Ajker Patrika

শিশু মাইশাকে অপারেশনের নামে ‘হত্যার’ অভিযোগে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ 

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
শিশু মাইশাকে অপারেশনের নামে ‘হত্যার’ অভিযোগে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ 

কুড়িগ্রামের শিশু মাইশার হাত অপারেশনের সময় মৃত্যুর ঘটনাকে ‘হত্যা’ দাবি করে অপারেশনে নিয়োজিত ঢাকার সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। আজ শনিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে কুড়িগ্রাম পৌরসভা এলাকার ভেলাকোপা ব্যাপারী পাড়া থেকে শত শত নারী-পুরুষ বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহর প্রদক্ষিণ করে।

পরে এলাকাবাসী পৃথক পৃথকভাবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও সদর থানার সামনে অবস্থান নিয়ে মিরপুরের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের অভিযুক্ত চিকিৎসক আহসান হাবীবসহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের বিচারের দাবি জানায়। 

বিক্ষোভ মিছিলে ‘ডাক্তার নামের কসাই আহসান হাবীবের ফাঁসি চাই’, ‘খুনি ডাক্তারের ফাঁসি চাই’, ‘নিষ্পাপ শিশু মাইশা মরলো কেন প্রশাসন জবাব চাই,- নানা স্লোগানে শহর প্রদক্ষিণ করেন এলাকাবাসী।

মিছিল শেষে কুড়িগ্রাম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিন নিহত শিশু মাইশার স্বজনদের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা শুনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন। 

প্রসঙ্গত, গত বুধবার ঢাকার মিরপুরের রূপনগরে আলম মেমোরিয়াল হাসপাতালে মাইশা নামে কুড়িগ্রামের এক শিশুর হাতের আঙুলের অপারেশন করার সময় শিশুটির মৃত্যু হয়। পরে সেদিনই শিশুটির মরদেহ নিয়ে কুড়িগ্রামে ফিরে আসে তার বাবা-মা। দাফনের আগে শিশু মাইশার গোসল করানো নারীরা দেখতে পান, মাইশার নাভির নিচে পেট জুড়ে কেটে সেলাই করা। এ ঘটনা প্রকাশ হলে এলাকায় নানা গুঞ্জন শুরু হয়।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও সদর থানার সামনে অবস্থান নিয়ে অভিযুক্তদের বিচারের দাবি জানান স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকাশিশুটির পরিবারের দাবি, হাতের অপারেশন করার সময় তাদের মেয়ের পেট কেন কাটা হয়েছে তা তারা জানেন না। এ ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানায় শিশুটির পরিবার ও এলাকাবাসী।

তবে মিরপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. আহসান হাবীব দাবি করেন, ‘তিনি অপারেশন করেননি। রূপনগরের আলম মেমোরিয়াল হাসপাতালে অপারেশন অ্যারেঞ্জ করে দিয়েছেন। শিশুটির মৃত্যু নিছক দুর্ঘটনা। হাতের কাটা অংশে স্ক্রিন জোড়া দিতেই পেটের নিচের অংশ থেকে স্ক্রিন কেটে নিয়ে সেলাই করা হয়েছিল। এখানে অন্য কোনো কারণ নেই। অ্যানেসথেসিয়ার কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত