Ajker Patrika

বাংলাদেশের আকাশে ভারতীয় ড্রোনের চক্কর

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের রৌমারীর বড়াইবাড়ী সীমান্তে বাংলাদেশের আকাশসীমায় ভারতীয় ড্রোন উড়তে দেখা গেছে। গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে সীমান্তে বাংলাদেশের ৫০০ মিটার অভ্যন্তরে চারটি ড্রোন উড়তে দেখা যায়।

বিষয়টি এক খুদে বার্তায় নিশ্চিত করেছেন সীমান্তের দায়িত্বে থাকা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৩৫ ব্যাটালিয়নের (জামালপুর) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসানুর রহমান। তবে এ নিয়ে বিজিবির কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা ড্রোন ওড়ানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, ভারতের আসাম রাজ্যের কাকড়িপাড়া দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ক্যাম্পের আওতাধীন বিএসএফ সদস্যরা শুক্রবার রাতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চারটি ড্রোন পাঠায়। রৌমারীর বড়াইবাড়ী ও বারবান্দা গ্রামের আকাশে এসব ড্রোন প্রায় আধা ঘণ্টা চক্কর দেয়। এর আগে গত ২৭ মে একই সীমান্তে বাংলাদেশের আকাশসীমায় ড্রোন উড়িয়েছিল বিএসএফ।

বিজিবি সূত্র বলেছে, শুক্রবার রাত সোয়া ৮টা থেকে পৌনে ৯টা পর্যন্ত ৩০ মিনিট সীমান্তের আন্তর্জাতিক পিলার ১০৬৭ (১ এস)-এর কাছে বাংলাদেশের ৫০০ মিটার অভ্যন্তরে চারটি ভারতীয় ড্রোন চক্কর দেয়। বিএসএফ ছাড়া এসব ড্রোন অন্য কারও ওড়ানোর সুযোগ নেই। কারণ তারা সীমান্তের ২০০ গজ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে। তাদের নজর এড়িয়ে সাধারণ মানুষের পক্ষে ড্রোন ওড়ানো সম্ভব নয়।

রৌমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘২৭ মে বড়াইবাড়ী সীমান্তের ১০৬৭ মেইন পিলার দিয়ে আসামের ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বিএসএফ পুশ ইন করে। সেদিন তারা বাংলাদেশের সীমানায় ড্রোন পাঠিয়েছিল। শুক্রবারও রাত ৮টার দিকে বড়াইবাড়ী ও বারবান্দা গ্রামের আকাশে ভারতের ৪-৫টি ড্রোন উড়েছে। ড্রোনগুলো বড়াইবাড়ী বিজিবি ক্যাম্পের কাছেও এসেছিল।’

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, ‘বৈধ অনুমতি ছাড়া কোনো রাষ্ট্র অন্য কোনো রাষ্ট্রের জল, স্থল কিংবা আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারে না। এটা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সীমান্তে অস্ত্র বা প্রযুক্তি ব্যবহারে জাতিসংঘের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। ভারত বাংলাদেশের আকাশসীমায় এভাবে ড্রোন ওড়াতে পারে না।’

কুষ্টিয়া সীমান্তে নয়জনকে পুশইন

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি জানান, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর সীমান্ত দিয়ে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ নয়জনকে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল শনিবার স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ভাগজোত ঘাট এলাকা থেকে ওই নয়জনকে আটক করে দৌলতপুর থানায় হস্তান্তর করেছে।

গতকাল বিকেলে বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়নের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আটক ব্যক্তিরা দুটি পরিবারের সদস্য। তাঁদের মধ্যে চারজন পুরুষ, দুজন নারী, দুজন কিশোরী ও একজন ছেলে শিশু। তারা কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী থানার বাসিন্দা। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রায় চার বছর আগে তারা অবৈধভাবে ভারতে ঢুকে দিল্লির একটি ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় বিজিবি তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় থানা ও বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। সকাল সাড়ে ১০টায় বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবি পুশ ইনের কড়া প্রতিবাদ জানায়।

বিজিবি জানায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই নয়জনকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের বিকেলে দৌলতপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব মুর্শেদ রহমান বলেন, ‘বিএসএফ তাদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলেও ভবিষ্যতে আইনিপ্রক্রিয়ায় হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, ‘পুশ ইনের বিষয়টি আমার জানা নিই। আমি মিটিংয়ে কুষ্টিয়ায় আছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আজহারুলের আপিলে তাজুলের প্রসিকিউশন টিম, স্বার্থের সংঘাত দেখছেন ডেভিড বার্গম্যানও

ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় শুধু একটি দল—প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের যে ব্যাখ্যা দিল প্রেস উইং

মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্র হাতে লড়েছিলেন বলেই কি জামিন পেলেন না অধ্যাপক আনোয়ারা

হঠাৎ ব্যাংকের ভেতরে সবাই অচেতন

সৌদি আরবে পুরুষের ‘অবাধ্য’ হলে নারীর যে পরিণতি হয়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত