Ajker Patrika

আবু সাঈদ হত্যা মামলা: আলামত জব্দের অনুমতি পেলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

রংপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৫, ১৮: ৪৩
আবু সাঈদ হত্যা মামলা: আলামত জব্দের অনুমতি পেলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদ হত্যা মামলার আলামত জব্দের অনুমতি পেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তা ব্যারিস্টার মাইনুল হক রংপুর আমলি আদালতে আবু সাঈদের দুটি হত্যা মামলায় জব্দকৃত আলামত চেয়ে আবেদন করলে বিচারক রাশেদ হোসাইন তা মঞ্জুর করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার বাদী পক্ষের প্যানেল আইনজীবী রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, ‘আজকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে একজন প্রসিকিউটর এসেছেন। আবু সাঈদ হত্যায় ১০২ ও ১১১ নম্বর হত্যা মামলার যাবতীয় জব্দকৃত আলামত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আওতায় নেওয়ার জন্য তিনি আবেদন করেন। বিজ্ঞ আদালত তা মঞ্জুর করেছেন। আমরা মনে করি, এর মধ্য দিয়ে আবু সাঈদ হত্যা মামলার যে ধীর গতি, সেটা কিছুটা কাটবে। অন্য যে সব আসামি গ্রেপ্তার হয়নি আমরা তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’

বাদী পক্ষের অপর আইনজীবী শামিম আল মামুন বলেন, আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হওয়ার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি পৃথক মামলা রুজু হয়েছে। রংপুরের দুটি হত্যা মামলা জিআর মামলা হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত ইতিপূর্বে আদেশ দিয়েছিলেন রংপুরের দুটি মামলা একত্রে চলবে।

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যে মামলাটি হয়েছে, সেটি আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় হয়েছে। দুটি পৃথক বিষয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মামলা এবং রংপুরের মামলায় আলামত একই। ঘটনার প্রাসঙ্গিকতা একই। ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ওই মামলায় আবু সাঈদ হত্যার মামলায় যেসব আলামত আছে, অস্ত্রসহ অন্য যে সামগ্রী আছে। যেগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘনের কাজে ব্যবহৃত হয়েছে। সেই আলামতগুলো ওই মামলাতেও সিজ করার জন্য আবেদন করেছে। বিজ্ঞ আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।’

গত বছরের ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ১ নম্বর গেটের সামনে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের গুলিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হন। ওই দিন দিবাগত রাতে আবু সাঈদের মৃত্যু ও সংঘর্ষের ঘটনায় তাজহাট থানায় এজাহার দায়ের করেন এসআই বিভূতি ভূষণ রায়।

১৭ জুলাই মামলাটি রেকর্ড করা হয়। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ১৮ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাজহাট আমলি আদালতে আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে পুলিশ কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষকসহ ১৬ জনের নামে এবং অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

পরে মামলায় আরও ৭ জনকে আসামি করা হয়। ৭ মাসের মাথায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়। এরপর ২০ জানুয়ারি তদন্তে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’ ব্যানারে বিমানবন্দর এলাকায় আ.লীগের মিছিল

ইটনায় এবার ডিলার নিয়োগে ঘুষ চাওয়ার কল রেকর্ড ফাঁস

‘ওরা সোনার তৈরি, আমরা মাটির’, কারখানার ভেতর আত্মহত্যার আগে শ্রমিকের ফেসবুক পোস্ট

কুষ্টিয়ায় গভীর রাতে বিএনপি নেতার বাড়িতে গুলি, দেখে নেওয়ার হুমকি

মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনে প্রক্রিয়া মানা হয়নি: ইউনেসকো

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত