নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁ ও বগুড়া বাস মালিক গ্রুপের (সমিতি) দ্বন্দ্বের জেরে এই রুটে চতুর্থ দিনের মতো সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। এই জটিলতা নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছেন পরিবহন নেতারা।
আন্তজেলা কোচ মালিক গ্রুপ (কেন্দ্রীয় কমিটি) ৯ মে ঢাকায় একটি বৈঠক আহ্বান করেছে। যেখানে নওগাঁ এবং বগুড়া জেলার বাস মালিক গ্রুপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
আজ শনিবার দুপুরে নওগাঁ জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সড়কে নতুন বাস নামানোকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সকাল থেকে এই রুটে বাস চলাচল বন্ধ আছে।
শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দুই জেলার বাস মালিক দ্বন্দ্বের বিষয়ে সেন্ট্রাল কমিটি একটি বৈঠক ডেকেছে। সেটি ৯ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। আশা করছি, সেই বৈঠকে সুন্দর একটা সমাধান হবে।’
সভাপতি আরও বলেন, ‘নওগাঁ থেকে ঢাকাগামী বাসগুলো শুধু বগুড়ার ওপর দিয়ে চলাচল করে। এ ক্ষেত্রে বগুড়াতে আমাদের কোনো কাউন্টার নেই। আমাদের বাসগুলো বগুড়াতে কোনো যাত্রী ওঠাতে পারে না। তারপরও বগুড়ার বাসমালিকেরা বিভিন্ন সময় আমাদের সঙ্গে অন্যায় করে থাকেন।’
এ ব্যাপারে বগুড়া জেলা মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ও শাহ ফতেহ আলী বাসের মালিক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘কেন্দ্রীয়ভাবে বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকে দুই পক্ষ আলোচনা করে একটা সমাধান করা হবে। এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় কমিটি জানাবে।’
আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, গতকাল শুক্রবারও নওগাঁতে দুই জেলা কমিটির একটা মিটিং হয়েছে। কিন্তু সেখানকার পরিবহন নেতারা আলোচনার গুরুত্ব দেননি। সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেননি।
এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসন খালিদ মেহেদী হাসান বলেন, ‘বাস চলাচল বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরে আমরা বেশ কয়েকবার বাস মালিক গ্রুপের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনা করছে প্রশাসন। আশা করি খুব দ্রুত সমাধান আসবে।’
পরিবহন-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বরেন্দ্র এক্সপ্রেস পরিবহন নামে নওগাঁ বাস মালিক গ্রুপের নতুন তিনটি বাস নামানোকে কেন্দ্র করে নওগাঁ ও বগুড়া জেলা বাসমালিকদের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর জেরে বগুড়া হয়ে চলাচল করা নওগাঁ জেলার বাসমালিকদের আন্তজেলা ও দূরপাল্লার সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ করে দেন বগুড়ার বাসমালিকেরা। এর প্রতিবাদে নওগাঁর বাসমালিকেরাও নওগাঁ-বগুড়া রুটে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ করে দেন। এর ফলে বগুড়ার বাসমালিকদের বাস নওগাঁ শহর ও জেলার অন্য উপজেলার পরিবর্তে বগুড়ার সান্তাহার পর্যন্ত চলাচল করছে।
এদিকে টানা চার দিন নওগাঁ থেকে বগুড়ায় সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। ছোট যানে করে কেউ কেউ বগুড়ার সান্তাহার গিয়ে বাস ধরছেন। আবার অতিরিক্ত পথ অতিক্রম করে ভাঙাচোরা নওগাঁ-নাটোর রুট হয়ে দূরের গন্তব্যে যাচ্ছেন অনেক যাত্রী।
নওগাঁ শহরের ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে দুপুর কথা হয় জেলার মহাদেবপুর উপজেলার খাজুর গ্রামের বাসিন্দা কৃষক মোজাহারুলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছি চিকিৎসার প্রয়োজনে। আজকের মধ্যেই ঢাকায় যেতে হবে। কাল সকাল ১০টার দিকে চোখের অপারেশন। বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখি বাস নেই।’
নওগাঁ ও বগুড়া বাস মালিক গ্রুপের (সমিতি) দ্বন্দ্বের জেরে এই রুটে চতুর্থ দিনের মতো সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। এই জটিলতা নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছেন পরিবহন নেতারা।
আন্তজেলা কোচ মালিক গ্রুপ (কেন্দ্রীয় কমিটি) ৯ মে ঢাকায় একটি বৈঠক আহ্বান করেছে। যেখানে নওগাঁ এবং বগুড়া জেলার বাস মালিক গ্রুপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
আজ শনিবার দুপুরে নওগাঁ জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সড়কে নতুন বাস নামানোকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সকাল থেকে এই রুটে বাস চলাচল বন্ধ আছে।
শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দুই জেলার বাস মালিক দ্বন্দ্বের বিষয়ে সেন্ট্রাল কমিটি একটি বৈঠক ডেকেছে। সেটি ৯ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। আশা করছি, সেই বৈঠকে সুন্দর একটা সমাধান হবে।’
সভাপতি আরও বলেন, ‘নওগাঁ থেকে ঢাকাগামী বাসগুলো শুধু বগুড়ার ওপর দিয়ে চলাচল করে। এ ক্ষেত্রে বগুড়াতে আমাদের কোনো কাউন্টার নেই। আমাদের বাসগুলো বগুড়াতে কোনো যাত্রী ওঠাতে পারে না। তারপরও বগুড়ার বাসমালিকেরা বিভিন্ন সময় আমাদের সঙ্গে অন্যায় করে থাকেন।’
এ ব্যাপারে বগুড়া জেলা মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ও শাহ ফতেহ আলী বাসের মালিক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘কেন্দ্রীয়ভাবে বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকে দুই পক্ষ আলোচনা করে একটা সমাধান করা হবে। এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় কমিটি জানাবে।’
আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, গতকাল শুক্রবারও নওগাঁতে দুই জেলা কমিটির একটা মিটিং হয়েছে। কিন্তু সেখানকার পরিবহন নেতারা আলোচনার গুরুত্ব দেননি। সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেননি।
এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসন খালিদ মেহেদী হাসান বলেন, ‘বাস চলাচল বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরে আমরা বেশ কয়েকবার বাস মালিক গ্রুপের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনা করছে প্রশাসন। আশা করি খুব দ্রুত সমাধান আসবে।’
পরিবহন-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বরেন্দ্র এক্সপ্রেস পরিবহন নামে নওগাঁ বাস মালিক গ্রুপের নতুন তিনটি বাস নামানোকে কেন্দ্র করে নওগাঁ ও বগুড়া জেলা বাসমালিকদের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর জেরে বগুড়া হয়ে চলাচল করা নওগাঁ জেলার বাসমালিকদের আন্তজেলা ও দূরপাল্লার সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ করে দেন বগুড়ার বাসমালিকেরা। এর প্রতিবাদে নওগাঁর বাসমালিকেরাও নওগাঁ-বগুড়া রুটে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ করে দেন। এর ফলে বগুড়ার বাসমালিকদের বাস নওগাঁ শহর ও জেলার অন্য উপজেলার পরিবর্তে বগুড়ার সান্তাহার পর্যন্ত চলাচল করছে।
এদিকে টানা চার দিন নওগাঁ থেকে বগুড়ায় সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। ছোট যানে করে কেউ কেউ বগুড়ার সান্তাহার গিয়ে বাস ধরছেন। আবার অতিরিক্ত পথ অতিক্রম করে ভাঙাচোরা নওগাঁ-নাটোর রুট হয়ে দূরের গন্তব্যে যাচ্ছেন অনেক যাত্রী।
নওগাঁ শহরের ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে দুপুর কথা হয় জেলার মহাদেবপুর উপজেলার খাজুর গ্রামের বাসিন্দা কৃষক মোজাহারুলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছি চিকিৎসার প্রয়োজনে। আজকের মধ্যেই ঢাকায় যেতে হবে। কাল সকাল ১০টার দিকে চোখের অপারেশন। বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখি বাস নেই।’
গাজীপুরের টঙ্গীর শরীফ হোসেন (২০) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নয়, মারা গেছেন টঙ্গীতে নির্মাণকাজের সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে। এ ঘটনায় তাঁর বাবা জয়নাল আবেদিন ওরফে জয়নাল বাবুর্চি অর্থ নিয়ে আপসও করেছিলেন। পরে এক ব্যক্তি সরকার থেকে অনেক টাকা পাওয়ার লোভ দেখালে...
৩৯ মিনিট আগেময়মনসিংহের ত্রিশালে জনস্বাস্থ্য কার্যালয়ের নলকূপ স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সরকারি কর্মকর্তারা সরাসরি অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের অনুগত স্থানীয় ঠিকাদারের প্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ নেতা, নৈশপ্রহরীর স্বামী, নলকূপ বিক্রেতাসহ এলাকাভিত্তিক বেশ কয়েকজনের মাধ্যমে...
১ ঘণ্টা আগেদিনাজপুর সদর ও চিরিরবন্দর উপজেলার কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধার লক্ষ্যে দুটি রাবার ড্যাম নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ২০০১ সালে চিরিরবন্দর উপজেলার কাঁকড়া নদীতে সাঁইতাড়া এলাকায় একটি এবং অন্যটি ২০১৩ সালে আত্রাই নদে মোহনপুর এলাকায় নির্মাণ করে। সম্প্রতি মোহনপুর রাবার...
১ ঘণ্টা আগেনানা সমস্যার কারণে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছে না সরকার। এসব সমস্যার মধ্যে রয়েছে বস্তায় ভরে ধান খাদ্যগুদামে নিয়ে যাওয়া, ধান শুকিয়ে আর্দ্রতা ১৪ শতাংশে নামিয়ে আনা, চিটার জন্য প্রতিমণে এক-দুই কেজি বেশি ধান নেওয়ার মতো নানা শর্ত এবং ব্যাংকে দৌড়াদৌড়ি করা। চলতি বছর আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার.
২ ঘণ্টা আগে