পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার জোংড়া মডেল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে প্রসবকালীন গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। এতে ঝর্ণা রাণী (৩০) নামের এক প্রসূতি মা মারা গেছেন। গত ১১ জুন সকালে রংপুর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ঝর্ণা রাণী উপজেলার জোংড়া ইউনিয়নের সরকারেরহাট এলাকার বাসিন্দা। তাঁর স্বামীর নাম নিরঞ্জন রায়। ১০ বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। তাঁদের ৮ বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান ছিল। ঝর্ণার মৃত্যুর তিন দিন আগে তিনি এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন।
প্রসূতির পরিবারের অভিযোগ, সন্তান প্রসবের সময় জোংড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দায়িত্বরত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা চিনু বালা রায় ও আয়া রত্না রাণী চিকিৎসায় গাফিলতি করেন। যথাসময়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা না দিয়ে অতিরিক্ত ইনজেকশন ও অপ্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়ে প্রসব করানো হয়। এতে ঝর্ণা রাণী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও অনবরত বমিতে ভুগতে থাকেন। প্রায় সাত ঘণ্টা তাঁকে ওই অবস্থায় রেখে রাত ১২টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে রংপুর নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহতের স্বামী নিরঞ্জন রায় জানান, ঈদের পরদিন ৮ জুন দুপুরে প্রসব ব্যথা দেখা দিলে স্ত্রীকে বাড়ির পাশে জোংড়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান তিনি। সেখানে দায়িত্বে থাকা আয়া রত্না রাণী জানান, স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসব হবে। পরে দুপুর ২টার দিকে পরিদর্শিকা চিনু বালা রায় এসে বিভিন্ন ইনজেকশন ও ওষুধ প্রয়োগ করেন। বিকেল ৫টার দিকে ঝর্ণা পুত্রসন্তানের জন্ম দেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রসবের পরপরই ঝর্ণার বমি আর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এরপর প্রায় সাত ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তাঁরা ছাড়তে রাজি হননি। শুধু ওষুধ আনতে বলেছেন বারবার। আমার দোকান ঠিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশে, আমি অনেকবার অনুরোধ করেছি—যদি না পারেন, তবে ছেড়ে দিন। তাঁরা শোনেননি।’
নিরঞ্জন রায় বলেন, ‘রাত ১২টার দিকে তাঁরা জানায় রক্তক্ষরণ হচ্ছে, দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে হবে। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা বলেন, অবস্থা সংকটাপন্ন, দ্রুত রংপুর নিতে হবে। রাত তিনটার দিকে রংপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করি। চিকিৎসকেরা জানান, প্রসব করাতে গিয়ে ভিতরের অংশ ছিঁড়ে গেছে। সেই কারণে রক্তক্ষরণ আর বমি বন্ধ করা যায়নি। ৭ ব্যাগ রক্ত দিয়েছি, কিছুই কাজে আসেনি। আমার দুইটি শিশু সন্তান মা হারা হলো। আমি এর বিচার চাই। যারা আমার স্ত্রীকে এই অবস্থায় ফেলেছে, তাদের শাস্তি হোক।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আয়া রত্না রাণী বলেন, ‘ওই প্রসূতির অবস্থা ভালোই ছিল। বিকেলে স্বাভাবিকভাবে ছেলে সন্তান প্রসব করে। কিছুক্ষণ পর বমি শুরু হলে ওষুধ দিয়েছি।’ পরিদর্শিকা চিনু বালা রায় বলেন, ‘উপজেলার চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেই ওষুধ ও ইনজেকশন দিয়েছি। কোনো জোরজবরদস্তি করা হয়নি, গাফিলতির প্রশ্নই ওঠে না।’
তবে বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখছেন ঝর্ণার স্বজনেরা। তাঁদের অভিযোগ, সময়মতো উপযুক্ত চিকিৎসা দেওয়া হলে হয়তো ঝর্ণাকে বাঁচানো যেত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাটগ্রাম উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) ও মেডিকেল অফিসার ডা. খুরশিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার কথা শুনেছি। আমার মনে হয় না কোনো গাফিলতি হয়েছে। আমি ছুটিতে আছি। ফিরেই ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নেব।’
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার জোংড়া মডেল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে প্রসবকালীন গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। এতে ঝর্ণা রাণী (৩০) নামের এক প্রসূতি মা মারা গেছেন। গত ১১ জুন সকালে রংপুর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ঝর্ণা রাণী উপজেলার জোংড়া ইউনিয়নের সরকারেরহাট এলাকার বাসিন্দা। তাঁর স্বামীর নাম নিরঞ্জন রায়। ১০ বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। তাঁদের ৮ বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান ছিল। ঝর্ণার মৃত্যুর তিন দিন আগে তিনি এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন।
প্রসূতির পরিবারের অভিযোগ, সন্তান প্রসবের সময় জোংড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দায়িত্বরত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা চিনু বালা রায় ও আয়া রত্না রাণী চিকিৎসায় গাফিলতি করেন। যথাসময়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা না দিয়ে অতিরিক্ত ইনজেকশন ও অপ্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়ে প্রসব করানো হয়। এতে ঝর্ণা রাণী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও অনবরত বমিতে ভুগতে থাকেন। প্রায় সাত ঘণ্টা তাঁকে ওই অবস্থায় রেখে রাত ১২টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে রংপুর নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহতের স্বামী নিরঞ্জন রায় জানান, ঈদের পরদিন ৮ জুন দুপুরে প্রসব ব্যথা দেখা দিলে স্ত্রীকে বাড়ির পাশে জোংড়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান তিনি। সেখানে দায়িত্বে থাকা আয়া রত্না রাণী জানান, স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসব হবে। পরে দুপুর ২টার দিকে পরিদর্শিকা চিনু বালা রায় এসে বিভিন্ন ইনজেকশন ও ওষুধ প্রয়োগ করেন। বিকেল ৫টার দিকে ঝর্ণা পুত্রসন্তানের জন্ম দেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রসবের পরপরই ঝর্ণার বমি আর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এরপর প্রায় সাত ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তাঁরা ছাড়তে রাজি হননি। শুধু ওষুধ আনতে বলেছেন বারবার। আমার দোকান ঠিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশে, আমি অনেকবার অনুরোধ করেছি—যদি না পারেন, তবে ছেড়ে দিন। তাঁরা শোনেননি।’
নিরঞ্জন রায় বলেন, ‘রাত ১২টার দিকে তাঁরা জানায় রক্তক্ষরণ হচ্ছে, দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে হবে। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা বলেন, অবস্থা সংকটাপন্ন, দ্রুত রংপুর নিতে হবে। রাত তিনটার দিকে রংপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করি। চিকিৎসকেরা জানান, প্রসব করাতে গিয়ে ভিতরের অংশ ছিঁড়ে গেছে। সেই কারণে রক্তক্ষরণ আর বমি বন্ধ করা যায়নি। ৭ ব্যাগ রক্ত দিয়েছি, কিছুই কাজে আসেনি। আমার দুইটি শিশু সন্তান মা হারা হলো। আমি এর বিচার চাই। যারা আমার স্ত্রীকে এই অবস্থায় ফেলেছে, তাদের শাস্তি হোক।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আয়া রত্না রাণী বলেন, ‘ওই প্রসূতির অবস্থা ভালোই ছিল। বিকেলে স্বাভাবিকভাবে ছেলে সন্তান প্রসব করে। কিছুক্ষণ পর বমি শুরু হলে ওষুধ দিয়েছি।’ পরিদর্শিকা চিনু বালা রায় বলেন, ‘উপজেলার চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেই ওষুধ ও ইনজেকশন দিয়েছি। কোনো জোরজবরদস্তি করা হয়নি, গাফিলতির প্রশ্নই ওঠে না।’
তবে বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখছেন ঝর্ণার স্বজনেরা। তাঁদের অভিযোগ, সময়মতো উপযুক্ত চিকিৎসা দেওয়া হলে হয়তো ঝর্ণাকে বাঁচানো যেত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাটগ্রাম উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) ও মেডিকেল অফিসার ডা. খুরশিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার কথা শুনেছি। আমার মনে হয় না কোনো গাফিলতি হয়েছে। আমি ছুটিতে আছি। ফিরেই ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নেব।’
যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানা। এই মোড় থেকে শহরের চারদিকে চারটি সড়ক বিভিন্ন দিকে গেছে। এই মোড়েই একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বসানো রয়েছে তিনটি সিসি ক্যামেরা। তবে তিনটিই নষ্ট। কোনোটির সংযোগের তারই ছেঁড়া, কোনোটি নিচের দিকে বাঁকানো। অথচ অপরাধপ্রবণতা কমাতে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বাড়াতে...
৩৮ মিনিট আগেচার মাস ধরে ওষুধ সরবরাহ নেই ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোয়। চলছে শুধু রক্তচাপ পরিমাপ আর পরামর্শ দেওয়ার কার্যক্রম। এতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। তারা এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চায়। সিভিল সার্জন অবশ্য আশার বাণী শুনিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগেতিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও নতুন করে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। ঢেউয়ের আঘাতে নদীতীর, ফসলি জমি ও বসতভিটা ভাঙতে শুরু করেছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিস্তাপারের বাসিন্দারা।
৫ ঘণ্টা আগেসংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জের তিনটি আসনের সীমানা পরিবর্তনের প্রস্তাব এনেছে নির্বাচন কমিশন। এর মাধ্যমে বন্দর থানা এলাকা ভাগাভাগি হয়ে নারায়ণগঞ্জ-৩ এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ সংসদীয় এলাকায় পড়তে যাচ্ছে। এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহী নেতারা। তাঁরা বলছেন, একই এলাকায়
৫ ঘণ্টা আগে