Ajker Patrika

দিনাজপুরে জমতে শুরু করেছে ঈদের বেচাকেনা

দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরে জমতে শুরু করেছে ঈদের বেচাকেনা

দিনাজপুরে ঈদকে সামনে রেখে শপিংমলগুলো জমতে শুরু করেছে। রমজানের প্রথম দশকে ক্রেতা সমাগম তেমন না হলেও মাঝ সময়ে বিক্রি বেড়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বাজেট নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ থাকলেও এবারের বেচাকেনা নিয়ে বেশ আশাবাদী ব্যবসায়ীরা। 

শহরের লুৎফুন্নেসা টাওয়ার, গুলশান মার্কেট, আব্দুর রহিম সুপার মার্কেট, জাবেদ সুপার মার্কেট, উত্তরা সুপার মার্কেট ও মালদহপট্টির কাপড়ের দোকান ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই ক্রেতারা ভিড় করছেন। সবচেয়ে বেশি চাহিদা শিশুদের কাপড়ের। পাশাপাশি মহিলাদের কাপড়ের চাহিদাও বেশি। এবারের ঈদে বেশি বিক্রি হচ্ছে নায়রা, ঐশ্বরিয়া, শাড়ি, থ্রিপিস, পাঞ্জাবি, সারারা থ্রিপিস, গারারাহ থ্রিপিস ও শাড়ি ইত্যাদি। তবে এ বছর ভারতীয় কাপড়ের দাপট তুলনামূলক কম বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। 

বাজারে দেশি থ্রি পিচ ৭০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, জর্জেট থ্রি পিচ ৮০০ থেকে তিন হাজার টাকা, লেহেঙ্গা তিন হাজার ৫০০ থেকে সাত হাজার টাকা, প্রকার ভেদে আরও বেশি। দেশি সুতি, টাঙ্গাইল শাড়ি ৬০০ থেকে তিন হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 

এ ছাড়া পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ৬০০ টাকা থেকে দুই হাজার এমনকি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত। এর মধ্যে মটকা ছয় হাজার টাকা, সিল্ক চার হাজার থেকে চার ৫০০ টাকা, এনডি কটন/এনডি সিল্ক ছয় হাজার টাকা, রাজশাহী সিল্ক চার হাজার টাকা থেকে চার হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 

বাহাদুর বাজারের জাভেদ সুপার মার্কেটের তামান্না জামদানি হাউসের স্বত্বাধিকারী শাহানাজ বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই বছর করোনার কারণে কোনো ব্যবসা হয়নি। ১০ রমজান পর্যন্ত তেমন বেচাকেনা হয়নি। এরপর থেকে ক্রেতারা আসছেন। বেচা-বিক্রিও ভালো হচ্ছে। তবে ক্রেতাদের অধিকাংশই শহরের। গ্রামের ক্রেতাদের এবার তেমন দেখা মিলছে না।’ 

উত্তরা সুপার মার্কেটের রেশমা পাঞ্জাবি হাউসের স্বত্বাধিকারী মো. লিটন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিক্রি মোটামুটি হচ্ছে। তবে, এ বছর সবকিছুর দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারা পাঞ্জাবির দাম নিয়ে বেশ কষাকষি করছেন। বিক্রি ভালো হলেও লাভ খুবই কম। সীমিত লাভে এবার ব্যবসা করতে হচ্ছে।’ 

কাপড়ের দোকানগুলোতে ঈদের বেচাকেনা বেড়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকাজাবেদ সুপার মার্কেটের নাবহান কালেকশনের স্বত্বাধিকারী জাফর ইকবাল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেচা-কেনা মোটামুটি ভালো। শেষের দিকে বিক্রি আরও বাড়বে।’ 

মালদহপট্টি স্বপ্ন প্রসাধনীর স্বত্বাধিকারী আমির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লোকজন এখন কাপড়–চোপড় কেনা কাটা নিয়ে ব্যস্ত। কসমেটিকসের কেনাকাটা এখন তেমন শুরু হয়নি। সাধারণত রমজানের শেষ দিকে কসমেটিকসের দোকানে ভিড় বাড়তে থাকে।’ 

শহরের রামনগর থেকে ছেলে–মেয়ের জন্য রেডিমেড পোশাক কিনতে এসেছেন আবু তালেব দম্পতি। তারা জানান, ‘জিনিসপত্রের যে দাম। হাতের অবস্থা ভালো নয়। কিন্তু বাচ্চারা তো সেটা মানছে না। তাই বাচ্চাদের কাপড় কিনতে এসেছি।’ 

এদিকে রমজান উপলক্ষে জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত বাহিনীর পাশাপাশি শেষের দিকে বিশেষ টহল ও সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর টহল বাড়ানো কথা জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তোমাদের যে কিছু করিনি, তা-ই ভাগ্য—ডাকাতির সময় দুই কিশোরীকে সাবেক সেনা কর্মকর্তা

গাজীপুরে সাংবাদিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা

সাধুর বেশে এসে সাবেক স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা

স্টার্টআপ থেকে স্মার্ট সিটি: যেভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগ টানছে বাংলাদেশ

গাজীপুরে ইট দিয়ে সাংবাদিকের পা থেঁতলে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত