শাপলা খন্দকার, বগুড়া
সর্বশেষ ২০০৬ সালের ৫ ডিসেম্বর বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৫ বছর ধরে সেখানে জ্বলেনি স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট। আলোকিত হয়নি উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার মানুষের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দেখার একমাত্র মঞ্চটি। ফলে উত্তরবঙ্গে একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ছিল তা ভুলেই যেতে বসেছেন এ অঞ্চলের বাসিন্দারা। ঠিক কী কারণে এ মাঠে আন্তর্জাতিক ম্যাচ গড়াচ্ছে না এর সুস্পষ্ট উত্তর নেই সংশ্লিষ্টদের কাছে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার কয়েকজন বলছেন, স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। আশা করা যাচ্ছে খুব দ্রুত স্টেডিয়ামটি আলোর মুখ দেখবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ৩০ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু হিসেবে ঘোষণা করে। ওই বছরেই স্টেডিয়ামটি আন্তর্জাতিক টেস্ট ভেন্যুর স্বীকৃতিও পায়। একই বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এই ভেন্যুতে পাঁচটি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ও একটি টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৩-০৪ অর্থ বছরে মাত্র ২১ কোটি টাকায় বগুড়া জেলা স্টেডিয়ামকে একটি আন্তর্জাতিক ভেন্যুতে (ফ্লাডলাইটসহ) উন্নীত করা হয়েছিল। মাঠে আগে থেকেই ভালো মানের পাঁচটি উইকেট (পিচ) রয়েছে। আরও দুইটি নতুন উইকেট বানাতে বেশি খরচও করতে হবে না। আউটফিল্ড, গ্যালারি, মিডিয়া সেন্টার ও ড্রেসিং রুমের অবস্থা এখনো বেশ ভালো। তাই খুব অল্প টাকায় স্টেডিয়ামটিকে সংস্কার করে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চালু করা সম্ভব।
সূত্র আরও জানায়, বর্তমানে স্টেডিয়ামটির দায়-দায়িত্ব বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। তবে গত ১৫ বছরেও এখানে সংস্কার কাজের ছোঁয়া লাগেনি। অভিযোগ উঠেছে, ২০০৬ সালের পর থেকে ফ্লাডলাইটগুলো খুব কমই জ্বালানো হয়েছে। এরপরেও বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য প্রতি মাসে ৯০ হাজারেরও বেশি টাকা দিতে হয় বিসিবিকে। এছাড়াও স্টেডিয়ামের কর্মীদের বেতন ও নামমাত্র রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও প্রতি মাসে প্রায় আড়াই লাখ টাকার মতো ব্যয় হয়।
ক্রীড়া অঙ্গনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মতে, শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম সংস্কারে খুব বেশি অর্থ খরচ হবে না। ২০০৬ সালে স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণ ক্ষমতা ছিল সাড়ে ১৮ হাজার। এই মাঠের চারপাশে যে ফাঁকা জায়গা আছে, তাতে গ্যালারি সম্প্রসারণ করলে ৪০ হাজার দর্শক একসঙ্গে মাঠে বসে খেলা উপভোগ করতে পারবেন।
বিসিবির এমন উদাসীনতায় ক্রীড়াপ্রেমীরা ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ, শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে খেলার আয়োজনের ক্ষেত্রে বিসিবিসহ সংশ্লিষ্ট কারোরই কোন মাথাব্যথা নেই। এ স্টেডিয়াম আদৌ চালু হবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান ক্রীড়াপ্রেমী বগুড়াবাসী।
জেলা যুব লীগের সভাপতি ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন বলেন, ‘স্টেডিয়ামের বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের লোকজনের সঙ্গে কথা বলা হবে। যত দ্রুত সম্ভব একটা সমাধান নিয়ে আসার চেষ্টা করবো। পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসক জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি। কিন্তু এ বিষয়ে কথা বলা হলেও অনেক সময় জেলা প্রশাসন থেকে এ বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয় না। আশা করছি খুব শিগগিরই আলোর মুখ দেখবে এ স্টেডিয়াম।'
শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক খেলা ফিরবে কী না জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক বলেন, ‘অতীতে কেন খেলা অনুষ্ঠিত হয়নি তা আমার জানা নেই। তবে আমি এ জেলায় নিয়োগ পেয়েছি করোনাকালে। করোনাকালে সারা দেশের ন্যায় বগুড়াতেও আন্তর্জাতিক কোন খেলার বিষয়ে আমাদের কোন পরিকল্পনা নেই।' করোনার প্রকোপ শেষ হয়ে গেলে এ বিষয়ে আলোকপাত করবেন বলে জানান এই কর্মকর্তা। ভেন্যু মানেজার জামিলুর রহমান সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিতে গেলে তাঁকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. নিজামুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক খেলা আয়োজন করার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা একটি বড় ইস্যু। এয়ারপোর্ট থেকে বগুড়া পর্যন্ত খেলোয়াড়দের পৌঁছে দিতে যে ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন তা নিশ্চিত করা কঠিন বিষয়। তাছাড়া আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে যুগোপযোগী সুযোগ-সুবিধার অভাব আছে। এসব পূরণ করার পর সেখানে অবশ্যই খেলার আয়োজন করা হবে।'
স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ কবে নাগাদ সম্পন্ন হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে সিইও বলেন, ‘করোনার প্রাদুর্ভাব কেটে গেলে বিসিবি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেবে।'
সর্বশেষ ২০০৬ সালের ৫ ডিসেম্বর বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৫ বছর ধরে সেখানে জ্বলেনি স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট। আলোকিত হয়নি উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার মানুষের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দেখার একমাত্র মঞ্চটি। ফলে উত্তরবঙ্গে একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ছিল তা ভুলেই যেতে বসেছেন এ অঞ্চলের বাসিন্দারা। ঠিক কী কারণে এ মাঠে আন্তর্জাতিক ম্যাচ গড়াচ্ছে না এর সুস্পষ্ট উত্তর নেই সংশ্লিষ্টদের কাছে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার কয়েকজন বলছেন, স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। আশা করা যাচ্ছে খুব দ্রুত স্টেডিয়ামটি আলোর মুখ দেখবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ৩০ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু হিসেবে ঘোষণা করে। ওই বছরেই স্টেডিয়ামটি আন্তর্জাতিক টেস্ট ভেন্যুর স্বীকৃতিও পায়। একই বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এই ভেন্যুতে পাঁচটি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ও একটি টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৩-০৪ অর্থ বছরে মাত্র ২১ কোটি টাকায় বগুড়া জেলা স্টেডিয়ামকে একটি আন্তর্জাতিক ভেন্যুতে (ফ্লাডলাইটসহ) উন্নীত করা হয়েছিল। মাঠে আগে থেকেই ভালো মানের পাঁচটি উইকেট (পিচ) রয়েছে। আরও দুইটি নতুন উইকেট বানাতে বেশি খরচও করতে হবে না। আউটফিল্ড, গ্যালারি, মিডিয়া সেন্টার ও ড্রেসিং রুমের অবস্থা এখনো বেশ ভালো। তাই খুব অল্প টাকায় স্টেডিয়ামটিকে সংস্কার করে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চালু করা সম্ভব।
সূত্র আরও জানায়, বর্তমানে স্টেডিয়ামটির দায়-দায়িত্ব বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। তবে গত ১৫ বছরেও এখানে সংস্কার কাজের ছোঁয়া লাগেনি। অভিযোগ উঠেছে, ২০০৬ সালের পর থেকে ফ্লাডলাইটগুলো খুব কমই জ্বালানো হয়েছে। এরপরেও বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য প্রতি মাসে ৯০ হাজারেরও বেশি টাকা দিতে হয় বিসিবিকে। এছাড়াও স্টেডিয়ামের কর্মীদের বেতন ও নামমাত্র রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও প্রতি মাসে প্রায় আড়াই লাখ টাকার মতো ব্যয় হয়।
ক্রীড়া অঙ্গনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মতে, শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম সংস্কারে খুব বেশি অর্থ খরচ হবে না। ২০০৬ সালে স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণ ক্ষমতা ছিল সাড়ে ১৮ হাজার। এই মাঠের চারপাশে যে ফাঁকা জায়গা আছে, তাতে গ্যালারি সম্প্রসারণ করলে ৪০ হাজার দর্শক একসঙ্গে মাঠে বসে খেলা উপভোগ করতে পারবেন।
বিসিবির এমন উদাসীনতায় ক্রীড়াপ্রেমীরা ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ, শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে খেলার আয়োজনের ক্ষেত্রে বিসিবিসহ সংশ্লিষ্ট কারোরই কোন মাথাব্যথা নেই। এ স্টেডিয়াম আদৌ চালু হবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান ক্রীড়াপ্রেমী বগুড়াবাসী।
জেলা যুব লীগের সভাপতি ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন বলেন, ‘স্টেডিয়ামের বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের লোকজনের সঙ্গে কথা বলা হবে। যত দ্রুত সম্ভব একটা সমাধান নিয়ে আসার চেষ্টা করবো। পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসক জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি। কিন্তু এ বিষয়ে কথা বলা হলেও অনেক সময় জেলা প্রশাসন থেকে এ বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয় না। আশা করছি খুব শিগগিরই আলোর মুখ দেখবে এ স্টেডিয়াম।'
শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক খেলা ফিরবে কী না জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক বলেন, ‘অতীতে কেন খেলা অনুষ্ঠিত হয়নি তা আমার জানা নেই। তবে আমি এ জেলায় নিয়োগ পেয়েছি করোনাকালে। করোনাকালে সারা দেশের ন্যায় বগুড়াতেও আন্তর্জাতিক কোন খেলার বিষয়ে আমাদের কোন পরিকল্পনা নেই।' করোনার প্রকোপ শেষ হয়ে গেলে এ বিষয়ে আলোকপাত করবেন বলে জানান এই কর্মকর্তা। ভেন্যু মানেজার জামিলুর রহমান সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিতে গেলে তাঁকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. নিজামুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক খেলা আয়োজন করার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা একটি বড় ইস্যু। এয়ারপোর্ট থেকে বগুড়া পর্যন্ত খেলোয়াড়দের পৌঁছে দিতে যে ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন তা নিশ্চিত করা কঠিন বিষয়। তাছাড়া আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে যুগোপযোগী সুযোগ-সুবিধার অভাব আছে। এসব পূরণ করার পর সেখানে অবশ্যই খেলার আয়োজন করা হবে।'
স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ কবে নাগাদ সম্পন্ন হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে সিইও বলেন, ‘করোনার প্রাদুর্ভাব কেটে গেলে বিসিবি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেবে।'
শাকিব খানের আলোচিত তাণ্ডব সিনেমার শো চলার সময় ময়মনসিংহ সদরের ছায়াবাণী হলে ভাঙচুর ও টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার বিকেলের এ ঘটনা ঘটে। কারিগরি ত্রুটিতে শো বিঘ্নিত হলে উত্তেজিত দর্শকরা এ কাণ্ড ঘটায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পর আবার শো চালু হয়।
৯ ঘণ্টা আগেঈদুল আজহায় জমে উঠেছে ঢাকা ও আশেপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টার পর থেকে ধীরে ধীরে পর্যটন কেন্দ্রে দর্শনার্থীরা আশা শুরু করে দিয়েছে। কোরবানি ঈদের দিনেই দর্শনার্থীদের সংখ্যাটা কম থাকলেও সন্ধ্যার পরে লোকসমাগম বেশি হবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের। বন্ধুবান্ধব, পরিবার-পরিজন
৯ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম নগরীকে কোরবানির বর্জ্যমুক্ত এবং একই সঙ্গে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের সমাপ্তির ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা নগরীর দামপাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) কন্ট্রোল রুমে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এই ঘোষণার কথা জানান।
৯ ঘণ্টা আগেশেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় ডোবায় পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের মলামারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
৯ ঘণ্টা আগে