Ajker Patrika

‘অ্যালকোহল পানে’ দুই যুবকের মৃত্যু

বগুড়া প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বগুড়ায় অ্যালকোহল পানে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও দুজন। গতকাল শুক্রবার রাতে তাঁদের মৃত্যু হয়। মৃত ব্যক্তিরা হলেন বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া হাজীপাড়ার মৃত মোয়াজ্জেম হোসেনের পালিত ছেলে আওরঙ্গজেব চিনতু (৩৫) ও ঠনঠনিয়া বটতলা এলাকার আবু তালেবের ছেলে রাসেল (৩০)।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিরা হলেন, ঠনঠনিয়া বটতলার মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে পিলু (৫৬) এবং একই এলাকার জয়দেব দাসের ছেলে সনি দাস (৩০)

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পিলু বলেন, ‘গত ২৭ মার্চ বিকেলে রাসেল শহরের ১ নম্বর রেল ঘুমটি থেকে প্লাস্টিকের বোতলে অ্যালকোহল কিনে আনে। ওই দিন বিকেলেই ৪জন একসাথে অ্যালকোহল পান করি। রাতেই অসুস্থ হয়ে পড়ি।’ পিলু আরও বলেন, ‘পুলিশের ভয়ে হাসপাতালে ভর্তির সময় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত বলে ভর্তি হয়েছি।’ সনি শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সাইফুর শাহীন বলেন, পিলু ডায়রিয়ায় আক্রান্তে ভর্তি হয়েছিল। ডায়রিয়া এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে শ্বাসকষ্ট ও পেটে ব্যথা থাকায় তাঁকে মেডিসিন বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি এখনো শঙ্কা মুক্ত না। অ্যালকোহল পান করে অসুস্থ কি না, তা পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে।

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওরঙ্গজেব চিনতুর পরিবারের একজন জানান, চিনতু ও রাসেল অনেক আগে থেকেই অ্যালকোহল পান করতেন। অ্যালকোহল পান করে অসুস্থ হয়ে পড়লে শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে তাকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে চিনতু কাউকে না জানিয়ে বাড়িতে চলে আসে। বিকেল ৫টার পর অসুস্থবোধ করলে তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চিনতু মারা যান। গতকাল দিবাগত রাত ৩টার পর রাসেল মারা যান।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘চিনতু ও রাসেল মারা যাওয়ার তথ্য আমাদের কাছে নেই। সম্ভবত তারা রাস্তাতেই মারা গিয়েছিল। আর সনি নামে একজন ভর্তি আছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। তবে তার কী ধরনের সমস্যা রয়েছে, তা এখনো বলা যাচ্ছে না।’

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দিন বলেন, অতিরিক্ত মদ পানে দুজনের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁদের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। মারা যাওয়া দুজনের পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে সহযোগিতা না করে চরম দুর্ব্যবহার করেছেন। তাঁরা পুলিশকে কোনো তথ্য দেননি। বেলা ৩টার মধ্যে দুজনের লাশ পরিবারের পক্ষ থেকে দাফন করা হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, হাসপাতাল থেকে এই দুজনের মৃত্যুর বিষয়ে পুলিশকে অবহিত না করায় আপাতত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত