Ajker Patrika

কাজে আসছে না ৩০ হাজার টাকায় তৈরি বেসিন

প্রতিনিধি, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
কাজে আসছে না ৩০ হাজার টাকায় তৈরি বেসিন

বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ার পর নীলফামারীর সৈয়দপুরে জনসমাগমস্থলে তিনটি বেসিন নির্মাণ করেছিল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রতিটি ৩০ হাজার করে মোট ৯০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছিল এতে। দেশে করোনা পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না এলেও হাত ধোয়ার উপকরণ রাখা হয় না বেসিনগুলোতে। এতে নির্মাণের এক বছরেই অনেকটা পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে বেসিনগুলো। 

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা চত্বর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের সামনে হাত ধোয়ার বেসিন নির্মাণ করা হয়। প্রতিটি বেসিনের নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৩০ হাজার ১০০ টাকা করে। তিনটি বেসিন নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছিল ৯০ হাজার ৩০০ টাকা। 

বেশ আয়োজনের সঙ্গেই বেসিনগুলো তৈরি করা হলেও কিছুদিনের মধ্যেই হাত ধোয়ার উপকরণ হাওয়া গেছে। যদিও স্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, বেসিনগুলোতে নিয়মিত সাবান রাখা হয়। কিন্তু সাবান থাকে না। চুরি হয়ে যায়। থাকলেও মানুষের মধ্যে এখন আর হাত ধোয়ার আগ্রহ নেই। 

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ চত্বরে নির্মিত বেসিনে সাবান রাখার জায়গা থাকলেও নেই সাবান, নেই হাত ধোয়ার পানি। ভেতরে ধুলোবালি, আর ময়লা জমে আছে। সেখানে বসানো স্বয়ংক্রিয় জীবাণুনাশক টানেলটি অযত্নে এক কোনায় ফেলে রাখা হয়েছে। 

এদিকে সরকারি টাকায় নির্মিত বেসিনগুলোর এত দ্রুত পরিত্যক্ত অবস্থায় চলে যাওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা। দ্রুত সংস্কার করে জনসাধারণের ব্যবহারের উপযোগী করার দাবিও জানিয়েছে সচেতন মহল। 

এ বিষয়ে সৈয়দপুর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ নার্জিজ বানু বলেন, ‘করোনা মহামারি মোকাবিলা করতে হচ্ছে মানুষকে। এখন ঘন ঘন হাত ধোয়া প্রয়োজন। তাই মানুষ যাতে বেসিন ব্যবহার করতে পারে, সেদিকে নজর দেওয়া উচিত।’ 

একই মত ব্যক্ত করলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলেমুল বাশার। তিনি বলেন, কোভিড ১৯-এর প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে হলে আবশ্যিকভাবে সবাইকে ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, তথা ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। 

এ ব্যাপারে কথা হয় উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আবদুস সালামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘যে অফিস বা প্রতিষ্ঠানের সামনে হাত ধোয়ার বেসিনগুলো নির্মাণ করা হয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তাদের। যদি বড় ধরনের কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে তা দেখার দায়িত্ব আমাদের।’ 

এ বিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম হুসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এ উপজেলায় নতুন। বেসিনগুলো যাতে ব্যবহারোপযোগী থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখা হবে। তা ছাড়া সচেতন করা হলেও মানুষ হাত ধুতে চায় না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত