Ajker Patrika

মুদিদোকানি হত্যা মামলায় বেরোবির শিক্ষক কারাগারে

রংপুর প্রতিনিধি
মাহমুদুল হক। ছবি: সংগৃহীত
মাহমুদুল হক। ছবি: সংগৃহীত

মুদিদোকানিকে হত্যা মামলায় রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুল হককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার মেট্রোপলিটন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে নগরীর ধাপ এলাকার বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মেট্রোপলিটন চিফ জুডিশিয়াল আদালতের পরিদর্শক শাহিনুর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিকেলে রংপুর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (হাজিরহাট) মাহমুদুল হককে তোলা হয়। বিচারক সোয়েবুর রহমান তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২ আগস্ট তৎকালীন পুলিশ, প্রশাসন, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের রাধাকৃষ্ণপুর এলাকার মুদিদোকানি ছমেস উদ্দিনকে (৬৫) তাঁর দোকানে এসে হুমকি দেয়। এ সময় আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ছমেস উদ্দিনকে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করেন।

এতে তিনি অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে পুলিশ ও আসামিরা তাঁকে রেখে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা ছমেস উদ্দিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আমেনা বেগম বাদী হয়ে হাজীরহাট থানায় ৩ জুন একটি মামলা করেন। এতে শিক্ষক মাহমুদুল হককে ৫৪ নম্বর আসামি করা হয়।

এ বিষয়ে হাজীরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন শাহ বলেন, ছমেস উদ্দিন হত্যা মামলায় বেরোবি শিক্ষক মাহমুদুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হারুনুর রশিদ বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুল হককে হাজিরহাট থানা-পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে একটি হত্যা মামলায়। তবে সেটি আমাদের ক্যাম্পাসের নয়। বাইরের ঘটনা। আমরা বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর রাখছি।’

এদিকে বেরোবি শিক্ষক মাহমুদুল হকের ফেসবুক আইডির একটি পোস্টে বলা হয়, ‘আমি মো. মাহমুদুল হকের সহধর্মিণী লিখছি, আমার হাজব্যান্ড মো. মাহমুদুল হক সহকারী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর; আজ বেলা আনুমানিক সাড়ে ৩টায় আমার রংপুরের ধাপ এলাকায় অবস্থিত নিজ বাসা থেকে রংপুর মেট্রোপলিটন হাজিরহাট থানা-পুলিশ আমার হাজব্যান্ডকে আটক করে সরাসরি আদালতে নিয়ে যায়। কোনো এক হত্যা মামলার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমার হাজব্যান্ড এ রকম কোনো অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। তিনি পুরোপুরিভাবে নির্দোষ। এটি একটি পরিকল্পিতভাবে সাজানো মিথ্যা মামলা। আমি আমার হাজব্যান্ডের স্নেহভাজন শিক্ষার্থী, সম্মানিত সহকর্মী, সাংবাদিকতা পেশার সহকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী সবার পক্ষ থেকে সহযোগিতা কামনা করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বুশেহর পারমাণবিক কেন্দ্রে আছেন রুশ বিশেষজ্ঞরা, ইসরায়েলকে রাশিয়ার হুঁশিয়ারি

ইরানকে ঘিরে ফেলছে একের পর এক মার্কিন রণতরি ও যুদ্ধবিমান

পর্যটনে সেরা ১০ মুসলিমবান্ধব অমুসলিম দেশ

ছেলের কাটা পা হাতে নিয়ে বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বাবা

পাকিস্তানি সেনাপ্রধানকে কেন যুক্তরাষ্ট্রে ডেকেছিলেন ট্রাম্প, ইরান-ইসরায়েল নিয়ে কী আলোচনা হলো

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত