গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার সাত উপজেলার মধ্যে সুন্দরগঞ্জ, সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা চরবেষ্টিত এলাকা। এই চার উপজেলার পাঁচ লক্ষাধিক চরবাসীর জীবন কাটে নিদারুণ কষ্টে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, নদীভাঙন, ভূমিক্ষয়, বন্যা, ঝড় আর দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকেন তাঁরা। নদীভাঙন থেকে বাঁচার জন্য তাঁরা এক চর থেকে অন্য চরে ছুটে বেড়ান। চরের পিছিয়ে পড়া এসব মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি কাজ করছে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাও।
নিজেদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এসব পরিবারের নারীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে বসতবাড়ির আশপাশে শাকসবজি চাষ করেন। তা ছাড়া ভেড়া, হাঁস-মুরগি পালন করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা। এসব নারীর উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড দেখে অন্যরাও উৎসাহী হচ্ছেন। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ এই এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার কড়াইবাড়ী চরের ছাবিনা বেগম বলেন, ‘আগে অবহেলিত ছিলাম। ভেড়া পেয়ে এখন স্বাবলম্বী হওয়ার পথে। একটা ভেড়া দিয়ে শুরু করে বর্তমানে আমার ৩০টি ভেড়া হয়েছে। এ ছাড়া শাকসবজি চাষ করি। নিজে খাই, বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করি।’
পাশের বাবলী বেগম বলেন, একসময় পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ ছিল। এনজিও থেকে একটি ভেড়া পেয়ে সেটি থেকে একাধিক হয়েছে। এরই মধ্যে কয়েকটি ভেড়া বিক্রি করে পরিবারে বেশ সচ্ছলতা ফিরেছে।
কোহিনুর বেগম বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পাওয়ার পর আমার বসতবাড়িতে আধুনিক পদ্ধতিতে শাকসবজি উৎপাদন করে এ বছর ৭ হাজার ৩০০ টাকা পেয়েছি। যা দিয়ে আমার সংসার অনেক উপকৃত হয়েছে।’
ফ্রেন্ডশিপের প্রকল্প ব্যবস্থাপক দিবাকর বিশ্বাস বলেন, ‘চরাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া নারীদের ভেড়া ও সবজি চাষাবাদের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সবজি চাষের জন্য তাদের বিনা মূল্যে বীজসহ সবকিছু দেওয়া হচ্ছে। তারা নিজেদের পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করে বাড়তি টাকা আয় করছেন। বর্তমানে গাইবান্ধায় চরাঞ্চলে দেশি ভেড়ার মাধ্যমে বীজ দিয়ে উন্নত জাতের ভেড়া তৈরি করা হচ্ছে। এই জাতের ভেড়া দুর্যোগপ্রবণ এলাকার সুবিধাবঞ্চিত মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, চরাঞ্চলগুলোতে ভেড়া পালন খুবই লাভজনক। গাইবান্ধার সমতল ভূমিতে ৭৫ হাজার ভেড়া রয়েছে। চরাঞ্চলে চারণ ভূমি থাকায় গরুর সঙ্গে ভেড়া থাকতে পছন্দ করে। ভেড়া পালনে বাড়তি লোকের দরকার হয় না। সেখানে খাদ্যের সংস্থানও আছে।
গাইবান্ধার সাত উপজেলার মধ্যে সুন্দরগঞ্জ, সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা চরবেষ্টিত এলাকা। এই চার উপজেলার পাঁচ লক্ষাধিক চরবাসীর জীবন কাটে নিদারুণ কষ্টে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, নদীভাঙন, ভূমিক্ষয়, বন্যা, ঝড় আর দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকেন তাঁরা। নদীভাঙন থেকে বাঁচার জন্য তাঁরা এক চর থেকে অন্য চরে ছুটে বেড়ান। চরের পিছিয়ে পড়া এসব মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি কাজ করছে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাও।
নিজেদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এসব পরিবারের নারীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে বসতবাড়ির আশপাশে শাকসবজি চাষ করেন। তা ছাড়া ভেড়া, হাঁস-মুরগি পালন করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা। এসব নারীর উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড দেখে অন্যরাও উৎসাহী হচ্ছেন। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ এই এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার কড়াইবাড়ী চরের ছাবিনা বেগম বলেন, ‘আগে অবহেলিত ছিলাম। ভেড়া পেয়ে এখন স্বাবলম্বী হওয়ার পথে। একটা ভেড়া দিয়ে শুরু করে বর্তমানে আমার ৩০টি ভেড়া হয়েছে। এ ছাড়া শাকসবজি চাষ করি। নিজে খাই, বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করি।’
পাশের বাবলী বেগম বলেন, একসময় পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ ছিল। এনজিও থেকে একটি ভেড়া পেয়ে সেটি থেকে একাধিক হয়েছে। এরই মধ্যে কয়েকটি ভেড়া বিক্রি করে পরিবারে বেশ সচ্ছলতা ফিরেছে।
কোহিনুর বেগম বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পাওয়ার পর আমার বসতবাড়িতে আধুনিক পদ্ধতিতে শাকসবজি উৎপাদন করে এ বছর ৭ হাজার ৩০০ টাকা পেয়েছি। যা দিয়ে আমার সংসার অনেক উপকৃত হয়েছে।’
ফ্রেন্ডশিপের প্রকল্প ব্যবস্থাপক দিবাকর বিশ্বাস বলেন, ‘চরাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া নারীদের ভেড়া ও সবজি চাষাবাদের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সবজি চাষের জন্য তাদের বিনা মূল্যে বীজসহ সবকিছু দেওয়া হচ্ছে। তারা নিজেদের পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করে বাড়তি টাকা আয় করছেন। বর্তমানে গাইবান্ধায় চরাঞ্চলে দেশি ভেড়ার মাধ্যমে বীজ দিয়ে উন্নত জাতের ভেড়া তৈরি করা হচ্ছে। এই জাতের ভেড়া দুর্যোগপ্রবণ এলাকার সুবিধাবঞ্চিত মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, চরাঞ্চলগুলোতে ভেড়া পালন খুবই লাভজনক। গাইবান্ধার সমতল ভূমিতে ৭৫ হাজার ভেড়া রয়েছে। চরাঞ্চলে চারণ ভূমি থাকায় গরুর সঙ্গে ভেড়া থাকতে পছন্দ করে। ভেড়া পালনে বাড়তি লোকের দরকার হয় না। সেখানে খাদ্যের সংস্থানও আছে।
স্থানীয়রা জানান, লোহার রিংয়ের সঙ্গে মিহি সুতো দিয়ে তৈরি এই জালে আটকা পড়ে শুধু মাছ নয়, শামুক-ঝিনুক, ব্যাঙ, কাঁকড়া, সাপ, কুচিয়াসহ বহু জলজ প্রাণি মারা যাচ্ছে। ফলে মিঠাপানির মাছসহ জীববৈচিত্র্য ভয়াবহ সংকটে পড়েছে।
৩৬ মিনিট আগেআওয়ামী লীগের আমলে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামবিদ্বেষ হয়েছে উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, এই রাষ্ট্রে ইসলামের পক্ষে কেউ দাঁড়ালেই তার বিরুদ্ধে জঙ্গি ট্যাগ দেওয়া হয়েছে, মৌলবাদী ট্যাগ দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিজেরা বলে অসাম্প্রদায়িক, নিজেরা বলে তারা ধর্মনিরপেক্ষ।
৪১ মিনিট আগেনিহত তরুণীর নাম আরফা বেগম (১৮)। তিনি মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের বারইয়াপাড়া গ্রামের মোক্তার আহমদের মেয়ে। আহত ব্যক্তিদের নাম তাৎক্ষণিক জানা সম্ভব হয়নি। তাঁদের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।
৪৪ মিনিট আগেবগুড়ায় আদালতে সঠিক সাক্ষ্য না দেওয়া, সাক্ষ্য দিতে হাজির না হওয়া এবং সরকারি আইন কর্মকর্তাদের দুর্বলতার কারণে গত এক বছরে ৬ শতাধিক মাদক মামলায় প্রায় ১ হাজার আসামি খালাস পেয়েছেন। এর মধ্যে ২২টি মামলায় ৪৪ জন পুলিশ ও র্যাব কর্মকর্তা আদালতে সাক্ষ্য দিতে হাজির হননি।
৬ ঘণ্টা আগে