Ajker Patrika

রাবিতে ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্রদলের ৪ নেতা-কর্মী আহত

রাবি প্রতিনিধি
রাবিতে ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্রদলের ৪ নেতা-কর্মী আহত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্রদলের চার নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

আহত নেতা-কর্মীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মারুফ হাসান, সদস্য জাকির রেদোয়ান, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের নেতা নাহিদুজ্জামান ও শহীদ শামসুজ্জোহা হলের নেতা জাকির হোসেন। তাঁদের মধ্যে মারুফ হাসান ও জাকির রেদোয়ান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি দুজন বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

যাঁদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তাঁরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মোমিন ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান সোহাগ, কাইয়ুম মিয়া, সাবেক উপ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রাব্বিউল হাসান রূপক, ছাত্রলীগকর্মী আশরাফুল, তামিম, আকাশ, সোহাগ, সাদিক, সানি প্রমুখ। তাঁরা বর্তমান কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির এক দফা দাবি আদায়ে কর্মসূচি পালন করছিল শিক্ষকদের সংগঠন জিয়া পরিষদ। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জিয়া পরিষদের কর্মসূচিতে যোগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের কাছে অবস্থান করছিলেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এ সময় মোটরসাইকেলযোগে এসে তাঁদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। হামলার একপর্যায়ে ছাত্রদলের চারজনকে তুলে নিয়ে যান তাঁরা। পরে তাঁদের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সামনে নিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান মিঠু বলেন, ‘আমরা কর্মসূচিতে অংশ নিতে কয়েকজন নেতা-কর্মী মেইন গেটে অবস্থান করছিলাম। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হাসান সোহাগের নেতৃত্বে কয়েকজন মোটরসাইকেল নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। রামদা, ছুরিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাঁরা এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। একপর্যায়ে তারা আমাদের চার নেতা-কর্মীকে তুলে নিয়ে যায় এবং মারধর করে। পরে প্যারিস রোড থেকে আমরা পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে নেতা-কর্মীদের উদ্ধার করি।’

হামলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের ছাত্রসংগঠন কিছুদিন ধরে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছে। তাদের প্রতিহত করতে ক্যাম্পাসে আমরা অবস্থান নিয়েছি। আজ সকালেও ছাত্রদলের কিছ উচ্ছৃঙ্খল ক্যাডার বাহিনী ক্যাম্পাসে এসে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছিল। এ সময় আমরা তাদের প্রতিহত করেছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘বিএনপিপন্থী একজন শিক্ষকের কাছ থেকে খবরটি জানতে পেরেছি। হামলার বিষয়টি ছাত্রলীগের নেতারা অস্বীকার করেছেন। তা ছাড়া ছাত্রদলের কেউ এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত