Ajker Patrika

হামলায় আহতেরা হাসপাতালে, মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকির অভিযোগ

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
হামলায় আহতেরা হাসপাতালে, মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকির অভিযোগ

হামলার শিকার হয়ে গত পাঁচ দিন থেকে গুরুতর আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবিনা ও তাঁর ভাশুর খায়রুল। এ ঘটনায় মামলা হলেও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ। সেই সঙ্গে মামলা তুলে নিতে আসামি পক্ষ নানাভাবে হুমকি দেওয়া বলে অভিযোগ এ ভুক্তভোগী পরিবারের। এদিকে পুলিশের দাবি, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের খাড়ুয়ার পাড় এলাকার মাঈদুল ইসলাম গংয়ের সঙ্গে একই এলাকার হয়রত আলী গংয়ের চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিবাদ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত সোমবার সকালে হয়রত আলীর নেতৃত্বে মাহাবুব আলম গংয়ের প্রতিপক্ষ মাঈদুল ইসলামের বড় ভাই খায়রুল ইসলামের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাঁর চিৎকারে খায়রুল ইসলামের পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসে। পরে হামলাকারীরা তাঁদের ওপরেও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় সাবিনা, খায়রুল, মাইদুল, খতেজা, মোস্তাফিজার রহমান আহত হয়। পরে হামলাকারীরা প্রতিপক্ষের দোকানপাটে হামলা চালায় ও লুটপাট করে। খবর পেয়ে এলাকাবাসী এগিয়ে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে চিলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে গুরুতর অবস্থায় সাবিনা ও খায়রুল ইসলামকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনার আহত খায়রুল ইসলামের ছোট ভাই মাঈদুল ইসলাম ওই দিন চিলমারী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। 

এদিকে মামলার পর আসামি ও তাদের লোকজন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী মাঈদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘হযরত আলীরা সব সময় প্রভাব খাঁটিয়ে আমাদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে এবং আমাদের বিভিন্নভাবে ক্ষতি করে আসছে। ঘটনার দিন আমাদের ওপর হামলা চালায় ও দোকানপাট ভাঙচুর এবং লুটপাট করে। আমরা হামলার শিকার হয়ে মামলা করেছি। কিন্তু পুলিশ এখনো কোনো আসামি গ্রেপ্তার না করায় আসামিরা বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। আমাদের মামলা তুলে নিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। আমরা সঠিক বিচার চাই।’ 

এ বিষয়ে মন্তব্য নিতে অভিযুক্তদের মোবাইলে কল দেওয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া। এলাকা থেকেও তারা পলাতক রয়েছেন। 

এ বিষয়ে চিলমারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, ‘আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অন্যায়কারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত