শাহীন রহমান, পাবনা
‘সকাল ৭টার দিকে আমার রান্না শেষের দিকে। তিনি বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় আমি তাকে বলেছিলাম, খেয়ে যাও। তিনি বলেছিলেন, পাঁচ মিনিটের জন্য আসছি। তাঁর সেই যাওয়াই যে শেষ যাওয়া হবে বুঝতে পারি নাই। তিনি ফিরলেন, তবে লাশ হয়ে। এ কষ্ট এখন কেমনে সইব।’ এ কথা বলেই হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন স্ত্রী নাছরিন খাতুন।
স্বামীকে হারানোর বেদনা যেন সইতে পারছেন না তিনি। তাঁর স্বামী ইয়াসিন আলম (৩৫) শনিবার সকালে নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে সংঘর্ষে মারা গেছেন। ইয়াসিন পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা গ্রামের মোজাম্মেল হক খানের ছেলে। তিন ভাই, এক বোনের মধ্যে মেজো সন্তান ইয়াসিন।
চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে ভাড়ারা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে একই পরিবার থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন তাঁরই আপন চাচাতো ভাই ঘোড়া প্রতীকের সুলতান মাহমুদ খান। স্বজনদের দাবি, প্রার্থী হলেও চাচাতো ভাইয়ের পক্ষেই কাজ করছিলেন ইয়াসিন আলম।
শনিবার সকালে তাঁদের নির্বাচনী প্রচারণায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু সাইদ খান ও তাঁর সমর্থকেরা বাধা দিলে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে গুরুতর আহত হন ইয়াসিন আলম। পাবনা থেকে রাজশাহী নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। নৌকার বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়া ও ভাইয়ের পক্ষে কাজ করায় তাঁকে প্রাণ হারাতে হলো বলে মনে করছেন স্বজনেরা।
ইয়াসিন আলমের মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছার পর শুরু হয় শোকের মাতম। স্বজন ও প্রতিবেশীদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে গ্রামের বাতাস। শনিবার দুপুরে নিহতের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিবেশী স্বজনদের ভিড়। ঘরের বাইরে কান্নার শব্দ ভেসে আসে কানে। ছেলের জন্য আহাজারি করছেন মা শেফালী বেগম। স্বামীর মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না স্ত্রী নাছরিন খাতুন। বাবাকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ ১১ বছরের শিশু সন্তান নাইম খান। তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষাও যেন হারিয়ে ফেলেছেন প্রতিবেশীরা।
পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিগত ১৪ বছর ধরে দেশের বাইরে ছিলেন ইয়াসিন আলম। সিঙ্গাপুর থেকে দেড় মাস আগে বাড়িতে আসেন তিনি। কোম্পানি পরিবর্তন করে কাগজপত্র ঠিক হলে আগামী জানুয়ারি নাগাদ সিঙ্গাপুর যাওয়ার কথা ছিল তাঁর।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে ইয়াসিন আলমের স্ত্রী নাছরিন খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামী চিরতরে হারিয়ে গেল। আমার একটাই ছেলে। তাঁকে কেমনে মানুষ করব। কি হবে আমাদের। কোথায় যাব। তবে সাইদ খানের যেন শাস্তি হয়। আমার স্বামী হত্যার সঠিক বিচার চাই। সাইদ এর আগে অনেক মার্ডার করছে কোনোটারই শাস্তি হয় নাই।’
ছেলের জন্য বিলাপ করছিলেন মা শেফালী বেগম। বুক চাপড়ে আহাজারি করে বলেন, ‘বেটা আমার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেল। এসে খাচ্ছি বলে চলে গেল। আর বেটাকে দেখি নাই। বেটা তো কোনো দোষ করে নাই। তালি সে মইরলো ক্যা। সাইদ কি জন্যি আমার বেটাক মাইরলো। ওর বিচার করেন আপনেরা।’
ইয়াছিনের একমাত্র ছেলে মাস্টার নাইম খান বাবাকে হারানোর শোক যেন এখনও বুঝতে পারছে না। নাইম জানায়, সকালে সে তার বন্ধুদের সঙ্গে খেলছিল। বাড়িতে এসে শুনতে পায় তার বাবাকে কারা যেন মারছে, হাসপাতালে ভর্তি। সে হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারে রাজশাহী নিয়ে যাওয়ার সময় তার বাবা মারা গেছে। বাবা নেই কেন, বাবাকে মারল কেন, কি করছিল তার বাবা-এমন অনেক প্রশ্ন তার কণ্ঠে।
‘সকাল ৭টার দিকে আমার রান্না শেষের দিকে। তিনি বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় আমি তাকে বলেছিলাম, খেয়ে যাও। তিনি বলেছিলেন, পাঁচ মিনিটের জন্য আসছি। তাঁর সেই যাওয়াই যে শেষ যাওয়া হবে বুঝতে পারি নাই। তিনি ফিরলেন, তবে লাশ হয়ে। এ কষ্ট এখন কেমনে সইব।’ এ কথা বলেই হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন স্ত্রী নাছরিন খাতুন।
স্বামীকে হারানোর বেদনা যেন সইতে পারছেন না তিনি। তাঁর স্বামী ইয়াসিন আলম (৩৫) শনিবার সকালে নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে সংঘর্ষে মারা গেছেন। ইয়াসিন পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা গ্রামের মোজাম্মেল হক খানের ছেলে। তিন ভাই, এক বোনের মধ্যে মেজো সন্তান ইয়াসিন।
চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে ভাড়ারা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে একই পরিবার থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন তাঁরই আপন চাচাতো ভাই ঘোড়া প্রতীকের সুলতান মাহমুদ খান। স্বজনদের দাবি, প্রার্থী হলেও চাচাতো ভাইয়ের পক্ষেই কাজ করছিলেন ইয়াসিন আলম।
শনিবার সকালে তাঁদের নির্বাচনী প্রচারণায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু সাইদ খান ও তাঁর সমর্থকেরা বাধা দিলে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে গুরুতর আহত হন ইয়াসিন আলম। পাবনা থেকে রাজশাহী নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। নৌকার বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়া ও ভাইয়ের পক্ষে কাজ করায় তাঁকে প্রাণ হারাতে হলো বলে মনে করছেন স্বজনেরা।
ইয়াসিন আলমের মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছার পর শুরু হয় শোকের মাতম। স্বজন ও প্রতিবেশীদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে গ্রামের বাতাস। শনিবার দুপুরে নিহতের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিবেশী স্বজনদের ভিড়। ঘরের বাইরে কান্নার শব্দ ভেসে আসে কানে। ছেলের জন্য আহাজারি করছেন মা শেফালী বেগম। স্বামীর মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না স্ত্রী নাছরিন খাতুন। বাবাকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ ১১ বছরের শিশু সন্তান নাইম খান। তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষাও যেন হারিয়ে ফেলেছেন প্রতিবেশীরা।
পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিগত ১৪ বছর ধরে দেশের বাইরে ছিলেন ইয়াসিন আলম। সিঙ্গাপুর থেকে দেড় মাস আগে বাড়িতে আসেন তিনি। কোম্পানি পরিবর্তন করে কাগজপত্র ঠিক হলে আগামী জানুয়ারি নাগাদ সিঙ্গাপুর যাওয়ার কথা ছিল তাঁর।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে ইয়াসিন আলমের স্ত্রী নাছরিন খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামী চিরতরে হারিয়ে গেল। আমার একটাই ছেলে। তাঁকে কেমনে মানুষ করব। কি হবে আমাদের। কোথায় যাব। তবে সাইদ খানের যেন শাস্তি হয়। আমার স্বামী হত্যার সঠিক বিচার চাই। সাইদ এর আগে অনেক মার্ডার করছে কোনোটারই শাস্তি হয় নাই।’
ছেলের জন্য বিলাপ করছিলেন মা শেফালী বেগম। বুক চাপড়ে আহাজারি করে বলেন, ‘বেটা আমার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেল। এসে খাচ্ছি বলে চলে গেল। আর বেটাকে দেখি নাই। বেটা তো কোনো দোষ করে নাই। তালি সে মইরলো ক্যা। সাইদ কি জন্যি আমার বেটাক মাইরলো। ওর বিচার করেন আপনেরা।’
ইয়াছিনের একমাত্র ছেলে মাস্টার নাইম খান বাবাকে হারানোর শোক যেন এখনও বুঝতে পারছে না। নাইম জানায়, সকালে সে তার বন্ধুদের সঙ্গে খেলছিল। বাড়িতে এসে শুনতে পায় তার বাবাকে কারা যেন মারছে, হাসপাতালে ভর্তি। সে হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারে রাজশাহী নিয়ে যাওয়ার সময় তার বাবা মারা গেছে। বাবা নেই কেন, বাবাকে মারল কেন, কি করছিল তার বাবা-এমন অনেক প্রশ্ন তার কণ্ঠে।
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার পলাশী পূর্বপাড়ার ভ্যানচালক মিজানুর রহমান জ্বর-ব্যথা নিয়ে গিয়েছিলেন পাশের বাসুদেবপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে। সেখানে কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মিতা রাণী দত্ত রোগের কথা শুনেই তাঁকে স্থানীয় পল্লিচিকিৎসক বা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
৫ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন সংস্কার না করায় রাজধানীর জুরাইন-দয়াগঞ্জ সড়কটি বেহাল হয়ে পড়েছে। সড়কের গেন্ডারিয়া রেলস্টেশনের সামনের অংশে অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এসব খানাখন্দ কোথাও কোথাও এক থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত গভীর। বৃষ্টির পানি জমে সেসব গর্ত পুকুরের রূপ ধারণ করেছে।
৬ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আগামী ৯ সেপ্টেম্বর। এই নির্বাচনের মাত্র এক মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্র রাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখায় ক্যাম্পাসে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে বিরোধ আরও বেড়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেরাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার বিভিন্ন দোকান ও গুদামে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ১০০টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে কিশোর গ্যাং ও ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত কুখ্যাত ‘সামুরাই’ চাপাতি ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র।
৯ ঘণ্টা আগে