রিমন রহমান, রাজশাহী

রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের বর্তমান মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মিহির কান্তি গুহ। আগে ছিলেন পশ্চিম রেলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (সিএমও)। তখন তিনিসহ মোট ১৩ কর্মকর্তা কেনাকাটায় বড় অনিয়ম করেছেন বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়। তারপরও তিনি বহাল আছেন। শুধু তিনি একা নন, বহাল আরও নয়জন। কেউ পেয়েছেন পদোন্নতি। কেউ কেউ রেল মন্ত্রণালয় থেকে বদলি হয়ে গেছেন অন্য মন্ত্রণালয়ে।
তবে দুর্নীতিতে সরাসরি জড়িত তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এই তিনজন হলেন পশ্চিম রেলের সাবেক কন্ট্রোলার অব স্টোরস (সিওএস) প্রকৌশলী মো. বেলাল হোসেন সরকার, সাবেক চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার (সিসিএম) এএমএম শাহনেওয়াজ এবং সাবেক সহকারী কন্ট্রোলার অব স্টোরস (এসিওএস) মো. জাহিদ কাওছার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পশ্চিম রেলে ২০টি পণ্য কেনায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়। বিষয়টি সামনে এলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাসকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটি ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর রেলমন্ত্রীর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এতে ১৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
২৯ পাতার ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ১ হাজার ৮৫ টাকার এক একটি পর্দা কেনা হয় ১৭ হাজার ৯৯০ টাকায়, ১৩৩ টাকার তালা ৫ হাজার ৫০০ টাকায়, ২০০ টাকার বালতি ১ হাজার ৮৯০ টাকায়, ৫০ টাকার বাঁশি ৪১৫ টাকায় এবং ৭৫ টাকার ঝান্ডা ১ হাজার ৪৪০ টাকায় কেনা হয়েছিল। মোট ২০ ধরনের পণ্য কেনা হয়েছিল বাজারমূল্যের চেয়ে ১৫ থেকে ৩৩ গুণ বেশি দামে। এতে সরকারের বিপুল টাকা লোকসান হয়। এ টাকা পকেটে তোলেন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা।
এ জন্য বরখাস্ত তিন কর্মকর্তা ছাড়াও তৎকালীন প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মিহির কান্তি গুহ, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব কর্মকর্তা মো. মসিহ-উল-হাসান, অতিরিক্ত অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব কর্মকর্তা মো. গোলাম রহমান, ডিএফএ অর্থ মো. আলমগীর, অতিরিক্ত এফএএন্ডসিও গোলাম রাব্বানী, ডেপুটি চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার ফুয়াদ হোসেন আনন্দ, এসিসিএমসিআর শেখ আবদুল জব্বার, ডেপুটি সিওপিএস হাসিনা খাতুন, ডিএমএ হেডকোয়ার্টার শ্যামলী রাণী রায় ও এফএঅ্যান্ডসিএও শরিফুল ইসলামকে দায়ী করা হয়। তদন্ত কমিটি এঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা হয়নি।
উল্টো এক বছরের মধ্যে অনেকেই পদোন্নতি পেয়ে বসেছেন শীর্ষ আসনে। মিহির কান্তি গুহ পদোন্নতি পেয়ে পশ্চিম রেলের শীর্ষ কর্মকর্তা হয়েছেন। দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ফুয়াদ হোসেন আনন্দ বর্তমানে রেলের মহাপরিচালকের পিএস। কেউ কেউ বদলি হয়ে চলে গেছেন ভিন্ন মন্ত্রণালয়েও।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে পশ্চিম রেলের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ বলেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেও পারে। কিন্তু প্রমাণ ছাড়া ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।’ তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধেও দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে, এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দেননি পশ্চিম রেলের এই শীর্ষ কর্মকর্তা। আর অনিয়মে অভিযুক্ত অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব কর্মকর্তা মসিহ-উল-হাসানের দাবি, মন্ত্রণালয় থেকে তাঁদের এ বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।
অভিযুক্তদের বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তার মন্তব্য জানার চেষ্টা করা হলেও তাঁরা কথা বলতে রাজি হননি। সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, রাষ্ট্র বলে- দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক ক্ষমতা এতই বেশি যে, বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধা যায় না। তিনি বলেন, জাতির পিতা দুর্নীতিমুক্ত এক দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাই অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া না গেলে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ হবে না। রেলসহ সারা দেশের অন্যান্য খাতে যে দুর্নীতি-অব্যবস্থাপনা চলছে তা বন্ধ করার এখনই সময়।

রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের বর্তমান মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মিহির কান্তি গুহ। আগে ছিলেন পশ্চিম রেলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (সিএমও)। তখন তিনিসহ মোট ১৩ কর্মকর্তা কেনাকাটায় বড় অনিয়ম করেছেন বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়। তারপরও তিনি বহাল আছেন। শুধু তিনি একা নন, বহাল আরও নয়জন। কেউ পেয়েছেন পদোন্নতি। কেউ কেউ রেল মন্ত্রণালয় থেকে বদলি হয়ে গেছেন অন্য মন্ত্রণালয়ে।
তবে দুর্নীতিতে সরাসরি জড়িত তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এই তিনজন হলেন পশ্চিম রেলের সাবেক কন্ট্রোলার অব স্টোরস (সিওএস) প্রকৌশলী মো. বেলাল হোসেন সরকার, সাবেক চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার (সিসিএম) এএমএম শাহনেওয়াজ এবং সাবেক সহকারী কন্ট্রোলার অব স্টোরস (এসিওএস) মো. জাহিদ কাওছার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পশ্চিম রেলে ২০টি পণ্য কেনায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়। বিষয়টি সামনে এলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাসকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটি ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর রেলমন্ত্রীর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এতে ১৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
২৯ পাতার ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ১ হাজার ৮৫ টাকার এক একটি পর্দা কেনা হয় ১৭ হাজার ৯৯০ টাকায়, ১৩৩ টাকার তালা ৫ হাজার ৫০০ টাকায়, ২০০ টাকার বালতি ১ হাজার ৮৯০ টাকায়, ৫০ টাকার বাঁশি ৪১৫ টাকায় এবং ৭৫ টাকার ঝান্ডা ১ হাজার ৪৪০ টাকায় কেনা হয়েছিল। মোট ২০ ধরনের পণ্য কেনা হয়েছিল বাজারমূল্যের চেয়ে ১৫ থেকে ৩৩ গুণ বেশি দামে। এতে সরকারের বিপুল টাকা লোকসান হয়। এ টাকা পকেটে তোলেন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা।
এ জন্য বরখাস্ত তিন কর্মকর্তা ছাড়াও তৎকালীন প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মিহির কান্তি গুহ, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব কর্মকর্তা মো. মসিহ-উল-হাসান, অতিরিক্ত অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব কর্মকর্তা মো. গোলাম রহমান, ডিএফএ অর্থ মো. আলমগীর, অতিরিক্ত এফএএন্ডসিও গোলাম রাব্বানী, ডেপুটি চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার ফুয়াদ হোসেন আনন্দ, এসিসিএমসিআর শেখ আবদুল জব্বার, ডেপুটি সিওপিএস হাসিনা খাতুন, ডিএমএ হেডকোয়ার্টার শ্যামলী রাণী রায় ও এফএঅ্যান্ডসিএও শরিফুল ইসলামকে দায়ী করা হয়। তদন্ত কমিটি এঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা হয়নি।
উল্টো এক বছরের মধ্যে অনেকেই পদোন্নতি পেয়ে বসেছেন শীর্ষ আসনে। মিহির কান্তি গুহ পদোন্নতি পেয়ে পশ্চিম রেলের শীর্ষ কর্মকর্তা হয়েছেন। দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ফুয়াদ হোসেন আনন্দ বর্তমানে রেলের মহাপরিচালকের পিএস। কেউ কেউ বদলি হয়ে চলে গেছেন ভিন্ন মন্ত্রণালয়েও।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে পশ্চিম রেলের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ বলেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেও পারে। কিন্তু প্রমাণ ছাড়া ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।’ তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধেও দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে, এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দেননি পশ্চিম রেলের এই শীর্ষ কর্মকর্তা। আর অনিয়মে অভিযুক্ত অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব কর্মকর্তা মসিহ-উল-হাসানের দাবি, মন্ত্রণালয় থেকে তাঁদের এ বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।
অভিযুক্তদের বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তার মন্তব্য জানার চেষ্টা করা হলেও তাঁরা কথা বলতে রাজি হননি। সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, রাষ্ট্র বলে- দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক ক্ষমতা এতই বেশি যে, বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধা যায় না। তিনি বলেন, জাতির পিতা দুর্নীতিমুক্ত এক দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাই অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া না গেলে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ হবে না। রেলসহ সারা দেশের অন্যান্য খাতে যে দুর্নীতি-অব্যবস্থাপনা চলছে তা বন্ধ করার এখনই সময়।
রিমন রহমান, রাজশাহী

রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের বর্তমান মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মিহির কান্তি গুহ। আগে ছিলেন পশ্চিম রেলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (সিএমও)। তখন তিনিসহ মোট ১৩ কর্মকর্তা কেনাকাটায় বড় অনিয়ম করেছেন বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়। তারপরও তিনি বহাল আছেন। শুধু তিনি একা নন, বহাল আরও নয়জন। কেউ পেয়েছেন পদোন্নতি। কেউ কেউ রেল মন্ত্রণালয় থেকে বদলি হয়ে গেছেন অন্য মন্ত্রণালয়ে।
তবে দুর্নীতিতে সরাসরি জড়িত তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এই তিনজন হলেন পশ্চিম রেলের সাবেক কন্ট্রোলার অব স্টোরস (সিওএস) প্রকৌশলী মো. বেলাল হোসেন সরকার, সাবেক চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার (সিসিএম) এএমএম শাহনেওয়াজ এবং সাবেক সহকারী কন্ট্রোলার অব স্টোরস (এসিওএস) মো. জাহিদ কাওছার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পশ্চিম রেলে ২০টি পণ্য কেনায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়। বিষয়টি সামনে এলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাসকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটি ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর রেলমন্ত্রীর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এতে ১৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
২৯ পাতার ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ১ হাজার ৮৫ টাকার এক একটি পর্দা কেনা হয় ১৭ হাজার ৯৯০ টাকায়, ১৩৩ টাকার তালা ৫ হাজার ৫০০ টাকায়, ২০০ টাকার বালতি ১ হাজার ৮৯০ টাকায়, ৫০ টাকার বাঁশি ৪১৫ টাকায় এবং ৭৫ টাকার ঝান্ডা ১ হাজার ৪৪০ টাকায় কেনা হয়েছিল। মোট ২০ ধরনের পণ্য কেনা হয়েছিল বাজারমূল্যের চেয়ে ১৫ থেকে ৩৩ গুণ বেশি দামে। এতে সরকারের বিপুল টাকা লোকসান হয়। এ টাকা পকেটে তোলেন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা।
এ জন্য বরখাস্ত তিন কর্মকর্তা ছাড়াও তৎকালীন প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মিহির কান্তি গুহ, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব কর্মকর্তা মো. মসিহ-উল-হাসান, অতিরিক্ত অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব কর্মকর্তা মো. গোলাম রহমান, ডিএফএ অর্থ মো. আলমগীর, অতিরিক্ত এফএএন্ডসিও গোলাম রাব্বানী, ডেপুটি চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার ফুয়াদ হোসেন আনন্দ, এসিসিএমসিআর শেখ আবদুল জব্বার, ডেপুটি সিওপিএস হাসিনা খাতুন, ডিএমএ হেডকোয়ার্টার শ্যামলী রাণী রায় ও এফএঅ্যান্ডসিএও শরিফুল ইসলামকে দায়ী করা হয়। তদন্ত কমিটি এঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা হয়নি।
উল্টো এক বছরের মধ্যে অনেকেই পদোন্নতি পেয়ে বসেছেন শীর্ষ আসনে। মিহির কান্তি গুহ পদোন্নতি পেয়ে পশ্চিম রেলের শীর্ষ কর্মকর্তা হয়েছেন। দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ফুয়াদ হোসেন আনন্দ বর্তমানে রেলের মহাপরিচালকের পিএস। কেউ কেউ বদলি হয়ে চলে গেছেন ভিন্ন মন্ত্রণালয়েও।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে পশ্চিম রেলের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ বলেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেও পারে। কিন্তু প্রমাণ ছাড়া ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।’ তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধেও দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে, এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দেননি পশ্চিম রেলের এই শীর্ষ কর্মকর্তা। আর অনিয়মে অভিযুক্ত অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব কর্মকর্তা মসিহ-উল-হাসানের দাবি, মন্ত্রণালয় থেকে তাঁদের এ বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।
অভিযুক্তদের বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তার মন্তব্য জানার চেষ্টা করা হলেও তাঁরা কথা বলতে রাজি হননি। সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, রাষ্ট্র বলে- দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক ক্ষমতা এতই বেশি যে, বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধা যায় না। তিনি বলেন, জাতির পিতা দুর্নীতিমুক্ত এক দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাই অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া না গেলে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ হবে না। রেলসহ সারা দেশের অন্যান্য খাতে যে দুর্নীতি-অব্যবস্থাপনা চলছে তা বন্ধ করার এখনই সময়।

রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের বর্তমান মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মিহির কান্তি গুহ। আগে ছিলেন পশ্চিম রেলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (সিএমও)। তখন তিনিসহ মোট ১৩ কর্মকর্তা কেনাকাটায় বড় অনিয়ম করেছেন বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়। তারপরও তিনি বহাল আছেন। শুধু তিনি একা নন, বহাল আরও নয়জন। কেউ পেয়েছেন পদোন্নতি। কেউ কেউ রেল মন্ত্রণালয় থেকে বদলি হয়ে গেছেন অন্য মন্ত্রণালয়ে।
তবে দুর্নীতিতে সরাসরি জড়িত তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এই তিনজন হলেন পশ্চিম রেলের সাবেক কন্ট্রোলার অব স্টোরস (সিওএস) প্রকৌশলী মো. বেলাল হোসেন সরকার, সাবেক চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার (সিসিএম) এএমএম শাহনেওয়াজ এবং সাবেক সহকারী কন্ট্রোলার অব স্টোরস (এসিওএস) মো. জাহিদ কাওছার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পশ্চিম রেলে ২০টি পণ্য কেনায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়। বিষয়টি সামনে এলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাসকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটি ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর রেলমন্ত্রীর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এতে ১৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
২৯ পাতার ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ১ হাজার ৮৫ টাকার এক একটি পর্দা কেনা হয় ১৭ হাজার ৯৯০ টাকায়, ১৩৩ টাকার তালা ৫ হাজার ৫০০ টাকায়, ২০০ টাকার বালতি ১ হাজার ৮৯০ টাকায়, ৫০ টাকার বাঁশি ৪১৫ টাকায় এবং ৭৫ টাকার ঝান্ডা ১ হাজার ৪৪০ টাকায় কেনা হয়েছিল। মোট ২০ ধরনের পণ্য কেনা হয়েছিল বাজারমূল্যের চেয়ে ১৫ থেকে ৩৩ গুণ বেশি দামে। এতে সরকারের বিপুল টাকা লোকসান হয়। এ টাকা পকেটে তোলেন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা।
এ জন্য বরখাস্ত তিন কর্মকর্তা ছাড়াও তৎকালীন প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মিহির কান্তি গুহ, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব কর্মকর্তা মো. মসিহ-উল-হাসান, অতিরিক্ত অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব কর্মকর্তা মো. গোলাম রহমান, ডিএফএ অর্থ মো. আলমগীর, অতিরিক্ত এফএএন্ডসিও গোলাম রাব্বানী, ডেপুটি চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার ফুয়াদ হোসেন আনন্দ, এসিসিএমসিআর শেখ আবদুল জব্বার, ডেপুটি সিওপিএস হাসিনা খাতুন, ডিএমএ হেডকোয়ার্টার শ্যামলী রাণী রায় ও এফএঅ্যান্ডসিএও শরিফুল ইসলামকে দায়ী করা হয়। তদন্ত কমিটি এঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা হয়নি।
উল্টো এক বছরের মধ্যে অনেকেই পদোন্নতি পেয়ে বসেছেন শীর্ষ আসনে। মিহির কান্তি গুহ পদোন্নতি পেয়ে পশ্চিম রেলের শীর্ষ কর্মকর্তা হয়েছেন। দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ফুয়াদ হোসেন আনন্দ বর্তমানে রেলের মহাপরিচালকের পিএস। কেউ কেউ বদলি হয়ে চলে গেছেন ভিন্ন মন্ত্রণালয়েও।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে পশ্চিম রেলের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ বলেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেও পারে। কিন্তু প্রমাণ ছাড়া ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।’ তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধেও দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে, এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দেননি পশ্চিম রেলের এই শীর্ষ কর্মকর্তা। আর অনিয়মে অভিযুক্ত অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব কর্মকর্তা মসিহ-উল-হাসানের দাবি, মন্ত্রণালয় থেকে তাঁদের এ বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।
অভিযুক্তদের বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তার মন্তব্য জানার চেষ্টা করা হলেও তাঁরা কথা বলতে রাজি হননি। সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, রাষ্ট্র বলে- দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক ক্ষমতা এতই বেশি যে, বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধা যায় না। তিনি বলেন, জাতির পিতা দুর্নীতিমুক্ত এক দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাই অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া না গেলে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ হবে না। রেলসহ সারা দেশের অন্যান্য খাতে যে দুর্নীতি-অব্যবস্থাপনা চলছে তা বন্ধ করার এখনই সময়।

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৩ জন সহকারী শিক্ষকের বেতন হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা। ২০০৮ ও ২০০৯ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত এসব সহকারী শিক্ষক ১০ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেডের সুবিধা পান।
১৬ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর থানা এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মো. আকবর (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে থানার মাইজপাড়া এলাকায় ভুক্তভোগী ব্যক্তির বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আকবর ওই এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে।
৪০ মিনিট আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ায় অঙ্ক না পারায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মুমূর্ষু অবস্থায় ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের কম্পাউন্ডে জব্দ করা জাটকা নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা ও ‘হরিলুটের’ ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে শত শত মানুষ কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে জব্দ করা জাটকা লুট করে নিয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ঘটনাস্থলে থাকা চারজন আনসার সদস্য।
১ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৩ জন সহকারী শিক্ষকের বেতন হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা। ২০০৮ ও ২০০৯ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত এসব সহকারী শিক্ষক ১০ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেডের সুবিধা পান। এরপর ২০১৮ ও ২০১৯ সাল থেকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাঁদের প্রথম উচ্চতর গ্রেড প্রদান করেন। দীর্ঘদিন ধরে সেই সুবিধা ভোগ করলেও পূর্বঘোষণা বা লিখিত নির্দেশনা ছাড়াই অক্টোবর মাসের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, চলতি বছরের ২০ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি পরিপত্রের আলোকে মুন্সিগঞ্জ হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটর মেহেদী হাসান শরীফ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে জানান, এসব শিক্ষকের উচ্চতর গ্রেড বাতিল হতে পারে। এরপর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস উপজেলা শিক্ষা অফিসকে বেতন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। এই ঘটনায় একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেন, তাঁদের সঙ্গে এই বিষয়ে কোনো আলোচনা বা লিখিত নোটিশ দেওয়া হয়নি।
সদরের নৈরপুকুরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা হঠাৎ দেখি বেতন বন্ধ। জানতে শিক্ষা অফিসে গেলে বলা হয় জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের নির্দেশ এসেছে। কিন্তু সেই চিঠি কেউ আমাদের দেখাতে পারেনি।’
একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেন, বেতন বন্ধের বিষয়ে জানতে জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে গেলে সেখানে দায়িত্বে থাকা অডিটর অফিসার মেহেদী হাসান শরীফ তাঁদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
শিক্ষকেরা দাবি করেছেন, ওই কর্মকর্তা তাঁদের ‘অকথ্য ভাষায় গালাগাল’ করেন এবং অফিসে প্রবেশের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
শিক্ষকেরা এই ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, কোনো ভুল থাকলে তা যাচাই করে সংশোধন করা হোক, কিন্তু একযোগে বেতন বন্ধ রাখা অযৌক্তিক ও মানবিকভাবে অন্যায়।
জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিট অফিসার অভিযুক্ত মেহেদী হাসান শরীফ বলেন, ‘শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও গালাগালি করার দাবি মিথ্যা। তাঁরা উল্টো ২০-২৫ জন নিয়ে এসে আমাকে হুমকি দিয়েছেন। তাঁদের বেতন আটকে রাখা হয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিসের চিঠির কারণে।’
সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমিন মিঞা বলেন, ‘জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের লিখিত চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ওই শিক্ষকদের বেতন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। গ্রেড উন্নীতকরণ সমস্যায় বেতন আটকে গেছে তাঁদের। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। ১০-১৫ দিন লাগবে। এরপর ওই শিক্ষকেরা আগের গ্রেডে নিয়মিত বেতন পাবেন।’

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৩ জন সহকারী শিক্ষকের বেতন হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা। ২০০৮ ও ২০০৯ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত এসব সহকারী শিক্ষক ১০ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেডের সুবিধা পান। এরপর ২০১৮ ও ২০১৯ সাল থেকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাঁদের প্রথম উচ্চতর গ্রেড প্রদান করেন। দীর্ঘদিন ধরে সেই সুবিধা ভোগ করলেও পূর্বঘোষণা বা লিখিত নির্দেশনা ছাড়াই অক্টোবর মাসের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, চলতি বছরের ২০ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি পরিপত্রের আলোকে মুন্সিগঞ্জ হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটর মেহেদী হাসান শরীফ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে জানান, এসব শিক্ষকের উচ্চতর গ্রেড বাতিল হতে পারে। এরপর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস উপজেলা শিক্ষা অফিসকে বেতন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। এই ঘটনায় একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেন, তাঁদের সঙ্গে এই বিষয়ে কোনো আলোচনা বা লিখিত নোটিশ দেওয়া হয়নি।
সদরের নৈরপুকুরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা হঠাৎ দেখি বেতন বন্ধ। জানতে শিক্ষা অফিসে গেলে বলা হয় জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের নির্দেশ এসেছে। কিন্তু সেই চিঠি কেউ আমাদের দেখাতে পারেনি।’
একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেন, বেতন বন্ধের বিষয়ে জানতে জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে গেলে সেখানে দায়িত্বে থাকা অডিটর অফিসার মেহেদী হাসান শরীফ তাঁদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
শিক্ষকেরা দাবি করেছেন, ওই কর্মকর্তা তাঁদের ‘অকথ্য ভাষায় গালাগাল’ করেন এবং অফিসে প্রবেশের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
শিক্ষকেরা এই ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, কোনো ভুল থাকলে তা যাচাই করে সংশোধন করা হোক, কিন্তু একযোগে বেতন বন্ধ রাখা অযৌক্তিক ও মানবিকভাবে অন্যায়।
জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিট অফিসার অভিযুক্ত মেহেদী হাসান শরীফ বলেন, ‘শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও গালাগালি করার দাবি মিথ্যা। তাঁরা উল্টো ২০-২৫ জন নিয়ে এসে আমাকে হুমকি দিয়েছেন। তাঁদের বেতন আটকে রাখা হয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিসের চিঠির কারণে।’
সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমিন মিঞা বলেন, ‘জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের লিখিত চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ওই শিক্ষকদের বেতন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। গ্রেড উন্নীতকরণ সমস্যায় বেতন আটকে গেছে তাঁদের। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। ১০-১৫ দিন লাগবে। এরপর ওই শিক্ষকেরা আগের গ্রেডে নিয়মিত বেতন পাবেন।’

রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের বর্তমান মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মিহির কান্তি গুহ। আগে ছিলেন পশ্চিম রেলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (সিএমও)। তখন তিনিসহ মোট ১৩ কর্মকর্তা কেনাকাটায় বড় অনিয়ম করেছেন বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়। তারপরও তিনি বহাল আছেন।
১৭ অক্টোবর ২০২১
চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর থানা এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মো. আকবর (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে থানার মাইজপাড়া এলাকায় ভুক্তভোগী ব্যক্তির বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আকবর ওই এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে।
৪০ মিনিট আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ায় অঙ্ক না পারায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মুমূর্ষু অবস্থায় ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের কম্পাউন্ডে জব্দ করা জাটকা নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা ও ‘হরিলুটের’ ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে শত শত মানুষ কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে জব্দ করা জাটকা লুট করে নিয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ঘটনাস্থলে থাকা চারজন আনসার সদস্য।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর থানা এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মো. আকবর (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে থানার মাইজপাড়া এলাকায় ভুক্তভোগী ব্যত্তির বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আকবর ওই এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে।
হালিশহর থানা-পুলিশ জানায়, বাড়ির সামনে আকবরকে লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। ছুরিকাঘাতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে স্বজনেরা তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যান।
এই বিষয়ে চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক জানান, ছুরিকাহত যুবককে শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার পর চমেক হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে নিহত ব্যক্তির স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করার কথাও জানান তিনি।

চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর থানা এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মো. আকবর (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে থানার মাইজপাড়া এলাকায় ভুক্তভোগী ব্যত্তির বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আকবর ওই এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে।
হালিশহর থানা-পুলিশ জানায়, বাড়ির সামনে আকবরকে লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। ছুরিকাঘাতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে স্বজনেরা তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যান।
এই বিষয়ে চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক জানান, ছুরিকাহত যুবককে শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার পর চমেক হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে নিহত ব্যক্তির স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করার কথাও জানান তিনি।

রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের বর্তমান মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মিহির কান্তি গুহ। আগে ছিলেন পশ্চিম রেলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (সিএমও)। তখন তিনিসহ মোট ১৩ কর্মকর্তা কেনাকাটায় বড় অনিয়ম করেছেন বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়। তারপরও তিনি বহাল আছেন।
১৭ অক্টোবর ২০২১
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৩ জন সহকারী শিক্ষকের বেতন হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা। ২০০৮ ও ২০০৯ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত এসব সহকারী শিক্ষক ১০ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেডের সুবিধা পান।
১৬ মিনিট আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ায় অঙ্ক না পারায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মুমূর্ষু অবস্থায় ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের কম্পাউন্ডে জব্দ করা জাটকা নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা ও ‘হরিলুটের’ ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে শত শত মানুষ কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে জব্দ করা জাটকা লুট করে নিয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ঘটনাস্থলে থাকা চারজন আনসার সদস্য।
১ ঘণ্টা আগেহাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

নোয়াখালীর হাতিয়ায় অঙ্ক না পারায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মুমূর্ষু অবস্থায় ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার চরচেঙ্গা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে জানা যায়, চরচেঙ্গা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে গণিতের ক্লাস চলাকালে অঙ্ক না পারায় সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম মারধর করেন। এতে এই ছাত্রী শ্রেণিকক্ষেই অচেতন হয়ে পড়ে। সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় পল্লিচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ছাত্রীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ে ক্লাসে অঙ্ক না পারায় শিক্ষক রেজাউল করিম ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর করেন। বেত্রাঘাতে তার মেরুদণ্ডে আঘাত পায়। অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এখনো সে স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারে না।’
এ বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিমান চন্দ্র আশ্চর্য জানান, ‘সে হঠাৎ হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। শরীরের কোনো একটা অংশে মারাত্মক আঘাত পাওয়ায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাতিয়ার বাইরে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
অভিযুক্ত শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, ‘অঙ্ক না পারায় তাকে পিঠে একটি থাপ্পড় দিয়েছি। এই আঘাতের কারণে সে অসুস্থ হওয়ার কথা না। এরপরও সে অসুস্থ হওয়ায় আমরা তাকে হাসপাতালে গিয়ে দেখে এসেছি। ঘটনার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

নোয়াখালীর হাতিয়ায় অঙ্ক না পারায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মুমূর্ষু অবস্থায় ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার চরচেঙ্গা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে জানা যায়, চরচেঙ্গা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে গণিতের ক্লাস চলাকালে অঙ্ক না পারায় সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম মারধর করেন। এতে এই ছাত্রী শ্রেণিকক্ষেই অচেতন হয়ে পড়ে। সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় পল্লিচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ছাত্রীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ে ক্লাসে অঙ্ক না পারায় শিক্ষক রেজাউল করিম ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর করেন। বেত্রাঘাতে তার মেরুদণ্ডে আঘাত পায়। অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এখনো সে স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারে না।’
এ বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিমান চন্দ্র আশ্চর্য জানান, ‘সে হঠাৎ হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। শরীরের কোনো একটা অংশে মারাত্মক আঘাত পাওয়ায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাতিয়ার বাইরে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
অভিযুক্ত শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, ‘অঙ্ক না পারায় তাকে পিঠে একটি থাপ্পড় দিয়েছি। এই আঘাতের কারণে সে অসুস্থ হওয়ার কথা না। এরপরও সে অসুস্থ হওয়ায় আমরা তাকে হাসপাতালে গিয়ে দেখে এসেছি। ঘটনার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের বর্তমান মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মিহির কান্তি গুহ। আগে ছিলেন পশ্চিম রেলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (সিএমও)। তখন তিনিসহ মোট ১৩ কর্মকর্তা কেনাকাটায় বড় অনিয়ম করেছেন বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়। তারপরও তিনি বহাল আছেন।
১৭ অক্টোবর ২০২১
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৩ জন সহকারী শিক্ষকের বেতন হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা। ২০০৮ ও ২০০৯ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত এসব সহকারী শিক্ষক ১০ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেডের সুবিধা পান।
১৬ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর থানা এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মো. আকবর (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে থানার মাইজপাড়া এলাকায় ভুক্তভোগী ব্যক্তির বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আকবর ওই এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে।
৪০ মিনিট আগে
বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের কম্পাউন্ডে জব্দ করা জাটকা নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা ও ‘হরিলুটের’ ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে শত শত মানুষ কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে জব্দ করা জাটকা লুট করে নিয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ঘটনাস্থলে থাকা চারজন আনসার সদস্য।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের কম্পাউন্ডে জব্দ করা জাটকা মাছ নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা ও ‘হরিলুটের’ ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে শত শত মানুষ কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে জব্দ করা জাটকা লুট করে নিয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ঘটনাস্থলে থাকা চারজন আনসার সদস্য।
জাটকা বিতরণের সময় মৎস্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কার্টন সরিয়ে রেখে অল্প কিছু মাছ বিতরণের অভিযোগ উঠলে হট্টগোল শুরু হয়। এরপর প্রায় এক ঘণ্টা ধরে সেখানে চরম বিশৃঙ্খলা চলতে থাকে।
সরেজমিনে গতকাল রাত ৯টার দিকে দেখা যায়, গ্যারেজের পাশে মৎস্য অফিসের কয়েকজন স্টাফকে অন্তত তিনটি জাটকাভর্তি কার্টন ধরে রাখতে দেখা যায়। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা একটি কার্টনভর্তি জাটকা লুট করে নিয়ে যায়। লুটের সময় অনেক নারীকে দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
ঘটনাস্থলে থাকা একাধিক নারী অভিযোগ করেন, কর্মকর্তারা প্রতারণা করেছেন। তাঁরা সব মাছ নিজেদের জন্য সরিয়ে রেখে অল্প কিছু অফিসের সামনে রেখে গেট খুলে দেন। এরপর শত শত সাধারণ মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে।
আমিন হাওলাদার নামের একজন বলেন, মাছ ছিল ১০-১২ কার্টন। কিন্তু একটি কার্টনের মাছ বণ্টন করতে গেট খুলে দিলে হরিলুট চলে। তাদের থামাতে আনসাররা চেষ্টা করেও পারেননি।
নীহারিকা মণ্ডল নামের এক গৃহিণী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘একটা জাটকাও পাইনি। সব লুট হয়েছে। স্যাররা পেছনে কার্টন ভর্তি করে রেখেছে।’ মহসীন মিয়া নামে শেরেবাংলা সড়কের এক যুবক বলেন, ‘কয়েকটি মাদ্রাসার লোকজনকে বস্তা ভরে জাটকা দিয়েছে। কিন্তু গরিবেরা দাঁড়িয়ে থেকেও পায়নি।’
এ বিষয়ে জানতে বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. কামরুল হাসানকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি অভিযান পরিচালনা করতে নিষেধ করেছিলাম। তারপরও সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আবুল হাসানের নেতৃত্বে অফিসের সামনেই বাস থামিয়ে অভিযান চালানো হয় এবং বেশ কিছু মাছ উদ্ধার করা হয়।’ তবে কী পরিমাণ মাছ উদ্ধার হয়েছিল, তা তিনি জানাতে পারেননি।
রিপন কান্তি স্বীকার করেন, ‘দুস্থদের মধ্যে বিতরণকালে কিছু মাছ লোকজন লুট করেছে। সেখানে চারজন আনসার ছিল।’ তবে তার স্টাফরা মাছ সরিয়ে ফেলেছেন, এমন অভিযোগ মানতে নারাজ তিনি। তিনি বলেন, ‘যারা বলেছে, তারা গুজব ছড়িয়েছে। আমার স্টাফদের জাটকা নেওয়ার সুযোগ নেই।’

বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের কম্পাউন্ডে জব্দ করা জাটকা মাছ নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা ও ‘হরিলুটের’ ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে শত শত মানুষ কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে জব্দ করা জাটকা লুট করে নিয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ঘটনাস্থলে থাকা চারজন আনসার সদস্য।
জাটকা বিতরণের সময় মৎস্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কার্টন সরিয়ে রেখে অল্প কিছু মাছ বিতরণের অভিযোগ উঠলে হট্টগোল শুরু হয়। এরপর প্রায় এক ঘণ্টা ধরে সেখানে চরম বিশৃঙ্খলা চলতে থাকে।
সরেজমিনে গতকাল রাত ৯টার দিকে দেখা যায়, গ্যারেজের পাশে মৎস্য অফিসের কয়েকজন স্টাফকে অন্তত তিনটি জাটকাভর্তি কার্টন ধরে রাখতে দেখা যায়। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা একটি কার্টনভর্তি জাটকা লুট করে নিয়ে যায়। লুটের সময় অনেক নারীকে দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
ঘটনাস্থলে থাকা একাধিক নারী অভিযোগ করেন, কর্মকর্তারা প্রতারণা করেছেন। তাঁরা সব মাছ নিজেদের জন্য সরিয়ে রেখে অল্প কিছু অফিসের সামনে রেখে গেট খুলে দেন। এরপর শত শত সাধারণ মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে।
আমিন হাওলাদার নামের একজন বলেন, মাছ ছিল ১০-১২ কার্টন। কিন্তু একটি কার্টনের মাছ বণ্টন করতে গেট খুলে দিলে হরিলুট চলে। তাদের থামাতে আনসাররা চেষ্টা করেও পারেননি।
নীহারিকা মণ্ডল নামের এক গৃহিণী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘একটা জাটকাও পাইনি। সব লুট হয়েছে। স্যাররা পেছনে কার্টন ভর্তি করে রেখেছে।’ মহসীন মিয়া নামে শেরেবাংলা সড়কের এক যুবক বলেন, ‘কয়েকটি মাদ্রাসার লোকজনকে বস্তা ভরে জাটকা দিয়েছে। কিন্তু গরিবেরা দাঁড়িয়ে থেকেও পায়নি।’
এ বিষয়ে জানতে বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. কামরুল হাসানকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি অভিযান পরিচালনা করতে নিষেধ করেছিলাম। তারপরও সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আবুল হাসানের নেতৃত্বে অফিসের সামনেই বাস থামিয়ে অভিযান চালানো হয় এবং বেশ কিছু মাছ উদ্ধার করা হয়।’ তবে কী পরিমাণ মাছ উদ্ধার হয়েছিল, তা তিনি জানাতে পারেননি।
রিপন কান্তি স্বীকার করেন, ‘দুস্থদের মধ্যে বিতরণকালে কিছু মাছ লোকজন লুট করেছে। সেখানে চারজন আনসার ছিল।’ তবে তার স্টাফরা মাছ সরিয়ে ফেলেছেন, এমন অভিযোগ মানতে নারাজ তিনি। তিনি বলেন, ‘যারা বলেছে, তারা গুজব ছড়িয়েছে। আমার স্টাফদের জাটকা নেওয়ার সুযোগ নেই।’

রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের বর্তমান মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মিহির কান্তি গুহ। আগে ছিলেন পশ্চিম রেলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (সিএমও)। তখন তিনিসহ মোট ১৩ কর্মকর্তা কেনাকাটায় বড় অনিয়ম করেছেন বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়। তারপরও তিনি বহাল আছেন।
১৭ অক্টোবর ২০২১
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৩ জন সহকারী শিক্ষকের বেতন হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা। ২০০৮ ও ২০০৯ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত এসব সহকারী শিক্ষক ১০ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেডের সুবিধা পান।
১৬ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর থানা এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মো. আকবর (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে থানার মাইজপাড়া এলাকায় ভুক্তভোগী ব্যক্তির বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আকবর ওই এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে।
৪০ মিনিট আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ায় অঙ্ক না পারায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মুমূর্ষু অবস্থায় ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে