ফাহিম হাসান, পঞ্চগড়
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ নিহত হওয়ার ঘটনাটি নাড়া দিয়েছিল সাজু ইসলামকে। ২৬ বছর বয়সী এই তরুণ চাকরি করতেন গাজীপুরে। ছাত্রদের আন্দোলনে আবু সাঈদ মারা যাওয়ার ১১ দিন পর গত ২৭ জুলাই গ্রামের বাড়িতে এক পুত্র সন্তান জন্ম দেন সাজুর স্ত্রী। মুঠোফোনে সেই খবর পেয়েই ছেলের নাম রাখেন তিনি আবু সাঈদ। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সেই সন্তানের মুখ আর দেখা হলো না তাঁর। বাড়িতে ফিরলেন লাশ হয়ে।
সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ছাত্র-জনতা এক হলে রাজপথে নেমে এসেছিলেন সাজু ইসলামও। পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের টোকরাভাসা মীরপাড়া এলাকার আজাহার আলীর ছেলে তিনি। চার ভাইবোনের মধ্যে ছিলেন সবার বড়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পুত্র সন্তান জন্মের ৯ দিনের মাথায় গত ৫ আগস্ট গাজীপুরের শ্রীপুর মাওনা এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিল বের হয়েছিল। সেই মিছিলে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে যোগ দিয়েছিলেন সাজু। মাওনা থেকে মিছিলটি গণভবনের দিকে যাত্রা করেছিল। এক পর্যায়ে পেছন থেকে পিকআপে করে ময়মনসিংহ থেকে আসা বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা মিছিলের ওপর গুলি শুরু থাকে। এ সময় দুইবার গুলিবিদ্ধ হন সাজু। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকার পর স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় সাজুর এক বন্ধু তাঁকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহ মেডিকেলে নিয়ে ভর্তি করেন। তাঁর পেটের বাঁ দিকে গুলি প্রবেশ করে ভেতরে আটকে ছিল। ঘটনার ৬ দিন পর গত ১১ আগস্ট দিবাগত রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ১২ আগস্ট গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় সাজুর মরদেহ।
২০১৭ সালে স্থানীয় একটি কলেজ থেকে এইএসসি পাশ করেছিলেন সাজু ইসলাম। তাঁর বাবা একসময় ঢাকায় রিকশা চালাতেন। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ হওয়ায় আর রিকশা চালাতে পারছিলেন না। অভাবে জর্জরিত সংসারের হাল ধরতে তাই টেক্সটাইল মিলে কাজ শুরু করেন সাজু। সংসারের সব দায়িত্ব ছিল তাঁর।
একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্যকে হারিয়ে এখন নির্বাক সাজুর পরিবার। ৮ শতাংশের ছোট্ট একটি ভিটেবাড়ি ছাড়া তাঁদের আর কোনো জায়গা নেই। চাকরি করে দুই বোনের বিয়ে দিয়েছিলেন সাজু। স্থানীয় একটি স্কুলে তাঁর ভাইটি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ছে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে সাজুর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়—ছেলের জন্য কাঁদতে কাঁদতে চোখ ফুলে গেছে মা সামিনা আক্তারের। ঘরের ভেতর ১ মাস বয়সী ছেলেকে নিয়ে অনবরত অশ্রু ফেলছেন সাজুর স্ত্রী শারমিন আক্তার। কারো সমবেদনাই তাঁকে শান্ত করতে পারছে না। কেঁদে কেঁদেই বলছিলেন, ’এই ছোট বাচ্চাকে নিয়ে কোথায় যাবো আমি, আমার ছেলেরে কে মানুষ করবে? ’
সাজুর মা সামিনা আক্তার বলেন, ’আমার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম আমার ছেলে। এই পরিবার এখন কে চালাবে। আমার ছেলে তাঁর সন্তানের মুখ দেখার জন্য হাসপাতালে ছটফট করেছিলো। কিন্তু দেখতে পারল না। বার বার বলেছিলো—আমি বাঁচব না। আমার ছেলেকে একবার দেখতে চাই। আমরা তাকে তার ছেলের মুখ দেখাতে পারিনি।’ কথাগুলো বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
সাজুর বাবা আজহার আলী বলেন, ’ছেলেটাই আমাদের একমাত্র ভরসা ছিল। সংসারটা ও-ই চালাত। এখন ওর ছোট্ট ছেলেটাকে কীভাবে মানুষ করব? ’
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ নিহত হওয়ার ঘটনাটি নাড়া দিয়েছিল সাজু ইসলামকে। ২৬ বছর বয়সী এই তরুণ চাকরি করতেন গাজীপুরে। ছাত্রদের আন্দোলনে আবু সাঈদ মারা যাওয়ার ১১ দিন পর গত ২৭ জুলাই গ্রামের বাড়িতে এক পুত্র সন্তান জন্ম দেন সাজুর স্ত্রী। মুঠোফোনে সেই খবর পেয়েই ছেলের নাম রাখেন তিনি আবু সাঈদ। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সেই সন্তানের মুখ আর দেখা হলো না তাঁর। বাড়িতে ফিরলেন লাশ হয়ে।
সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ছাত্র-জনতা এক হলে রাজপথে নেমে এসেছিলেন সাজু ইসলামও। পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের টোকরাভাসা মীরপাড়া এলাকার আজাহার আলীর ছেলে তিনি। চার ভাইবোনের মধ্যে ছিলেন সবার বড়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পুত্র সন্তান জন্মের ৯ দিনের মাথায় গত ৫ আগস্ট গাজীপুরের শ্রীপুর মাওনা এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিল বের হয়েছিল। সেই মিছিলে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে যোগ দিয়েছিলেন সাজু। মাওনা থেকে মিছিলটি গণভবনের দিকে যাত্রা করেছিল। এক পর্যায়ে পেছন থেকে পিকআপে করে ময়মনসিংহ থেকে আসা বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা মিছিলের ওপর গুলি শুরু থাকে। এ সময় দুইবার গুলিবিদ্ধ হন সাজু। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকার পর স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় সাজুর এক বন্ধু তাঁকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহ মেডিকেলে নিয়ে ভর্তি করেন। তাঁর পেটের বাঁ দিকে গুলি প্রবেশ করে ভেতরে আটকে ছিল। ঘটনার ৬ দিন পর গত ১১ আগস্ট দিবাগত রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ১২ আগস্ট গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় সাজুর মরদেহ।
২০১৭ সালে স্থানীয় একটি কলেজ থেকে এইএসসি পাশ করেছিলেন সাজু ইসলাম। তাঁর বাবা একসময় ঢাকায় রিকশা চালাতেন। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ হওয়ায় আর রিকশা চালাতে পারছিলেন না। অভাবে জর্জরিত সংসারের হাল ধরতে তাই টেক্সটাইল মিলে কাজ শুরু করেন সাজু। সংসারের সব দায়িত্ব ছিল তাঁর।
একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্যকে হারিয়ে এখন নির্বাক সাজুর পরিবার। ৮ শতাংশের ছোট্ট একটি ভিটেবাড়ি ছাড়া তাঁদের আর কোনো জায়গা নেই। চাকরি করে দুই বোনের বিয়ে দিয়েছিলেন সাজু। স্থানীয় একটি স্কুলে তাঁর ভাইটি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ছে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে সাজুর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়—ছেলের জন্য কাঁদতে কাঁদতে চোখ ফুলে গেছে মা সামিনা আক্তারের। ঘরের ভেতর ১ মাস বয়সী ছেলেকে নিয়ে অনবরত অশ্রু ফেলছেন সাজুর স্ত্রী শারমিন আক্তার। কারো সমবেদনাই তাঁকে শান্ত করতে পারছে না। কেঁদে কেঁদেই বলছিলেন, ’এই ছোট বাচ্চাকে নিয়ে কোথায় যাবো আমি, আমার ছেলেরে কে মানুষ করবে? ’
সাজুর মা সামিনা আক্তার বলেন, ’আমার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম আমার ছেলে। এই পরিবার এখন কে চালাবে। আমার ছেলে তাঁর সন্তানের মুখ দেখার জন্য হাসপাতালে ছটফট করেছিলো। কিন্তু দেখতে পারল না। বার বার বলেছিলো—আমি বাঁচব না। আমার ছেলেকে একবার দেখতে চাই। আমরা তাকে তার ছেলের মুখ দেখাতে পারিনি।’ কথাগুলো বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
সাজুর বাবা আজহার আলী বলেন, ’ছেলেটাই আমাদের একমাত্র ভরসা ছিল। সংসারটা ও-ই চালাত। এখন ওর ছোট্ট ছেলেটাকে কীভাবে মানুষ করব? ’
পুরোপুরি পাকেনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের হাওরের ধান। তবে অকালবন্যার শঙ্কায় ১ বৈশাখ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ৩০ ভাগের বেশি জমির বোরো ফসল ঘরে তুলেছেন কৃষক।
১৩ মিনিট আগেবরগুনার আমতলী উপজেলার খেকুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের নিচতলায় বসছে পানের বাজার। খেকুয়ানী বাজারের ইজারাদার শাহ আলম শিকদার এ বাজার বসাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার রেসিডেনসিয়াল ল্যাবরেটরি কলেজে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কলেজের চেয়ারম্যানের যাচ্ছেতাই নিয়মে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। দুটি বিষয়ের মাত্র তিনজন শিক্ষক দিয়ে চলছে কলেজটির শিক্ষা কার্যক্রম।
২ ঘণ্টা আগেভারতীয় চেইন হসপিটাল ফর্টিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউটের নাম ভাঙিয়ে শতকোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে এএফসি হেলথ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও কুমিল্লায় ‘ফর্টিস’ নামে চারটি শাখা
২ ঘণ্টা আগে