Ajker Patrika

আওয়ামী লীগের অফিস দখল করে ইউনিয়ন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি 
বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের অফিস দখল করে ইউনিয়ন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের অফিস দখল করে ইউনিয়ন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

নাটোরের বড়াইগ্রামে কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের অফিস দখল করে ইউনিয়ন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় করা হয়েছে। তারা সেখানে ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ৪ নং নগর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়’ লেখা সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট উপজেলার নগর ইউনিয়নের ধানাইদহ বাজারের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের ছেলের শহীদ কল্লোল স্মৃতি সংঘ নামের এই কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়। এই কার্যালয় শহীদ কল্লোল স্মৃতি সংঘ নামে হলেও নগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন ডালু ব্যবহার করতেন। এখানে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়মিত ওঠাবসা ছিল। পুড়ে যাওয়া আধা পাকা কার্যালয়টিতে ওপরের টিনের চাল পুরে গেলেও দেয়াল ঠিক ছিল। সেটি আবার মেরামত করে বিএনপির কার্যালয় করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাজদার রহমান, ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আসাব সরকার, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আতাউর রহমান, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি তৌরাদ মন্ডল এই কার্যালয় নিয়ন্ত্রণ করেন। এই কার্যালয়ে ইউনিয়ন বিএনপির বেশির ভাগ সদস্য ওঠাবসা করেন।

আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সাইনবোর্ড টাঙানোর বিষয়ে সাজদার রহমান বলেন, ‘এই অফিসের জায়গার মালিক ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আসাব সরকার। নিলুফার ইয়াসমিন ডালু দখল করে অফিস বানিয়েছিলেন। ৫ তারিখে বিএনপি ও আসাব সরকারের ছেলে সেটি পুড়িয়ে দেন। পরে সেটি আবার মেরামত করে দলীয় কার্যালয় করা হয়েছে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘এভাবে রাজনৈতিক দলের কার্যালয় দখল করা নিন্দনীয়। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে আমাদের কিছু করার নেই। নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারছি না।’

উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, ‘সাইনবোর্ড টাঙানোর বিষয় আমরা অবগত নই। এ ব্যাপারে আমার কোনো বক্তব্য নেই।’

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। বিষয়টি আমার জানা নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত