Ajker Patrika

সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ চলাচল স্বাভাবিক

নীলফামারী প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২২, ২০: ০১
সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ চলাচল স্বাভাবিক

ঘন কুয়াশা কেটে যাওয়ার সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর বেলা আড়াইটার দিকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এর আগে ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কম থাকায় আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত বিমানবন্দরে কোনো উড়োজাহাজ অবতরণ করতে পারেনি। এতে সকাল ৯টা থেকে বাংলাদেশ বিমান, ইউএস-বাংলা ও নভোএয়ারের পাঁচটি ফ্লাইট অবতরণ না করায় ঢাকাগামী তিন শতাধিক যাত্রী দুর্ভোগে পড়েন।

আবহাওয়া অফিসের সূত্রমতে, উত্তরের জেলা নীলফামারীতে ক্রমান্বয়ে তাপমাত্রার পারদ কমছে। গত এক সপ্তাহ থেকে এ অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৩ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। সেই সঙ্গে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত চারদিক ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে। 

এ বিষয়ে সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের পরিদর্শক লোকমান হোসেন বলেন, আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল বুধবারের চেয়ে দশমিক ৩ ডিগ্রি কমেছে। আজ ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কম থাকায় বেলা আড়াইটা পর্যন্ত সৈয়দপুর বিমানবন্দরে কোনো উড়োজাহাজ অবতরণ করেনি। সাধারণত ২ হাজার মিটার দৃষ্টিসীমা থাকলে উড়োজাহাজ উঠানামা করতে পারে। 

এ ব্যাপারে বিমানবন্দর ম্যানেজার সুপ্লব কুমার ঘোষ বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে বিমানবন্দরের বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছিল। শীতকালে বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রায়ই উড়োজাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। তবে কোনো ফ্লাইট বাতিল করা হয়নি। বেলা আড়াইটার দিকে কুয়াশা কেটে গেলে উড়োজাহাজ চলাচল স্বাভাবিক হয়। 

অপরদিকে, সৈয়দপুরে চলাচলকারী এনা ট্রান্সপোর্ট কমিশন এজেন্ট ফয়সাল দিদার দিপু জানান, কুয়াশার কারণে মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করেছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে উত্তরাঞ্চলের পথে ছেড়ে আসা দূরপাল্লার নৈশকোচগুলো ঘন কুয়াশার কবলে পড়েছে। ধীর গতিতে চলার কারণে এক থেকে দেড় ঘণ্টা বিলম্বে গাড়িগুলো গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে। কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনাও ঘটছে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

নীলফামারী শহরের চৌরাঙ্গী মোড়ের রিকশাচালক আবুল হোসেন বলেন, ‘আজ সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত রিকশায় কোনো যাত্রী তুলতে পারিনি। কুয়াশার কারণে সকালের দিকে বাজারে লোকজনের উপস্থিতিও কম ছিল। অপরদিকে, বেলা ১১টার পর দোকানপাট খুলতে শুরু করে।’ 

সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ওবায়দুল ইসলাম রতন আজকের পত্রিকাকে জানান, ঘন কুয়াশার কারণে সকালে ট্রেনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করেছে। তবে শিডিউল বিপর্যয় হয়নি। যাত্রীদের উপস্থিতিও ছিল স্বাভাবিক। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত