Ajker Patrika

এনজিওর নামে গ্রাহকদের ২০ কোটি টাকা নিয়ে দুবাই পালানোর চেষ্টা

নওগাঁ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯: ৪৩
এনজিওর নামে গ্রাহকদের ২০ কোটি টাকা নিয়ে দুবাই পালানোর চেষ্টা

নওগাঁয় এনজিও খুলে প্রতারণার অভিযোগে মো. আব্দুর রাজ্জাক (৪৩) নামে এক ব্যক্তিসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। তিনি ডলফিন সেভিংস অ্যান্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি খুলে গ্রাহকদের প্রায় ২০ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ছিলেন। আব্দুর রাজ্জাক টাকাগুলো নিয়ে দুবাইগামী বিমানে দেশের বাইরে যাওয়া পরিকল্পনা করছিলেন।

আজ রোববার দুপুরে নওগাঁ সার্কিট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‍্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।

এর আগে গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার তারাব বাসস্ট্যান্ড এবং নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন-নওগাঁর ফতেহপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আব্দুর রাজ্জাক (৪৩), তাঁর স্ত্রী মোছা সুমি বেগম (৩২), মো. রিপন (১৮), মো. পিয়ার আলী (৪০), শিল্পী বেগম (৩৫) ও আতোয়ার রহমান আতা (৬০)।

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, র‍্যাব জানতে পারে আব্দুর রাজ্জাক ২০১৩ সালে ফতেপুর বাজারে ডলফিন নামে একটি সংস্থা গড়ে তোলেন। এরপর গ্রামের সহজ সরল মানুষকে প্রতিমাসে এনজিও থেকে অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ২০ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করেন। তাঁদের প্রলোভনে ওই এনজিওেতে এলাকার অনেকেই বড় অঙ্কের টাকা আমানত করেন। প্রথম তিন মাস গ্রাহকেরা জমানো টাকার মুনাফা পেলেও পরবর্তীতে মুনাফা বন্ধ হয়ে যায়।

মুনীম ফেরদৌস আরও বলেন, এরপর গ্রাহকের আমানত নিয়ে হঠাৎ করেই সংস্থাটির পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক অফিসে তালা ঝুলিয়ে তিনশোর বেশি গ্রাহকের ২০ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হন। খবর পেয়ে র‍্যাব-৫ এবং র‍্যাব-১১ এর গোয়েন্দা দল তাদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। একপর্যায়ে গোপন সংবাদে নারায়ণগঞ্জ থেকে আব্দুর রাজ্জাককে আটক করা হয়। তিনি টাকাগুলো নিয়ে দুবাইগামী বিমানে করে দেশের বাইরে যাওয়া পরিকল্পনা করছিলেন। পরে রাজ্জাকের বোন, স্ত্রী, এনজিওর সভাপতি, ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ারকে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করা হয়।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, আব্দুর রাজ্জাক, শিল্পি বেগম, সুমি আক্তার, এনজিওর সভাপতি পিয়ার আলী, ম্যানেজার মো. আতোয়ার রহমান আতা এবং ক্যাশিয়ার মো. রিপন হোসেন এলাকার জনসাধারণের কাছ থেকে ১ লাখ টাকায় ২ হাজার টাকা লাভ দেওয়ার কথা বলে ওই এনজিওতে ৩০০ জনের বেশি গ্রাহককে সঞ্চয় রাখার ব্যাপারে উৎসাহিত করেছিলেন।

আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুর রাজ্জাক স্বীকার করেন টাকা নিয়ে দুবাই পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নওগাঁ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এরআগে এঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় মামলা করেছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত