Ajker Patrika

সাদুল্লাপুরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ, থানায় স্বামী

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
সাদুল্লাপুরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ, থানায় স্বামী

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গায় স্ত্রী শেফালী খাতুনকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মহসীন আলী নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ওই ব্যক্তি থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। 

বিষয়টির সত্যতা আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘পুলিশ শনিবার রাত ৮টার দিকে নলডাঙ্গা ইউনিয়নের কলেজপাড়া এলাকার বাড়ি থেকে গৃহবধূ শেফালীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। এ সময় নিহতের হাত থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। ওই চিরকুট মহসীনের লেখা বলেই মনে করা হচ্ছে। নিজের ওপর থেকে সন্দেহ সরাতে তিনি ওই কাজ করেন।’ 

অভিযোগ ওঠা স্বামী মহসীন আলীর বাড়ি (২৭) নলডাঙ্গা ইউনিয়নের কলেজপাড়া গ্রামে। 

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, চার বছর আগে মহসীনের সঙ্গে গাইবান্ধার মোল্লাপাড়ার মৃত কাদের মোল্লার মেয়ে শেফালীর বিয়ে হয়। মহসীন কোনো কাজকর্ম করতেন না। পারিবারিকভাবে অসচ্ছলতার কারণে বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই তাঁদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকত। পাশাপাশি শেফালীর কোনো সন্তান না হওয়ায় মহসীন ক্ষুব্ধ ছিলেন। আজ সন্ধ্যায় ঝগড়ার একপর্যায়ে মহসীন ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন শেফালীকে। পরে এটিকে আত্মহত্যা হিসেবে প্রচার করতে লাশ ঝুলিয়ে রাখেন মহসীন। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা শেফালীর হাতে একটি চিরকুট ছিল। তাতে লেখা ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, কারও কোনো দোষ নেই।’ এই ঘটনা প্রতিবেশীদের জানিয়ে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন মহসীন। 

এদিকে খবর পেয়ে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান সাদুল্লাপুর থানায় আসেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এটি একটি খুনের ঘটনা। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার কারণে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন স্বামী। তিনি স্ত্রীকে চারিত্রিকভাবে সন্দেহ করতেন। এ ছাড়া স্ত্রী ‘কুফরি কালাম’ করত, যা মহসীনের পছন্দ ছিল না। এসব কারণে তিনি স্ত্রীকে হত্যা করেন। তবে পুরো বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত করা হবে। ”

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত