Ajker Patrika

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা-ব্রহ্মপুত্র, পানিবন্দী ২ হাজার পরিবার

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
Thumbnail image

উজানের ঢল ও বর্ষণে গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বেড়েছে। তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের নদের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলোতে প্রবেশ করেছে পানি। ওই সব এলাকার গ্রামীণ রাস্তাগুলো পানিতে ডুবে গেছে। নতুন করে পানিবন্দী হয়ে দুর্ভোগে পড়েছে দুই হাজার পরিবার। নদী তীরবর্তী অঞ্চলে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে পাঁচ শতাধিক বাড়ি ও হাজারো বিঘা ফসলি জমি।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখ পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ সময় তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ১৯ সেন্টিমিটার বেড়েছে। গতকাল বুধবারের চেয়ে আজ তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে করতোয়া ও ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরে নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার বেড়েছে। করতোয়া নদীর পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালি পয়েন্টে ৩৬ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, পানি বাড়ায় সদর উপজেলার ঘাগোয়া, কাটিহারা ফকিরপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় পানির উঠেছে। ফুলছড়ি উপজেলার গুনভড়ি, রতনপুর, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ কয়েকটি চরের নিম্নাঞ্চলে আবারও পানি ঢুকতে শুরু করেছে। সাঘাটার মুন্সিরহাট, ফকিরপাড়া, খলায়হারাসহ বেশ কিছু এলাকার প্রায় শতাধিক বাড়ি, দোকান ও অসংখ্য গাছপালা নদীতে বিলীন হয়েছে। লোকালয়ে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি প্রবেশ করেছে। এতে ওই এলাকার গ্রামীণ রাস্তা তলিয়ে গিয়ে চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। দুর্ভোগে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। এদিকে নদীর পানি বাড়ার কারণে ভাঙন আতঙ্কে আছেন নদী তীরবর্তী মানুষেরা।

তিস্তাপাড়ের বাসিন্দা সিরাজুলর ইসলাম বলেন, তিস্তাপাড়ের বাসিন্দাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। শুকনো মৌসুমে খরা, বর্ষায় প্লাবন।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন, উজানের ঢলে নদ-নদীর পানি বৃষ্টি পেয়েছে। ছোট আকারের বন্যা দেখা দিয়েছে। তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও তিস্তার পানি দুদিন থেকে কমতে শুরু করেছে। আজ বেলা ১২টা পর্যন্ত ঘাঘট নদীর পানি ৩৭ সেন্টিমিটার ও করতোয়ার ২৩৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত