শিপুল ইসলাম, রংপুর
‘বাহে কারেন্ট ঈদ-তাওয়ার কিছু বুঝে না, সউগ সময় ডিস্টাব দেয়। অফিস আদালত কারখানা সউগ বন্ধ, তাও কেন এ্যালা কারেন্ট থাকোছে না। পনেরো বিশ মিনিট থাকলে, দেড় দুই ঘণ্টা থাকোছে না। মাস ফুরাইলে তো বিল দেওছে, টাকা দেউছি তাহইলে হামরা কারেন্ট কেন পাওছি না। দ্যাশত কি কারেন্টের আকাল নাগিল নাগি।’
ঈদের দ্বিতীয় দিনের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে কথাগুলো বলছিলেন রংপুরের তারাগঞ্জে উপজেলার ছুট মেনানগর গ্রামের কৃষক সোলেমান মিয়া।
ঈদের দিন ও শুক্রবার (৩০ জুন) সারা দিন বাড়িতে আত্মীয়স্বজন আসা ও বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিং হওয়ায় বিড়ম্বনায় পড়েন তিনি। তাই তাঁর প্রশ্ন—সারা দেশেই কম-বেশি বৃষ্টি হচ্ছে, কলকারখানা সবকিছু বন্ধ থাকার পরও কেন বিদ্যুতের এমন ঘনঘন যাওয়া-আসা?
রংপুর শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার এবং তারাগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে ইকরচালী বাজারের অবস্থান। সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ না থাকায় পুরো বাজার ছিল অন্ধকারে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল থেকেই বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলা চলছে।
লোডশেডিং নিয়ে ওই বাজারে কথা হলে প্রামাণিকপাড়া গ্রামের দিনমজুর জরিবুল ইসলাম বলেন, ‘দ্যাওয়া নাগাইলেও কারেন্ট যায়, রইদ উঠালেইও কারেন্ট যায়। হামরা বাঁচমো কেমন করি। কারেন্ট খালি মিস্ছায়ানা (অল্প) সময় থাকে। না পাই ঠিক মতোন ফ্যানের বাতাস খাবার, না পাই রাইতো লাইট জ্বলার। খুব যন্ত্রণায় আছি এই কারেন্ট নিয়া।’
ঈদের সব কলকারখানা, অফিস-আদালত বন্ধ থাকার পরও গ্রামে লোডশেডিং বাড়ায় এমন আক্ষেপ শুধু কৃষক সোলেমান মিয়া ও দিনমজুর জরিবুল ইলামেরই নয়; গ্রামের প্রত্যেক গ্রাহকের।
তবে পল্লী বিদ্যুতের দাবি, ঈদ উপলক্ষ্যে গ্রাহক পর্যায়ে কোনো লোডশেডিং নেই। ১৮ মেগাওয়াট সরবরাহ রয়েছে। বৃষ্টিবাদলের কারণে ট্রান্সফরমার জ্বলে যাওয়া ও বৈদ্যুতিক তারে সমস্যার কারণে লাইন বন্ধ রাখতে হয়।
নারায়ণগঞ্জ গ্রামের গৃহবধূ বুলিমাই বলেন, ‘আইজ (শুক্রবার) সকালে দ্যাওয়া নাগাইতে কালায় কারেন্ট চলি গেইছে। আলছে আছরের আজাইনের সময়। আধা ঘণ্টা থাকি ফির চলি গেইছে। এই বছর কারেন্টের খুব সমস্যা হইছে। বছরখান যাওছে সারা দিনে অর্ধেক বেলাও কারেন্ট পাই না। দ্যাওয়ার পানি আইলে তো কারেন্ট ঘুম পাড়ে!’
ওই গ্রামের আরেক গৃহবধূ সায়মনা বেগম বলেন, ‘মিটার নাগাছি খালি ফাও টাকা দিবার তকনে। ওই আগের মোতন তো এ্যালাও ন্যাম্পো জ্বলাওছি, হাতপাখা দিয়া বাতাস খাওছি। কারেন্ট থাকি কোনো লাভ হওছে না। বছর বছর খালি কারেন্টের দাম বাড়াওছে, সারা দিন সরকার কারেন্ট দিবার পারোছে না।’
রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর তারাগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম মনোয়ার হোসেন সুমন বলেন, ‘বর্তমান ঈদ উপলক্ষে শহর-গ্রাম সবখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক আছে। তবে বৃষ্টি-বাদলের কারণে সমস্যা হওয়ায় হয়তো কোনো কোনো এলাকায় লোডশেডিং সাময়িক দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে চাহিদা ও সরবরাহ ১৮ মেগাওয়াট। তবে যখন লোডশেডিং হয়, তখন ১৮ মেগাওয়াটের জায়গায় ৫ থেকে ৬ মেগাওয়াট বরাদ্দ পাওয়া যায়। তাই আমরা সরবরাহ করি।’
‘বাহে কারেন্ট ঈদ-তাওয়ার কিছু বুঝে না, সউগ সময় ডিস্টাব দেয়। অফিস আদালত কারখানা সউগ বন্ধ, তাও কেন এ্যালা কারেন্ট থাকোছে না। পনেরো বিশ মিনিট থাকলে, দেড় দুই ঘণ্টা থাকোছে না। মাস ফুরাইলে তো বিল দেওছে, টাকা দেউছি তাহইলে হামরা কারেন্ট কেন পাওছি না। দ্যাশত কি কারেন্টের আকাল নাগিল নাগি।’
ঈদের দ্বিতীয় দিনের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে কথাগুলো বলছিলেন রংপুরের তারাগঞ্জে উপজেলার ছুট মেনানগর গ্রামের কৃষক সোলেমান মিয়া।
ঈদের দিন ও শুক্রবার (৩০ জুন) সারা দিন বাড়িতে আত্মীয়স্বজন আসা ও বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিং হওয়ায় বিড়ম্বনায় পড়েন তিনি। তাই তাঁর প্রশ্ন—সারা দেশেই কম-বেশি বৃষ্টি হচ্ছে, কলকারখানা সবকিছু বন্ধ থাকার পরও কেন বিদ্যুতের এমন ঘনঘন যাওয়া-আসা?
রংপুর শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার এবং তারাগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে ইকরচালী বাজারের অবস্থান। সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ না থাকায় পুরো বাজার ছিল অন্ধকারে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল থেকেই বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলা চলছে।
লোডশেডিং নিয়ে ওই বাজারে কথা হলে প্রামাণিকপাড়া গ্রামের দিনমজুর জরিবুল ইসলাম বলেন, ‘দ্যাওয়া নাগাইলেও কারেন্ট যায়, রইদ উঠালেইও কারেন্ট যায়। হামরা বাঁচমো কেমন করি। কারেন্ট খালি মিস্ছায়ানা (অল্প) সময় থাকে। না পাই ঠিক মতোন ফ্যানের বাতাস খাবার, না পাই রাইতো লাইট জ্বলার। খুব যন্ত্রণায় আছি এই কারেন্ট নিয়া।’
ঈদের সব কলকারখানা, অফিস-আদালত বন্ধ থাকার পরও গ্রামে লোডশেডিং বাড়ায় এমন আক্ষেপ শুধু কৃষক সোলেমান মিয়া ও দিনমজুর জরিবুল ইলামেরই নয়; গ্রামের প্রত্যেক গ্রাহকের।
তবে পল্লী বিদ্যুতের দাবি, ঈদ উপলক্ষ্যে গ্রাহক পর্যায়ে কোনো লোডশেডিং নেই। ১৮ মেগাওয়াট সরবরাহ রয়েছে। বৃষ্টিবাদলের কারণে ট্রান্সফরমার জ্বলে যাওয়া ও বৈদ্যুতিক তারে সমস্যার কারণে লাইন বন্ধ রাখতে হয়।
নারায়ণগঞ্জ গ্রামের গৃহবধূ বুলিমাই বলেন, ‘আইজ (শুক্রবার) সকালে দ্যাওয়া নাগাইতে কালায় কারেন্ট চলি গেইছে। আলছে আছরের আজাইনের সময়। আধা ঘণ্টা থাকি ফির চলি গেইছে। এই বছর কারেন্টের খুব সমস্যা হইছে। বছরখান যাওছে সারা দিনে অর্ধেক বেলাও কারেন্ট পাই না। দ্যাওয়ার পানি আইলে তো কারেন্ট ঘুম পাড়ে!’
ওই গ্রামের আরেক গৃহবধূ সায়মনা বেগম বলেন, ‘মিটার নাগাছি খালি ফাও টাকা দিবার তকনে। ওই আগের মোতন তো এ্যালাও ন্যাম্পো জ্বলাওছি, হাতপাখা দিয়া বাতাস খাওছি। কারেন্ট থাকি কোনো লাভ হওছে না। বছর বছর খালি কারেন্টের দাম বাড়াওছে, সারা দিন সরকার কারেন্ট দিবার পারোছে না।’
রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর তারাগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম মনোয়ার হোসেন সুমন বলেন, ‘বর্তমান ঈদ উপলক্ষে শহর-গ্রাম সবখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক আছে। তবে বৃষ্টি-বাদলের কারণে সমস্যা হওয়ায় হয়তো কোনো কোনো এলাকায় লোডশেডিং সাময়িক দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে চাহিদা ও সরবরাহ ১৮ মেগাওয়াট। তবে যখন লোডশেডিং হয়, তখন ১৮ মেগাওয়াটের জায়গায় ৫ থেকে ৬ মেগাওয়াট বরাদ্দ পাওয়া যায়। তাই আমরা সরবরাহ করি।’
বিভাগীয় শহর রংপুরে গত দেড় দশকে মানুষের পাশাপাশি বেড়েছে যানবাহনের চাপ। কিন্তু ট্রাফিক ব্যবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। এতে তীব্র যানজটে দুর্ভোগে পড়তে হয় নগরবাসীকে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে তিন বছর আগে ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নগরীতে ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপন করা হলেও তা কাজে আসছে না।
১ মিনিট আগেএককালে ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি। বিএনপির সমর্থন নিয়ে হয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানও। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ভিড়তে শুরু করেন শামীম ওসমানের সঙ্গে। ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।
৭ মিনিট আগেবিশাল সমুদ্রসৈকত। তারই এক পাশের মাটি কেটে বানানো হচ্ছে বাড়ি। কেউ আবার বাড়ির আদলে পুকুর কেটে রেখেছে। অনেকে মাটি কেটে নিজেদের সীমানা তৈরি করেছে। গত ৫ আগস্ট রাজনীতির পটপরিবর্তনের পর পর্যটন সম্ভাবনাময় এলাকা নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপ সৈকতের চিত্র এটি। সেখানে চলছে সৈকতের জায়গা দখলের
১৩ মিনিট আগেসুন্দরবনে ফের বেড়েছে বনদস্যুদের উৎপাত। জেলে ও বাওয়ালিদের জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা আদায় করছে তারা। আতঙ্কে অনেকে পেশা ত্যাগ করছেন। অনেকে আবার কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ দাবি করেছেন।
২১ মিনিট আগে