজান গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, এক একর জমিতে পানি নিতে খরচ হচ্ছে ১৬০০ টাকা।
সাতজান এলাকার সেচ সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সমিতির মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগ করে সেচ এলাকার খাল পরিষ্কার ও নজরদারি করা হয়। এ কারণে কৃষকদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেওয়া হয়।
তিস্তা সেচ প্রকল্প অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, সেচের টাকা আদায় ও দেখভালের জন্য যাঁরা মাঠপার্যায়ে আদায়কারী হিসেবে কাজ করেন, তাঁরাই অতিরিক্ত টাকাটা নেন। সমিতি শুধু সরকারনির্ধারিত টাকা পায়।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসম্প্রসারণ কর্মকর্তা অমলেশ চন্দ্র রায় বলেন, সেচ দেওয়ার জন্য প্রকল্প এলাকায় অনেকগুলো সমিতি গঠন করা হয়। সমিতির নেতাকে পানি সেচের টাকা পরিশোধ করতে হয়। তাঁরা খাল সংস্কারের জন্য কৃষকদের সঙ্গে পরামর্শ করেই বেশি টাকা নেয়।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ‘কৃষকদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেওয়ার তথ্য আমার জানা নেই।’
ময়মনসিংহ শহরের হরিকিশোর রায়ের ২০০ বছরের পুরোনো স্মৃতিবিজড়িত একটি বাড়ি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। তাঁর নামানুসারেই রাস্তার নামকরণ করা হয়েছিল হরিকিশোর রায় রোড। বাড়িটি ভেঙে নতুন ভবন করার উদ্যোগ নেয় শিশু একাডেমি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কর্মকর্তারা।
৪২ মিনিট আগেসাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের সম্পত্তি কেন ক্রোক করা হবে না, তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঋণখেলাপির দায়ে ব্যাংক এশিয়ার করা মামলায় চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালত-১-এর বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন আজ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
২ ঘণ্টা আগেপুরান ঢাকার ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগকে (৪৩) বিবস্ত্র করে এলোপাতাড়ি পেটানোর পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে সিমেন্টের ব্লক দিয়ে আঘাত করা হয়। তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত নৃশংস নির্যাতন চালাতে থাকেন মাহমুদুল হাসান মহিন, সহযোগী মোহাম্মদ নান্নু কাজীসহ (৩৩) আসামিরা। নান্নু কাজীকে
২ ঘণ্টা আগেরাজশাহীর তানোর থানার সামনে থেকে এক যুবককে ধরে প্রেসক্লাবে নিয়ে তল্লাশি করেছেন একদল সাংবাদিক ও স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি। পরে মাদকদ্রব্য রাখার অভিযোগ তুলে তাঁকে পুলিশে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। পুলিশে না দেওয়ার জন্য দাবি করা হয় মোটা অঙ্কের টাকা। দিতে রাজি না হলে ওই যুবককে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ওই যুবক
২ ঘণ্টা আগে