তাজরুল ইসলাম, পীরগাছা (রংপুর)
রংপুরের পীরগাছায় আলুর বাম্পার ফলন হলেও হাসি নেই চাষিদের মুখে। বাজারে দাম না থাকায় আগাম আলু নিয়ে মহাবিপাকে পড়েছেন তাঁরা। উৎপাদন খরচ উঠছে না কৃষকদের। গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি দাম অর্ধেকের বেশি কমে গেছে। ফলে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছেন আলুচাষিরা।
গতকাল সোমবার পীরগাছা উপজেলার বেশ কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এ বছর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ১৩ হাজার ২০০ হেক্টরে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করা হয়েছে। তবে কৃষকদের দাবি, এ বছর ২০ হাজারের বেশি হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে, যা বিগত কয়েক বছরের রেকর্ড পরিমাণ। এর মধ্যে প্রায় এক হাজার হেক্টরে আগাম জাতের আলু চাষ করা হয়।
বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর আলুর আকাশচুম্বী দাম থাকায় লোভে পড়ে এ বছর বেশি পরিমাণে চাষ করা হয়। প্রতি কেজি আলুর বীজ ১১০-১২০ টাকা দরে কিনে রোপণ করেন কৃষকেরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। আগাম জাতের আলু উত্তোলন করে কৃষকেরা এখন অন্য ফসল রোপণ করবেন। এদিকে কোল্ডস্টোরেজগুলো এখনো খোলা হয়নি। ফলে উভয়সংকটে পড়ে কৃষকেরা এখন পানির দামে আলু বিক্রি করছেন। বর্তমানে প্রতি কেজি ইস্ট্রিক জাতের আলু ১০, সেভেন জাতের ৭-৮, লাল পাকরি জাতের ১২-১৫ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। গত বছর ইস্ট্রিক জাতের আলু ছিল ২৫-২৭, সেভেন জাতের ২২-২৫ এবং লাল পাকরি জাতের ৩০-৩৫ টাকা কেজি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ও তাম্বুলপুর ইউনিয়নের তিস্তা নদীর চরাঞ্চল ও বিভিন্ন ইউনিয়নে উঁচু জমিগুলোতে আগাম জাতের আলু বেশি চাষ করা হয়েছে।
ছাওলা ইউনিয়নের শিবদেব চর গ্রামের আলুচাষি জয়নাল মিয়া বলেন, ‘গত বছর দাম অনেক বেশি ছিল। তাই ধারদেনা করে ১১০ টাকা কেজি দরে বীজ কিনে আগাম আলু চাষ করেছি। এখন দেখি বাজারে দাম নেই। কোল্ডস্টোরেজও বন্ধ।’
নয়ারহাট এলাকার কৃষক আব্দুল খালেক মিয়া বলেন, ‘আগাম আলু সংরক্ষণ ও বাইরে রপ্তানির কোনো সুযোগ না থাকায় আমরা দাম পাচ্ছি না।’
পীরগাছা বাজারের আলু ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত বছরে তুলনায় বেশি পরিমাণে আলু চাষ এবং উৎপাদন বেশি হওয়ায় বাজারে দাম নেই।
পীরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বছর পীরগাছায় রেকর্ড পরিমাণ আলু চাষ হয়েছে। ফলনও ভালো। তবে আগাম জাতের আলু সংরক্ষণের কোনো সুযোগ নেই। আর বোরো চাষাবাদের জন্য কৃষকেরা আলু উত্তোলন করছেন। আলু সংরক্ষণ করে রাখা হলে পরে দাম বাড়তে পারে।
রংপুরের পীরগাছায় আলুর বাম্পার ফলন হলেও হাসি নেই চাষিদের মুখে। বাজারে দাম না থাকায় আগাম আলু নিয়ে মহাবিপাকে পড়েছেন তাঁরা। উৎপাদন খরচ উঠছে না কৃষকদের। গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি দাম অর্ধেকের বেশি কমে গেছে। ফলে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছেন আলুচাষিরা।
গতকাল সোমবার পীরগাছা উপজেলার বেশ কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এ বছর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ১৩ হাজার ২০০ হেক্টরে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করা হয়েছে। তবে কৃষকদের দাবি, এ বছর ২০ হাজারের বেশি হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে, যা বিগত কয়েক বছরের রেকর্ড পরিমাণ। এর মধ্যে প্রায় এক হাজার হেক্টরে আগাম জাতের আলু চাষ করা হয়।
বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর আলুর আকাশচুম্বী দাম থাকায় লোভে পড়ে এ বছর বেশি পরিমাণে চাষ করা হয়। প্রতি কেজি আলুর বীজ ১১০-১২০ টাকা দরে কিনে রোপণ করেন কৃষকেরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। আগাম জাতের আলু উত্তোলন করে কৃষকেরা এখন অন্য ফসল রোপণ করবেন। এদিকে কোল্ডস্টোরেজগুলো এখনো খোলা হয়নি। ফলে উভয়সংকটে পড়ে কৃষকেরা এখন পানির দামে আলু বিক্রি করছেন। বর্তমানে প্রতি কেজি ইস্ট্রিক জাতের আলু ১০, সেভেন জাতের ৭-৮, লাল পাকরি জাতের ১২-১৫ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। গত বছর ইস্ট্রিক জাতের আলু ছিল ২৫-২৭, সেভেন জাতের ২২-২৫ এবং লাল পাকরি জাতের ৩০-৩৫ টাকা কেজি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ও তাম্বুলপুর ইউনিয়নের তিস্তা নদীর চরাঞ্চল ও বিভিন্ন ইউনিয়নে উঁচু জমিগুলোতে আগাম জাতের আলু বেশি চাষ করা হয়েছে।
ছাওলা ইউনিয়নের শিবদেব চর গ্রামের আলুচাষি জয়নাল মিয়া বলেন, ‘গত বছর দাম অনেক বেশি ছিল। তাই ধারদেনা করে ১১০ টাকা কেজি দরে বীজ কিনে আগাম আলু চাষ করেছি। এখন দেখি বাজারে দাম নেই। কোল্ডস্টোরেজও বন্ধ।’
নয়ারহাট এলাকার কৃষক আব্দুল খালেক মিয়া বলেন, ‘আগাম আলু সংরক্ষণ ও বাইরে রপ্তানির কোনো সুযোগ না থাকায় আমরা দাম পাচ্ছি না।’
পীরগাছা বাজারের আলু ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত বছরে তুলনায় বেশি পরিমাণে আলু চাষ এবং উৎপাদন বেশি হওয়ায় বাজারে দাম নেই।
পীরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বছর পীরগাছায় রেকর্ড পরিমাণ আলু চাষ হয়েছে। ফলনও ভালো। তবে আগাম জাতের আলু সংরক্ষণের কোনো সুযোগ নেই। আর বোরো চাষাবাদের জন্য কৃষকেরা আলু উত্তোলন করছেন। আলু সংরক্ষণ করে রাখা হলে পরে দাম বাড়তে পারে।
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো ভবনের আগুন প্রায় ২৭ ঘণ্টার চেষ্টায় নিভেছে। এর আগেই ভবনে থাকা আমদানি করা সব পণ্য পুড়ে গেছে। এগুলোর মধ্যে ছিল জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তৈরির কাঁচামাল, গার্মেন্টস পণ্য, কম্পিউটার ও মোবাইলের যন্ত্রাংশ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের
৫ মিনিট আগেবাগেরহাটের মোংলা ও খুলনার দাকোপ উপজেলার ১০ হাজারের বেশি শ্রমিককে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে করে দুটি নদী পার হয়ে প্রতিদিন কর্মস্থল মোংলা ইপিজেড ও মোংলা বন্দর শিল্পাঞ্চলে আসা-যাওয়া করতে হয়। এসব কর্মজীবী মানুষকে পারাপারে ট্রলারচালক ও মালিক সমিতি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
১১ মিনিট আগেসুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদীতে চলছে বালু লুটের মহোৎসব। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে রয়েছে নদীর তীরবর্তী বসতবাড়ি ও কৃষিজমি থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, ৮৬ কোটি টাকার আরেফিন-অদ্বৈত মৈত্রী সেতু এবং ঐতিহ্যবাহী অদ্বৈত মন্দিরের মতো স্থাপনা।
১৪ মিনিট আগেচট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সারিবদ্ধ আটটি কফিন। প্রতিটিতে শায়িত একেকজন প্রবাসী। কিছুদিন আগেই তাঁরা হাসিমুখে বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন। সন্তানের কপালে চুমু দিয়ে, স্ত্রীকে সন্তানের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে দেশ ছেড়েছিলেন। মা-বাবার কাছে আরজি ছিল, ‘নিজের খেয়াল রেখো।’ কিন্তু আজ তাঁরা নিথর।
১৮ মিনিট আগে