Ajker Patrika

খেজুরের রস সংগ্রহে গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সাতক্ষীরার গাছিরা

পাটকেলঘাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
খেজুরগাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত খলিষখালী বাগমারা গ্রামের গাছি আব্দুস সবুর। ছবি: আজকের পত্রিকা
খেজুরগাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত খলিষখালী বাগমারা গ্রামের গাছি আব্দুস সবুর। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রকৃতিতে শীতের আগমনী বার্তা। আর এই সময়ে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় অযত্ন-অবহেলায়পড়ে থাকা খেজুরগাছের কদর বেড়ে যায় বহুগুণ। পিঠাপুলি ও সুস্বাদু গুড়ের প্রধান উপকরণ খেজুরের রস সংগ্রহের জন্য এখন চরম ব্যস্ততা দেখা দিয়েছে এই এলাকার গাছিদের মধ্যে।

গাছিরা বর্তমানে খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহের জন্য প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করেছেন। এটিকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় ‘গাছ তোলা’ বা গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা। এই প্রক্রিয়ায় গাছ পরিষ্কার করা হয়। প্রাথমিক পরিচর্যার এক সপ্তাহ পরই আবার গাছে চাঁছ দিয়ে নলি ও গুজা (রস সংগ্রহের যন্ত্রাংশ) লাগানো হবে।

পাটকেলঘাটার বিভিন্ন গ্রামে, বিশেষ করে রাস্তার পাশে এখন খেজুরগাছ তোলা ও চাঁছার দৃশ্য চোখে পড়ছে। এই রস বের করে গ্রামের ঘরে ঘরে শুরু হবে গুড় ও পাটালি তৈরির উৎসব।

খলিষখালীর বাগমারা গ্রামের গাছি আব্দুস সবুর জানান, তিনি অনেক বছর ধরে এই কাজ করে আসছেন। বর্তমানে শীত এলে রসের চাহিদা ভালো থাকে, তাই তাঁদের উপার্জনও ভালো হয়।

জুজখোলা গ্রামের মধু মোড়ল জানান, একটি গাছ তোলা থেকে রস সংগ্রহ পর্যন্ত গাছিকে ১৫০ টাকা দিতে হয়। বর্তমানে এক ভাঁড় রস ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়।

গাছি শওকাত আলী খাঁ ও সুরোত আলী জানান, এক ভাঁড় রস জ্বালানোর পর তাতে প্রায় এক কেজি গুড় বা পাটালি হয়, যার বাজারমূল্য ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।

একদিকে যখন গাছিরা ব্যস্ত, অন্যদিকে তখন খেজুরবাগান কমে আসার দৃশ্য চোখে পড়ছে। এখন আর আগের মতো মাঠজুড়ে খেজুরবাগান দেখা যায় না। রস জ্বালানোর জন্য ব্যবহৃত ঐতিহ্যবাহী ‘বান’-এর (চুলা) সংখ্যাও নিতান্তই কম। ফলে নলেন গুড় ও পাটালি পাওয়া দুষ্কর হয়ে যাচ্ছে।

পাটকেলঘাটার খলিষখালী ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাব্বির হোসেন এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘ইট পোড়ানোর কাজে এলাকার খেজুরগাছ নিধন হচ্ছে। যার প্রভাব পরিবেশের ওপর পড়ছে। এ ব্যাপারে পরিবেশবিদদের সুদৃষ্টি কামনা করি।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন জানান, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের গাছিরা রস সংগ্রহের জন্য গাছের পরিচর্যা করছেন এবং রস সংগ্রহের জন্য নানান প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

গাংনীতে কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে ঝটিকা মিছিলের এক মাস পর শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
গ্রেপ্তার শ্রমিক লীগ নেতা আব্দুল্লাহ আজাদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার শ্রমিক লীগ নেতা আব্দুল্লাহ আজাদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরীতে এক মাস আগে ঝটিকা মিছিল করেছিল কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। ওই মিছিলে অংশগ্রহণের অভিযোগে আব্দুল্লাহ আজাদ চৌধুরী (৫৪) নামের এক শ্রমিক লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে আজ শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বন্দর থানা-পুলিশ জানিয়েছে। গ্রেপ্তার আব্দুল্লাহ আজাদ চৌধুরী বন্দর থানা শ্রমিক লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক এবং নগরের বন্দর থানাধীন গোসাইলডাঙা ওয়ার্ডের ৩ নম্বর ফকিরহাট এলাকার বাসিন্দা।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে পোর্ট কানেক্টিং রোডে ঝটিকা মিছিলের খবর পেয়ে ওই দিনই অভিযান চালিয়ে সাত নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফতাব উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে পোর্ট কানেক্টিং রোডে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে মিছিল করে। ওই মিছিলে আব্দুল্লাহ আজাদ চৌধুরীর সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ওসি আরও জানান, ওই মিছিলের ঘটনায় ১৬ সেপ্টেম্বর বন্দর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা হয়। এ মামলায় আব্দুল্লাহ আজাদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

গাংনীতে কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অষ্টগ্রামে ১৩ হাজার টাকায় ১ লিটার দুধ

অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
অষ্টগ্রামে ১৩ হাজার টাকায় ১ লিটার দুধ

জনৈক কৃষক মসজিদে ১ লিটার দুধ দান করেন। সেই দুধ নিলামে উঠায় মসজিদ পরিচালনা কমিটি। ক্রেতাদের হাঁক-ডাক শেষে ১৩ হাজার টাকায় দুধ কিনে নেন স্থানীয় এক যুবক।

আজ শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার কাস্তুল ইউনিয়নের ব্রহ্মপাড়া এলাকায়।

জানা যায়, শুক্রবার সকালে উপজেলার কাস্তুল ইউনিয়নের ব্রহ্মপাড়া আল-হোসাইনিয়া জামে মসজিদে ১ লিটার দুধ দান করেন এক কৃষক। সেই দুধ জুমার নামাজের আগে নিলামে উঠায় মসজিদ পরিচালনা কমিটি। দুধ কিনতে প্রথমে ২০০ টাকা দাম হাঁকেন এক মুসল্লি।

পরে আরও ৪-৫ জন মুসল্লি শুরু করেন দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা। শেষে ১২ হাজার টাকা দাম হাঁকেন মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ ইদ্রিস মিয়া। সেই দাম ছাড়িয়ে ১৩ হাজার টাকায় দুধ কেনেন ফ্রিল্যান্সার মনিরুজ্জামান দুর্জয়। পরে তিনি ওই দুধ একজন গরিব মানুষকে দান করেন।

এ বিষয়ে আল-হোসাইনিয়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা নজরুল ইসলাম জহুরী বলেন, ভালো কাজে প্রতিযোগিতার নির্দেশ রয়েছে। মসজিদের জিনিসপত্র কিনে নেওয়ায় আল্লাহ বরকত মেলে। বেশি নেকের জন্য মানুষ মসজিদের জিনিস ক্রয় করে। তা ছাড়া, এ নিলামের অর্থ ব্যয় করা হবে মসজিদ উন্নয়নের কাজে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

গাংনীতে কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ত্রিশালে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোয় চলাচল: ‘মানুষ মরলেও বিরিজ করার খবর নাই’

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি  
ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে গ্রামবাসীদের চলাচল। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে গ্রামবাসীদের চলাচল। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার রামপুর ও কাঁঠাল ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মধ্যে যোগাযোগের একমাত্র ভরসা একটি বাঁশের সাঁকো। উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত পাগারিয়া নদীর ওপর সাঁকোটি বানানো হয়েছে। প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সাঁকো দিয়ে চলাচল করেন। বাঁশের এ সাঁকো পার হতে গিয়ে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটলেও সেখানে নির্মিত হয়নি কোনো স্থায়ী সেতু।

উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কাকচর উত্তরপাড়া গ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত পাগারিয়া নদীর ওপর তৈরি বাঁশের সাঁকোটি ব্যবহার করেন কাকচর, দরিল্লা, কাঁঠাল তেতুলিয়াপাড়া, বালিয়ারপাড় ও কানিহারী ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। জাহেদের ঘাট নামে পরিচিত জায়গায় নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা পাশের কাঁঠাল ইউনিয়নের তেতুলিয়াপাড়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে।

জানা গেছে, প্রায় পাঁচ বছর আগে কাকচর গ্রামের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী দুখুনি সাঁকো থেকে পা পিছলে নদীতে পড়ে মারা যায়। দুখুনি ছিল ওই গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে। ঘটনাটি স্মরণ করে গ্রামের বয়োবৃদ্ধ আমিরুল হক বলেন, ‘ইস্কুল যাইতে গিয়া সাওক্কা (সাঁকো) থেইক্যা পইড়া মাইয়াটা মরল। এরপর পরিবারডাও গেরাম ছারল। মেলা পোলাপান ইস্কুল যাইবার গিয়া পইড়া গিয়া হাত-পা ভাঙে। নেতা-ফেতাগরে কত কইলাম আমরা, একটা বিরিজ (ব্রিজ) কইরা দেন, কিন্তু কেউ দিল না। মানুষ মরলেও বিরিজ করার খবর নাই।’

বাঁশের সাঁকোর পাশেই নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আফজাল হোসেনের বাড়ি। গত বছর স্কুল থেকে ফেরার পথে সাঁকো থেকে পড়ে তার হাত ভেঙে যায়। আফজালের বাবা দুলাল মিয়া বলেন, ‘খালি আমার ছেলে না, প্রায়ই পোলাপান পড়ে গিয়া হাত-পা ভাঙে। একটা সেতু অইলে আর এমন কষ্ট করতে হইত না।’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাঁশের সাঁকোটি দিয়ে রামপুর, কাঁঠাল ও কানিহারী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষ চলাচল করে। কৃষক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ মালামাল নিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পার হয়। নদীর এক পাড়ের জমি অন্য পাড়ে থাকায় ফসল আনা-নেওয়ার একমাত্র পথও এই সাঁকো।

স্থানীয় কলেজশিক্ষার্থী সারওয়ার হোসেন বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কাছে হওয়ায় আমরা স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা প্রতিদিন এই সাঁকো পার হই। মাঝেমধ্যে সাঁকো ভেঙে যায়, কিন্তু বিকল্প কোনো পথ নাই।’

কাকচর গ্রামের আজিজুল হক বলেন, গ্রামের চারটি ওয়ার্ডসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ চরম ভোগান্তিতে আছেন। বয়স্ক ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। অনেকবার অভিযোগ করলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

স্থানীয় কৃষক মানিক মিয়া বলেন, ‘আমার দুই সন্তান প্রতিদিন এই সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যায়। বৃষ্টির সময় সাঁকো পিচ্ছিল হয়ে পড়ে, তখন আরও ভয় লাগে।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আলিম উদ্দিন বলেন, এই সাঁকো দিয়ে কয়েক গ্রামের শত শত মানুষ চলাচল করে। এখানে একটি কংক্রিটের ব্রিজ হওয়া খুবই জরুরি। সাঁকো থেকে পড়ে এক শিশু মারা যাওয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আপেল মাহমুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরে জানিয়েছি। তারা লোক পাঠিয়ে মাপজোখও করেছেন। কিন্তু কেন এখনো কাজ শুরু হয়নি, তা জানি না। আমি শিগগির তাদের সঙ্গে আবারও কথা বলব।’

ত্রিশাল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদ উল্লাহ বলেন, নদীর এক পাশে রাস্তা থাকলেও অপর পাশে নেই। চেয়ারম্যানকে রাস্তা নির্মাণের জন্য বলা হয়েছে। রাস্তার ব্যবস্থা হলে সেতু করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

ত্রিশাল উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) যুবায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি সম্পর্কে এখনো অবগত নই। তবে এখানে যদি ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রাথমিকভাবে জরিপ করা হয়ে থাকে বা ডিপিপি তে অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে, তবে অনুমোদন সাপেক্ষে স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

গাংনীতে কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কেরানীগঞ্জে ফোম কারখানায় আগুন, ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি
ঢাকার কেরানীগঞ্জে কমফোর্ট ফোম কারখানায় আগুন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকার কেরানীগঞ্জে কমফোর্ট ফোম কারখানায় আগুন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকার কেরানীগঞ্জে কমফোর্ট ফোম কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার বেলা ১টার দিকে নতুন সোনাকান্দা আদর্শ পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুনে কারখানার তিনটি শেড, একটি প্রাইভেট কার, একটি পিকআপসহ মূল্যবান মেশিন ও আসবাবপত্র পুড়ে যায়। এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানির ম্যানেজার মামুন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নামাজের সময় কারখানার পাশে একই মালিকের আরও একটি শেড নির্মাণের কাজ চলছিল। এ সময় ওয়েল্ডিং মেশিনের আগুনের গোলা কারখানার পাশে পড়ে থাকা ফোমের ডাস্টবিনে গিয়ে পড়ে, সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রথমে শ্রমিক ও স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান, কিন্তু পাশে ফোমের গুদাম থাকায় মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

ঢাকার কেরানীগঞ্জে কমফোর্ট ফোম কারখানায় আগুন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকার কেরানীগঞ্জে কমফোর্ট ফোম কারখানায় আগুন। ছবি: আজকের পত্রিকা

একপর্যায়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পৌঁছানোর আগেই পুরো কারখানা পুড়ে যায়। তবে ফায়ার সার্ভিস সময়মতো আসায় পাশের একটি কেমিক্যাল কারখানা ও একটি মসজিদ আগুন থেকে রক্ষা পায়।

জানতে চাইলে কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আনোয়ার হোসেন জানান, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা-পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ৩০ মিনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। মালিকপক্ষের দাবি অনুযায়ী প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তবে তদন্ত শেষে সঠিক পরিমাণ জানা যাবে।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল হক ডাবলু ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, পুলিশের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তদন্ত শেষে অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

গাংনীতে কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত