Ajker Patrika

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভবনে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও প্রেস ক্লাব

প্রতিনিধি
Thumbnail image

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর): দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কোটি টাকার জমি ও ভবন দখল করে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে কিছু ব্যক্তি ও সংগঠন।

ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার কাদিমনগরে নিজস্ব সম্পত্তির উপর এই এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পানি নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কয়েক যুগ আগে নিজস্ব ভবন নির্মান করে কার্যক্রম শুরু করেছিল বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)। তবে প্রকল্প শেষ হওয়ায় বেশ কয়েক বছর আগে সব ধরণের কার্যক্রম স্থগিত করে বোর্ড। এরপর ২০০৫ সালে নবগঠিত ঘোড়াঘাট পৌরসভার অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে দীর্ঘদিন ব্যবহৃত হয় ভবনটি।

২০১৪ সালে নিজস্ব ভবন নির্মান হলে, নতুন কার্যালয়ে কার্যক্রম শুরু হয় ঘোড়াঘাট পৌরসভার। তারপর থেকে দীর্ঘ দিন যাবত ভবনটি পড়ে থাকার সুবাদে তা দখল করে নিয়েছে কয়েকজন ব্যক্তি ও সংগঠন।ভবনের সামনের জায়গা দখল করে চলছে বালু ব্যবসা।

এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় থাকা বাপাউবো’র পানি প্রবাহের ক্যানেলের সরকারি কয়েক বিঘা জমি কেটে নিজেদের দখলে নিয়ে চাষাবাদ করছে বিভিন্ন ব্যক্তি। কতৃপক্ষের যথাযথ নজরদারী ও স্বদিচ্ছার অভাবে এসব সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।  

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ভবনের একটি রুমে ঘোড়াঘাট থানা প্রেস ক্লাবের সাইনবোর্ড ঝুলানো রয়েছে। অপর দুই তিনটি রুমে  কোন সাইনবোর্ড না থাকলেও চেয়ার, টেবিল ও ক্যারামবোর্ডসহ বিভিন্ন জিনিস পত্র রাখা রয়েছে। এখানে প্রতিনিয়ত লোকসমাগম হচ্ছে। ভবনের সামনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিজস্ব জায়গায় বিশাল বালুর স্তূপ করে ব্যবসা করে আসছে ঘোড়াঘাট পৌরসভার হিসাব রক্ষক শাহাদৎ হোসেন।

স্থানীয়রা জানায়, ভবনের একটি রুম উপজেলার কয়েকজন সাংবাদিক প্রেস ক্লাব বানিয়ে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করে।  অপর দুটি রুমে ঘোড়াঘাট পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন নামের একটি সংগঠন কার্যালয় বানিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত করেছে। বর্তমানে সাইনবোর্ড না থাকলেও পৌরসভার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখানে নিয়মিত আসা যাওয়া করে।

ঘোড়াঘাট পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক  ফজলে রাব্বি সরকার লিখন এ বিষয়ে বলেন, এই পরিত্যাক্ত ভবনটির একটি রুমে আমরা কার্যক্রম চালাই। পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন কর্মকর্তার থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়ে আমরা কাজ করছি। তবে করোনার মধ্যে অনেক দিন সেখানে যাওয়া হয় না। কে বা কারা বালুর ব্যবসা করছে সে বিষয়ে আমি বলতে পারছি না।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, আমাদের সম্পত্তি অবৈধ ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে! এটা আমার জানা নেই। ঘোড়াঘাট উপজেলায় আমাদের বেশ কয়েক বিঘা সম্পত্তি আছে। সরকারি সম্পদ দখল করে কোন কার্যক্রম পরিচালনা করা বা সরকারি সম্পদের অনুমতি ব্যতিত ব্যবসা বাণিজ্যে করা আইন বহিভূত কাজ। আমরা কোন ব্যাক্তি বা সংগঠনকে আমাদের পরিত্যাক্ত ভবন বা জমি ব্যবহার করার অনুমতি দেইনি। যদি কেও ব্যবহার করে তবে সরকারি সম্পত্তি ছেড়ে দিতে আমরা তাদেরকে নোটিশ পাঠাব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত