নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
সবুজ ধানখেতের পাশে কাঠা দশেক জায়গা হালচাষ করা। জমির এক কোণে শুধু একটা আমগাছ। দেখে মনে হচ্ছে, হালচাষের পর এ জমি পতিত ফেলে রাখা হয়েছে। কিন্তু আট দিন আগে এখানেই ছিল দুলাল ঘোষ আর তাঁর জামাতা কমল ঘোষের বাড়ি। এখন এ বাড়ি দুটির চিহ্নমাত্র নেই।
দুলালের এ বাড়ি ছিল রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার হিজলগাছি গ্রামে। একই জমিতে পাশের বাড়িটি ছিল দুলালের জামাতা কমল ঘোষের। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেদিনই বিকেলে এ বাড়ি দুটিতে লুটপাট চালান স্থানীয় বিএনপির কর্মীরা। পরদিন বাড়ি দুটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এখানেই যে দুলাল-কমলের বাড়ি ছিল, তা এখন বোঝার উপায় নেই।
বাড়ির চারপাশে ছিল অন্তত ৩০টি গাছ। একটি আমগাছ ছাড়া সবই কেটে ফেলা হয়েছে। তবে জমিতে এখনো দাঁড়িয়ে আছে বিদ্যুতের একটি খুঁটি। সেই খুঁটির সঙ্গে টানানো তার দেখিয়ে দুলাল ঘোষ বলেন, ‘কারেন্টের তারগুলা শুধু আছে। মিটারডাও খুইল্যা লিইয়্যা গেলছে। এখুন আমার থাকার জাগা নাই। ব্যাটার বাড়িতে আছি। বিটি আছে আরাক বিটির বাড়িতে।’
ভিটেছাড়া হয়ে ৫ আগস্ট থেকেই কিছুটা দূরে ছেলের বাড়িতে থাকছেন বৃদ্ধ কৃষক দুলাল ঘোষ। আজ মঙ্গলবার সকালে যোগাযোগ করা হলে দুলাল তাঁর ভিটায় এসে বলেন, ‘তারা হুমকি দিয়্যাছে, ভিটায় আইলে লাশ ফেল্যা দেওয়া হবে। আমি জানের ভয়ে আসি না। ৫ তারিখের পর আইজ প্রথম আসনু।’ কান্নায় ভেঙে পড়ে দুলাল এ ঘটনার বিচার চান। নিজের বসতভিটা রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
দুলাল জানালেন, প্রায় ৩০ বছর আগে পৌনে দুই বিঘা খাস জমি তাঁর দাদা সরকারের কাছ থেকে ১০০ বছরের জন্য পত্তন নেন। এর আগে এলাকার কিছু লোক এই জমি ভোগ করতেন। সরকার দুলালের দাদাকে জমি পত্তন দেওয়ার পর কিছু লোক ওই জমি নিজেদের বলে দাবি করেন। তখন গ্রামে সালিস বসে। সালিসে কাগজপত্র দেখে জমি দুলালদেরই দেওয়া হয়।
এখন জমিতে ফসলের আবাদ করা হয়। প্রায় ১০ বছর আগে দুলাল জমির একটি অংশে বাড়ি করেন। কয়েক বছর আগে জামাতা কমল ঘোষকেও বাড়ি করতে দেন। এত দিন আর কখনো কোনো ঝামেলা হয়নি। হঠাৎ ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য জয়দুল ইসলাম ফেন্সু, তাঁর দুই ছেলে নবাব ও জনি; ভাই সাবেক সেনাসদস্য শরিফুল ইসলাম ও লালমিয়া; ভগ্নিপতি আসারুল ও সেলিম; বিএনপিকর্মী পলাশ, সুইট, সাল্লাম, জাকিরুল, রিপনসহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাঁদের বাড়িতে হামলা চালান। এরপর দুই বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, ঢেউটিন, ফ্রিজ, টেলিভিশনসহ অন্যান্য জিনিসপত্র লুটে নেওয়া হয়।
পরদিন হামলাকারীরা তাঁর সেমিপাকা বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়। গাছগুলো কেটে ফেলা হয়। বাড়ির ইটগুলো পাশের পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কমলের বাড়ির ঢেউটিনগুলো নিয়ে চলে যায় হামলাকারীরা। প্রাণভয়ে দুলাল ও কমল তাঁদের বাড়ি রক্ষায় হামলাকারীদের সামনেই যেতে পারেননি। ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য ফেন্সু দীর্ঘদিন ধরেই এ জমি দখলের চেষ্টা করছিলেন বলে জানান দুলাল।
কমল ঘোষ গরুর দুধ সংগ্রহের কাজ করেন। বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর স্ত্রী শিবা রানীর বোনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। আজ সকালে ওই বাড়িতে গিয়ে শিবা রানীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘হামলার সময় বাড়িতে কোনো পুরুষ মানুষ ছিল না। হামলাকারীরা আমার ১৫ বছরের মেয়েকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছিল। মেয়ের ইজ্জত রক্ষায় আমি তাকে নিয়ে এক কাপড়ে পালিয়ে এসেছি। বাড়ির আর কিছুই পাইনি।’
হামলা, লুটপাট ও উচ্ছেদের পর শিবা রানী ও তাঁর বাবা দুলাল ঘোষ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হায়াতের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। দুলাল বলেন, ইউএনও সেনাবাহিনীর সদস্যদের পাঠিয়েছিলেন। সেনা সদস্যরা রিপন নামের এক হামলাকারীকে আটকও করেছিল। পরে একই জমিতে তাঁদের বাড়ি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে রিপনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু পরে বাড়ি তো করে দেওয়া হয়নি, উল্টো এখন ভিটা ছেড়ে দিতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন দুলাল ঘোষ।
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য জয়দুল ইসলাম ফেন্সুর মোবাইলে ফোন করে বন্ধ পাওয়া যায়। গোদাগাড়ীর ইউএনও আবুল হায়াত বলেন, ঘটনাটি তিনি জানেন। অভিযোগ পেয়ে তিনিই সেনাবাহিনীর সদস্যদের পাঠিয়েছিলেন। এখনো সমস্যার সমাধান না হলে তিনি নিজে যাবেন। দুলাল ও কমলের বসতবাড়ি কেউ দখলে নিতে পারবে না। এ ব্যাপারে তিনি প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
সবুজ ধানখেতের পাশে কাঠা দশেক জায়গা হালচাষ করা। জমির এক কোণে শুধু একটা আমগাছ। দেখে মনে হচ্ছে, হালচাষের পর এ জমি পতিত ফেলে রাখা হয়েছে। কিন্তু আট দিন আগে এখানেই ছিল দুলাল ঘোষ আর তাঁর জামাতা কমল ঘোষের বাড়ি। এখন এ বাড়ি দুটির চিহ্নমাত্র নেই।
দুলালের এ বাড়ি ছিল রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার হিজলগাছি গ্রামে। একই জমিতে পাশের বাড়িটি ছিল দুলালের জামাতা কমল ঘোষের। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেদিনই বিকেলে এ বাড়ি দুটিতে লুটপাট চালান স্থানীয় বিএনপির কর্মীরা। পরদিন বাড়ি দুটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এখানেই যে দুলাল-কমলের বাড়ি ছিল, তা এখন বোঝার উপায় নেই।
বাড়ির চারপাশে ছিল অন্তত ৩০টি গাছ। একটি আমগাছ ছাড়া সবই কেটে ফেলা হয়েছে। তবে জমিতে এখনো দাঁড়িয়ে আছে বিদ্যুতের একটি খুঁটি। সেই খুঁটির সঙ্গে টানানো তার দেখিয়ে দুলাল ঘোষ বলেন, ‘কারেন্টের তারগুলা শুধু আছে। মিটারডাও খুইল্যা লিইয়্যা গেলছে। এখুন আমার থাকার জাগা নাই। ব্যাটার বাড়িতে আছি। বিটি আছে আরাক বিটির বাড়িতে।’
ভিটেছাড়া হয়ে ৫ আগস্ট থেকেই কিছুটা দূরে ছেলের বাড়িতে থাকছেন বৃদ্ধ কৃষক দুলাল ঘোষ। আজ মঙ্গলবার সকালে যোগাযোগ করা হলে দুলাল তাঁর ভিটায় এসে বলেন, ‘তারা হুমকি দিয়্যাছে, ভিটায় আইলে লাশ ফেল্যা দেওয়া হবে। আমি জানের ভয়ে আসি না। ৫ তারিখের পর আইজ প্রথম আসনু।’ কান্নায় ভেঙে পড়ে দুলাল এ ঘটনার বিচার চান। নিজের বসতভিটা রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
দুলাল জানালেন, প্রায় ৩০ বছর আগে পৌনে দুই বিঘা খাস জমি তাঁর দাদা সরকারের কাছ থেকে ১০০ বছরের জন্য পত্তন নেন। এর আগে এলাকার কিছু লোক এই জমি ভোগ করতেন। সরকার দুলালের দাদাকে জমি পত্তন দেওয়ার পর কিছু লোক ওই জমি নিজেদের বলে দাবি করেন। তখন গ্রামে সালিস বসে। সালিসে কাগজপত্র দেখে জমি দুলালদেরই দেওয়া হয়।
এখন জমিতে ফসলের আবাদ করা হয়। প্রায় ১০ বছর আগে দুলাল জমির একটি অংশে বাড়ি করেন। কয়েক বছর আগে জামাতা কমল ঘোষকেও বাড়ি করতে দেন। এত দিন আর কখনো কোনো ঝামেলা হয়নি। হঠাৎ ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য জয়দুল ইসলাম ফেন্সু, তাঁর দুই ছেলে নবাব ও জনি; ভাই সাবেক সেনাসদস্য শরিফুল ইসলাম ও লালমিয়া; ভগ্নিপতি আসারুল ও সেলিম; বিএনপিকর্মী পলাশ, সুইট, সাল্লাম, জাকিরুল, রিপনসহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাঁদের বাড়িতে হামলা চালান। এরপর দুই বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, ঢেউটিন, ফ্রিজ, টেলিভিশনসহ অন্যান্য জিনিসপত্র লুটে নেওয়া হয়।
পরদিন হামলাকারীরা তাঁর সেমিপাকা বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়। গাছগুলো কেটে ফেলা হয়। বাড়ির ইটগুলো পাশের পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কমলের বাড়ির ঢেউটিনগুলো নিয়ে চলে যায় হামলাকারীরা। প্রাণভয়ে দুলাল ও কমল তাঁদের বাড়ি রক্ষায় হামলাকারীদের সামনেই যেতে পারেননি। ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য ফেন্সু দীর্ঘদিন ধরেই এ জমি দখলের চেষ্টা করছিলেন বলে জানান দুলাল।
কমল ঘোষ গরুর দুধ সংগ্রহের কাজ করেন। বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর স্ত্রী শিবা রানীর বোনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। আজ সকালে ওই বাড়িতে গিয়ে শিবা রানীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘হামলার সময় বাড়িতে কোনো পুরুষ মানুষ ছিল না। হামলাকারীরা আমার ১৫ বছরের মেয়েকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছিল। মেয়ের ইজ্জত রক্ষায় আমি তাকে নিয়ে এক কাপড়ে পালিয়ে এসেছি। বাড়ির আর কিছুই পাইনি।’
হামলা, লুটপাট ও উচ্ছেদের পর শিবা রানী ও তাঁর বাবা দুলাল ঘোষ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হায়াতের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। দুলাল বলেন, ইউএনও সেনাবাহিনীর সদস্যদের পাঠিয়েছিলেন। সেনা সদস্যরা রিপন নামের এক হামলাকারীকে আটকও করেছিল। পরে একই জমিতে তাঁদের বাড়ি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে রিপনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু পরে বাড়ি তো করে দেওয়া হয়নি, উল্টো এখন ভিটা ছেড়ে দিতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন দুলাল ঘোষ।
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য জয়দুল ইসলাম ফেন্সুর মোবাইলে ফোন করে বন্ধ পাওয়া যায়। গোদাগাড়ীর ইউএনও আবুল হায়াত বলেন, ঘটনাটি তিনি জানেন। অভিযোগ পেয়ে তিনিই সেনাবাহিনীর সদস্যদের পাঠিয়েছিলেন। এখনো সমস্যার সমাধান না হলে তিনি নিজে যাবেন। দুলাল ও কমলের বসতবাড়ি কেউ দখলে নিতে পারবে না। এ ব্যাপারে তিনি প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
সিলেটের গোয়াইনঘাটে মিষ্টির দোকানে এক ব্যবসায়ীর অর্ধগলিত ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার জাফলংয়ের মামার বাজার মন্দিরসংলগ্ন এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যবসায়ীর নাম রাজীব সরকার (৩০)। তিনি নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার জয়কৃষ্ণ সরকারের ছেলে।
২৭ মিনিট আগেরাজধানীর প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল কর্মী জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। মানববন্ধন থেকে তাঁরা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।
২৯ মিনিট আগেসুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজে দাবি না মানা পর্যন্ত একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার সকাল ৯টায় সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের প্রশাসনিক ও একাডেমি ভবনের ফটকে তালা দিয়ে রক্তাক্ত প্রতীকী অ্যাপ্রোন ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
৩৭ মিনিট আগেদিনাজপুরের বীরগঞ্জে এক যুবক তাঁর স্ত্রীকে খোলা তালাক দিয়ে ১০ লিটার দুধ দিয়ে গোসল করেছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় এক বছরের স্বামী–স্ত্রীর দাম্পত্য কলহ থেকে মুক্তি পাওয়ায় দুধ দিয়ে গোসল করেছেন বলে দাবি আব্দুর রহিমের ছেলে মো. সোহাগ ইসলামের।
৩৯ মিনিট আগে