জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন ইরফান আলী (৩৮)। তিনি নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলস্টেশনে কুলির কাজ করেন। সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় তাঁর এ অবস্থা। পরিবারের সদস্যদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে গিয়ে হয়েছেন ঋণগ্রস্ত। শুধু তিনি নন, তাঁর মতো করুণ অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন জেলার চারটি স্টেশনের ৭০ জন কুলি।
তথ্যমতে, উত্তরের জেলা নীলফামারীর ৫৬ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে চারটি স্টেশনে ট্রেনে যাত্রী ওঠানামা করে। এসব স্টেশনে যাত্রীদের মালামাল বহনের জন্য তালিকাভুক্ত কুলি রয়েছেন। এর মধ্যে চিলাহাটি স্টেশনে ১১ জন, ডোমারে ২৬ জন, নীলফামারীতে ১৮ জন ও সৈয়দপুর স্টেশনে ১৫ জন। তবে রেলওয়ে থেকে কোনো ভাতা বা মজুরি পান না তাঁরা। যাত্রীদের মালামাল বহন করে পাওয়া অর্থেই পরিবারের ভরণপোষণ চলে তাঁদের।
১৯ জুলাই থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে নীলফামারীর চিলাহাটি-ঢাকা রুটে আন্তনগর ‘নীলসাগর’ ও ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’, খুলনা-চিলাহাটি রুটে আন্তনগর ‘রূপসা’, ‘সীমান্ত' ও লোকাল ট্রেন ‘রকেট’ এবং রাজশাহী-চিলাহাটি রুটে আন্তনগর ‘বরেন্দ্র’ ও ‘তিতুমীর’সহ অন্য লোকাল ট্রেনগুলোর চলাচল বন্ধ রয়েছে। ট্রেনের যাত্রীদের মালামাল ওঠানামা থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে ভরণপোষণ চলে এসব কুলি পরিবারের।
ট্রেন বন্ধ থাকায় অনাহারে দিন কাটাচ্ছে চিলাহাটি স্টেশনের পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সী কুলি দুলাল হোসেনের পরিবার। তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে এ স্টেশনে কুলির কাজ করছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় চিলাহাটি বাজারে ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন পণ্য লোড-আনলোডের কাজ করছি। এতে যে টাকা আয় হয়, তা দিয়ে পরিবারের সদস্যরা এক বেলা দুমুঠো খেতে পারছে।’
সৈয়দপুর স্টেশনের কুলির সর্দার আব্বাছ আলী বলেন, ‘দৈনিক সামান্য আয়ের টাকা দিয়ে সংসারের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয়। তাই কুলিদের ঘরে কখনো টাকা সঞ্চয় হয় না। ১২ দিন ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় আপাতত দৈনিক ভাড়ায় রিকশা, ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছি। অনেকেই ধার-দেনা করে সংসার চালাতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন।’
তিনি বলেন, ‘আশা করছি, শিগগিরই ট্রেন চলাচল শুরু হলে এ অবস্থা থেকে সামলে উঠতে পারব। আর যদি এটি দীর্ঘ সময় হয়, তাহলে অনেকেই অন্য পেশায় স্থায়ীভাবে যুক্ত হয়ে পড়বে।’
নীলফামারী রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার ওবায়দুল ইসলাম রতন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের সীমান্তবর্তী এ জেলার কুলি পরিবার অতিকষ্টে দিন পার করছেন। পাশাপাশি স্টেশনকেন্দ্রিক টি-স্টলগুলো বন্ধ রয়েছে। অনেকের পণ্য নষ্ট হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, আগে স্টেশনের পথশিশু ও মানসিক ভারসাম্যহীনদের জন্য বাইরে থেকে খাবার দিয়ে যেত অনেক মানবিক মানুষ। কিন্তু এখন স্টেশন বন্ধ থাকায় কেউ তাদের জন্য খাবার নিয়ে আসে না। তিনি সমাজের বিত্তবান ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে মানবিকভাবে স্টেশনের কুলিদের সাহায্যের অনুরোধ জানান। তবে কবে নাগাদ ট্রেন চলাচল শুরু হবে সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা এখনো পাননি বলে জানান তিনি।
মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন ইরফান আলী (৩৮)। তিনি নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলস্টেশনে কুলির কাজ করেন। সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় তাঁর এ অবস্থা। পরিবারের সদস্যদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে গিয়ে হয়েছেন ঋণগ্রস্ত। শুধু তিনি নন, তাঁর মতো করুণ অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন জেলার চারটি স্টেশনের ৭০ জন কুলি।
তথ্যমতে, উত্তরের জেলা নীলফামারীর ৫৬ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে চারটি স্টেশনে ট্রেনে যাত্রী ওঠানামা করে। এসব স্টেশনে যাত্রীদের মালামাল বহনের জন্য তালিকাভুক্ত কুলি রয়েছেন। এর মধ্যে চিলাহাটি স্টেশনে ১১ জন, ডোমারে ২৬ জন, নীলফামারীতে ১৮ জন ও সৈয়দপুর স্টেশনে ১৫ জন। তবে রেলওয়ে থেকে কোনো ভাতা বা মজুরি পান না তাঁরা। যাত্রীদের মালামাল বহন করে পাওয়া অর্থেই পরিবারের ভরণপোষণ চলে তাঁদের।
১৯ জুলাই থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে নীলফামারীর চিলাহাটি-ঢাকা রুটে আন্তনগর ‘নীলসাগর’ ও ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’, খুলনা-চিলাহাটি রুটে আন্তনগর ‘রূপসা’, ‘সীমান্ত' ও লোকাল ট্রেন ‘রকেট’ এবং রাজশাহী-চিলাহাটি রুটে আন্তনগর ‘বরেন্দ্র’ ও ‘তিতুমীর’সহ অন্য লোকাল ট্রেনগুলোর চলাচল বন্ধ রয়েছে। ট্রেনের যাত্রীদের মালামাল ওঠানামা থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে ভরণপোষণ চলে এসব কুলি পরিবারের।
ট্রেন বন্ধ থাকায় অনাহারে দিন কাটাচ্ছে চিলাহাটি স্টেশনের পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সী কুলি দুলাল হোসেনের পরিবার। তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে এ স্টেশনে কুলির কাজ করছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় চিলাহাটি বাজারে ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন পণ্য লোড-আনলোডের কাজ করছি। এতে যে টাকা আয় হয়, তা দিয়ে পরিবারের সদস্যরা এক বেলা দুমুঠো খেতে পারছে।’
সৈয়দপুর স্টেশনের কুলির সর্দার আব্বাছ আলী বলেন, ‘দৈনিক সামান্য আয়ের টাকা দিয়ে সংসারের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয়। তাই কুলিদের ঘরে কখনো টাকা সঞ্চয় হয় না। ১২ দিন ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় আপাতত দৈনিক ভাড়ায় রিকশা, ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছি। অনেকেই ধার-দেনা করে সংসার চালাতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন।’
তিনি বলেন, ‘আশা করছি, শিগগিরই ট্রেন চলাচল শুরু হলে এ অবস্থা থেকে সামলে উঠতে পারব। আর যদি এটি দীর্ঘ সময় হয়, তাহলে অনেকেই অন্য পেশায় স্থায়ীভাবে যুক্ত হয়ে পড়বে।’
নীলফামারী রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার ওবায়দুল ইসলাম রতন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের সীমান্তবর্তী এ জেলার কুলি পরিবার অতিকষ্টে দিন পার করছেন। পাশাপাশি স্টেশনকেন্দ্রিক টি-স্টলগুলো বন্ধ রয়েছে। অনেকের পণ্য নষ্ট হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, আগে স্টেশনের পথশিশু ও মানসিক ভারসাম্যহীনদের জন্য বাইরে থেকে খাবার দিয়ে যেত অনেক মানবিক মানুষ। কিন্তু এখন স্টেশন বন্ধ থাকায় কেউ তাদের জন্য খাবার নিয়ে আসে না। তিনি সমাজের বিত্তবান ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে মানবিকভাবে স্টেশনের কুলিদের সাহায্যের অনুরোধ জানান। তবে কবে নাগাদ ট্রেন চলাচল শুরু হবে সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা এখনো পাননি বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় লবণের মাঠ দখল ও পূর্বশত্রুতার জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার সরল ইউনিয়নের উত্তর সরল নতুন বাজার এলাকায় স্থানীয় জাফর ও কবির গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ
২৪ মিনিট আগেখুলনার প্রবীণ রাজনীতিবিদ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এম এম মজিবর রহমানকে (৭০) গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর ময়লাপোতা মোড় এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৭ মিনিট আগেকুড়িগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ মঙ্গলবার সকালে শহরের নিজ বাসভবন থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
৩১ মিনিট আগেমুন্সিগঞ্জে অটোরিকশা ছিনতাইকালে যুবদলের এক নেতা পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফিরোজ কবির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। আটক সম্রাট ওরফে বাবু মিজি (৩৬) সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
১ ঘণ্টা আগে