Ajker Patrika

স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার মারধরে যুবদল নেতা আহত

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ মে ২০২৫, ১৫: ৫০
আহত যুবদল নেতা পাপুল সরকারকে দেখতে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে অন্যান্য নেতাকর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আহত যুবদল নেতা পাপুল সরকারকে দেখতে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে অন্যান্য নেতাকর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাইবান্ধা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব মাহমুদুল হক মামুনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে যুবদল নেতা পাপুল সরকারকে (৩৫) মারপিটের অভিযোগ উঠছে। আহত পাপুল সরকার গাইবান্ধা সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি ওই ইউনিয়নের সাতানি সাদেকপুর গ্রামের মো. ডাবলু সরকারের ছেলে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের খামার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার রাতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব শহর থেকে আওয়ামী লীগ-যুবলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে পাপুল সরকারের ওপর হামলা করে মারপিট করেন। প্রাণ বাঁচাতে ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী জাকির মিয়ার বাড়িতে গিয়ে পাপুল আশ্রয় নেন। সেখানেও তার ওপর হামলা করা হয়। জাকির মিয়ার বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। পরে গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। ঘটনাস্থল থেকে আহত পাপুল সরকারকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

খবর পেয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন্নবী টিটুল, জেলা যুবদলের সভাপতি রাগীব হাসান চৌধুরী, সিনিয়র সভাপতি শফিকুল ইসলাম লিপন, সদর থানা যুবদলের আহ্বায়ক ইউনুস আলী দুখু, সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট খন্দকার আল আমিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাহজালাল সরকার খোকনসহ অনেকেই হাসপাতালে ছুটে যান।

আহত পাপুল সরকার বলেন, ‘তুলসীঘাট বাজার থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিই। খামার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে স্বেচ্ছাসেবক দলের জেলা সদস্যসচিব মাহমুদুল হক মামুন ও যুবলীগ নেতা রাজীবসহ বেশ কয়েকজন আমার পথ রোধ করে হঠাৎ মারপিট শুরু করে। আমাকে তাদের গাড়িতে জোরপূর্বক ওঠানোর চেষ্টা করে। এ সময় আমি দৌড়ে পার্শ্ববতী এক বাড়িতে আশ্রয় নিই। সেখানেও তারা হামলা করে।’

তিনি বলেন, ‘আমি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করি।’

সদর থানা যুবদলের আহ্বায়ক ইউনুস আলী দুখু বলেন, ‘এভাবে জাতীয়তাবাদী একজন পরীক্ষিত সৈনিকের ওপর হামলা মেনে নেওয়া যায় না, যাবে না। যে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন লড়াই-সংগ্রাম করেছি, সেই দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে যুবদল নেতার ওপর হামলা করা ঠিক হয়নি। আমরা হামলার দ্রুত বিচার দাবি করছি।’

জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাহজালাল সরকার খোকন বলেন, ‘যুবদলের নেতার ওপর হামলার তীব্র প্রতিবাদ করছি। যার আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, জাতীয়তাবাদী ছাতার নিচে সেই নেতার আশ্রয় হবে না। আমি বিষয়টি কেন্দ্রকে অবগত করব। তারা এ বিষয়ে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেবে।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাহমুদুল হক মামুন বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম। তবে আমি এই হামলার সঙ্গে জড়িত নই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এক ভিসায় ছয় দেশ

এর জবাব দেশে দিইনি, জাপানে দিলে বিপদ হবে: পদত্যাগ প্রশ্নে ড. ইউনূস

চট্টগ্রামে নারীকে লাথি মেরে ফেলে দেওয়া ‘শিবিরের লোক’ আকাশ চৌধুরীকে ধরছে না পুলিশ

চারটি গুলির পর নিরস্ত্র মেজর সিনহার গলায় পাড়া দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়: অ্যাটর্নি জেনারেল

‘বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতলেও পাকিস্তানের কোনো লাভ হবে না’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত