Ajker Patrika

বুড়িমারী থেকে ট্রেন চালুর দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো মহাসড়ক অবরোধ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি 
লালমনিরহাটের বুড়িমারী থেকে বুড়িমারী এক্সপ্রেসের দাবিতে আজ সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
লালমনিরহাটের বুড়িমারী থেকে বুড়িমারী এক্সপ্রেসের দাবিতে আজ সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘লালমনি এক্সপ্রেস’ ও ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’ ট্রেন দুটি লালমনিরহাটের বুড়িমারী থেকে যাত্রার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছে।

আজ সোমবার হাতীবান্ধা উপজেলায় লালমনিরহাট-বুড়িমারী আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। বুড়িমারী টু ঢাকা আন্তনগর ট্রেন বাস্তবায়ন আন্দোলন পরিষদের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে প্রায় চার কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়।

আন্দোলনকারীরা জানান, দেশের মানচিত্রে একমাত্র দীর্ঘ জেলা লালমনিরহাট। ১০০ কিলোমিটার রেলপথ ও ১০০ কিলোমিটার সড়কপথেই রয়েছে জেলার পাঁচটি উপজেলা। এর এক প্রান্তে সদর উপজেলা বা জেলা শহর। অপর প্রান্তে রয়েছে সর্বশেষের উপজেলা পাটগ্রাম। শেষ প্রান্তের উপজেলায় রয়েছে ত্রিদেশীয় বাণিজ্যকেন্দ্র বুড়িমারী স্থলবন্দর। বাংলাদেশ রেলওয়ের চারটি বিভাগীয় সদর দপ্তরের মধ্যে লালমনিরহাট একটি।

লালমনিরহাটের বুড়িমারী থেকে বুড়িমারী এক্সপ্রেসের দাবিতে আজ সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
লালমনিরহাটের বুড়িমারী থেকে বুড়িমারী এক্সপ্রেসের দাবিতে আজ সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, রেলওয়ের বিভাগীয় শহর লালমনিরহাট জেলার যাত্রীদের জন্য দুটি আন্তনগর ট্রেন রয়েছে। একটি লালমনি এক্সপ্রেস। যা লালমনিরহাট শহর স্টেশন থেকে যাত্রা করে। অপরটি বুড়িমারী এক্সপ্রেস; যা বুড়িমারী থেকে যাত্রা শুরু করার কথা থাকলেও উদ্বোধনী দিনের পর থেকে আর ট্রেনটির দেখা পায়নি জেলার চারটি উপজেলার মানুষ। লালমনিরহাট রেলস্টেশন থেকে বুড়িমারী স্টেশনের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার। ফলে এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে জেলা সদরে এসে এসব আন্তনগর ট্রেন পেতে হয় জেলার চারটি উপজেলার মানুষকে। এ কারণে তাঁরা আন্তনগর ট্রেন দুটির সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পাশাপাশি বুড়িমারী স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী এবং পাসপোর্টধারী যাত্রীরাও ভোগান্তিতে পড়ছেন।

দাবি আদায়ের জন্য টানা সাত দিন ধরে লালমনিরহাট-বুড়িমারী রেলপথ অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। ফলে বাধ্য হয়ে এই রুটের সব ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত শনিবার হাতীবান্ধা রেলস্টেশন থেকে মশাল মিছিল করা হয়। গতকাল দিনভর রেলপথের পাশাপাশি লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়ক অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ করে রাখেন এলাকাবাসী।

হাতীবান্ধা মেডিকেল মোড়ে মহাসড়কের পাশে মঞ্চ করে মহাসড়কে বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। মহাসড়কে বিছানা করে রাতে ঘুমান তাঁরা। আজ দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে অবরোধ। এতে এ মহাসড়কের হাতীবান্ধার দুই প্রান্তে প্রায় চার কিলোমিটার পথে কয়েক শ যানবাহন আটকে পড়েছে। বাধ্য হয়ে যানবাহনের যাত্রীরা গাড়ি থেকে নেমে ছোট ছোট যানবাহনে যাতায়াত করেছেন। বিপাকে পড়েছেন বুড়িমারী স্থলবন্দরে পণ্যবাহী ট্রাকের চালকেরা। দ্বিতীয় দিনে এই রুটে যাত্রীবাহী কোনো গাড়ি নেই, রয়েছে ট্রাক।

অবরোধ কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বুড়িমারী টু ঢাকা আন্তনগর ট্রেন বাস্তবায়ন আন্দোলন পরিষদের সমন্বয়ক এম সাহিদুজ্জামান কোয়েল, ফিরোজ হোসেন, নিশাত ফারুক, সামসুল আলম খান বুলেট, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মহসিন আলম, রানা, তাওহীদ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত