নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
সরকারি একটি পুকুরের নাম চাতরাপুকুর। এর নামেই গ্রামের নামকরণ। অপেক্ষাকৃত ছোট আরেকটি খাসপুকুরের নাম তেতোসাল্লা। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় এই দুটি সরকারি পুকুরই তিন বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয়েছে একটি মৎস্যজীবী সমিতিকে। তবে দুই পুকুরের মাঝের জমির মালিক তিন ভাই মিলে পুকুর দুটি ভরাট করে চলেছেন।
দুই পুকুরের মাঝের জমির মালিক আপন তিন ভাই—হাবিল হোসেন, কাবিল হোসেন ও মজিবর রহমান। তাঁরা ধীরে ধীরে পুকুরপাড়ে মাটি ফেলে নিজেদের জমির পরিধি বাড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ লিজগ্রহীতা ও মৎস্যজীবীদের। এ বিষয়ে প্রশাসনকে জানানো হলেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাঁদের।
পুকুর দুটি গোদাগাড়ী উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ৭৭ নম্বর পারুলিয়া মৌজার ১ নম্বর খাসখতিয়ানভুক্ত। ৩৮৬ নম্বর দাগে একটি পুকুরের আয়তন ১ দশমিক ৪৯ একর। আর ৩৯১ দাগে আরেকটি পুকুরের আয়তন শূন্য দশমিক ৬১ একর।
চাতরাপুকুর গ্রামের ওই পুকুর দুটি মৎস্যজীবী সমিতির কাছ থেকে নিয়ে মাছ চাষ করছেন আবদুস সামাদ নামের এক ব্যক্তি। স্থানীয়রা বলছেন, সারেংপুর গ্রামের কবির হোসেন নামের এক ব্যক্তি তিন ভাইয়ের হয়ে সবকিছু ‘ম্যানেজ’ করে পুকুর দুটি ভরাটের দায়িত্ব নিয়েছেন।
পুকুর দুটির মাছচাষি আবদুস সামাদ জানান, গত কয়েক দিনে চাতরাপুকুরের এক পাড়ের অন্তত ১০ ফুট করে জায়গায় মাটি ফেলা হয়েছে। আর তেতোসাল্লা পুকুরের তিনপাড় ভরাট করা হচ্ছে। সবদিকেই পুকুরের পানির মধ্যে প্রায় ১০ ফুট করে মাটি ফেলে ভরাট করে ফেলা হয়েছে। এভাবে পুকুর দুটি ভরাট করা হলে মাছ মারা যাবে। এতে তাঁর প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হবে।
গত শনিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠের দুই পাশে দুটি পুকুর। মাঝে তিন ভাইয়ের জমি। মাঝের জমিটির পরিধি বাড়াতে দুই পাশে দুটি পুকুরের পাড়েই মাটিভরাট করা হচ্ছে। ছোট পুকুরটির পূর্ব ও উত্তরপ্রান্তের পাড়েও মাটি ফেলা হচ্ছে।
মাছচাষি আবদুস সামাদ জানান, পুকুর ভরাট হয়ে যাচ্ছে দেখে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তিনি কয়েক দফা ফোন করেন। কিন্তু কর্মকর্তারা গুরুত্ব দেননি। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার তাঁর ভাই আবদুল মাতিন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামসুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানান। তারপরও কয়েক দিন এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
অবশেষে রোববার সকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামসুল ইসলাম একজন তহশিলদারকে পুকুর দুটি পরিদর্শনে পাঠান। কিন্তু তহশিলদার পুকুরের জমি পরিমাপ না করেই ফিরে যান। তিনি চলে যাওয়ার পরই ওই তিন ভাই বাঁশ কাটা শুরু করেন। পানিতে বাঁশ পুঁতে সেখানে মাটি ফেলা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাবিল হোসেন দাবি করেন, পাড় ভেঙে ধীরে ধীরে তাঁদের অনেক জমি পুকুরে নেমে গেছে। যে পরিমাণ জমি নেমেছে, এখনো পুরোটা ‘উদ্ধার’ করতে পারেননি। সে জন্য বাঁশ পুঁতেছেন। আরও ১০ ফুট পর্যন্ত পুকুরের পাড় তাঁরা দখল নিতে চান।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামসুল ইসলাম বলেন, ‘এক ইঞ্চি সরকারি জমিও তাঁরা দখল করতে পারবেন না। আমি তহশিলদারকে পাঠিয়েছিলাম। কী দেখেছেন সেটা এখনো জানি না। আমরা এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেব। খাসপুকুরে মাটি ফেলা হলে মামলা করা হবে।’
সরকারি একটি পুকুরের নাম চাতরাপুকুর। এর নামেই গ্রামের নামকরণ। অপেক্ষাকৃত ছোট আরেকটি খাসপুকুরের নাম তেতোসাল্লা। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় এই দুটি সরকারি পুকুরই তিন বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয়েছে একটি মৎস্যজীবী সমিতিকে। তবে দুই পুকুরের মাঝের জমির মালিক তিন ভাই মিলে পুকুর দুটি ভরাট করে চলেছেন।
দুই পুকুরের মাঝের জমির মালিক আপন তিন ভাই—হাবিল হোসেন, কাবিল হোসেন ও মজিবর রহমান। তাঁরা ধীরে ধীরে পুকুরপাড়ে মাটি ফেলে নিজেদের জমির পরিধি বাড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ লিজগ্রহীতা ও মৎস্যজীবীদের। এ বিষয়ে প্রশাসনকে জানানো হলেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাঁদের।
পুকুর দুটি গোদাগাড়ী উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ৭৭ নম্বর পারুলিয়া মৌজার ১ নম্বর খাসখতিয়ানভুক্ত। ৩৮৬ নম্বর দাগে একটি পুকুরের আয়তন ১ দশমিক ৪৯ একর। আর ৩৯১ দাগে আরেকটি পুকুরের আয়তন শূন্য দশমিক ৬১ একর।
চাতরাপুকুর গ্রামের ওই পুকুর দুটি মৎস্যজীবী সমিতির কাছ থেকে নিয়ে মাছ চাষ করছেন আবদুস সামাদ নামের এক ব্যক্তি। স্থানীয়রা বলছেন, সারেংপুর গ্রামের কবির হোসেন নামের এক ব্যক্তি তিন ভাইয়ের হয়ে সবকিছু ‘ম্যানেজ’ করে পুকুর দুটি ভরাটের দায়িত্ব নিয়েছেন।
পুকুর দুটির মাছচাষি আবদুস সামাদ জানান, গত কয়েক দিনে চাতরাপুকুরের এক পাড়ের অন্তত ১০ ফুট করে জায়গায় মাটি ফেলা হয়েছে। আর তেতোসাল্লা পুকুরের তিনপাড় ভরাট করা হচ্ছে। সবদিকেই পুকুরের পানির মধ্যে প্রায় ১০ ফুট করে মাটি ফেলে ভরাট করে ফেলা হয়েছে। এভাবে পুকুর দুটি ভরাট করা হলে মাছ মারা যাবে। এতে তাঁর প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হবে।
গত শনিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠের দুই পাশে দুটি পুকুর। মাঝে তিন ভাইয়ের জমি। মাঝের জমিটির পরিধি বাড়াতে দুই পাশে দুটি পুকুরের পাড়েই মাটিভরাট করা হচ্ছে। ছোট পুকুরটির পূর্ব ও উত্তরপ্রান্তের পাড়েও মাটি ফেলা হচ্ছে।
মাছচাষি আবদুস সামাদ জানান, পুকুর ভরাট হয়ে যাচ্ছে দেখে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তিনি কয়েক দফা ফোন করেন। কিন্তু কর্মকর্তারা গুরুত্ব দেননি। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার তাঁর ভাই আবদুল মাতিন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামসুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানান। তারপরও কয়েক দিন এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
অবশেষে রোববার সকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামসুল ইসলাম একজন তহশিলদারকে পুকুর দুটি পরিদর্শনে পাঠান। কিন্তু তহশিলদার পুকুরের জমি পরিমাপ না করেই ফিরে যান। তিনি চলে যাওয়ার পরই ওই তিন ভাই বাঁশ কাটা শুরু করেন। পানিতে বাঁশ পুঁতে সেখানে মাটি ফেলা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাবিল হোসেন দাবি করেন, পাড় ভেঙে ধীরে ধীরে তাঁদের অনেক জমি পুকুরে নেমে গেছে। যে পরিমাণ জমি নেমেছে, এখনো পুরোটা ‘উদ্ধার’ করতে পারেননি। সে জন্য বাঁশ পুঁতেছেন। আরও ১০ ফুট পর্যন্ত পুকুরের পাড় তাঁরা দখল নিতে চান।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামসুল ইসলাম বলেন, ‘এক ইঞ্চি সরকারি জমিও তাঁরা দখল করতে পারবেন না। আমি তহশিলদারকে পাঠিয়েছিলাম। কী দেখেছেন সেটা এখনো জানি না। আমরা এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেব। খাসপুকুরে মাটি ফেলা হলে মামলা করা হবে।’
পার্বত্য খাগড়াছড়ির সীমান্তবর্তী পানছড়ির বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে কাটা হচ্ছে পাহাড়। এতে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি চক্র এই পাহাড় কাটায় জড়িত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যার। তবে তীব্র জনবল-সংকটে এখানে চিকিৎসাসেবা পাওয়া দুরূহ। সাতজন চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র একজন। ২৩ চিকিৎসকের জায়গায় রয়েছেন ১০ জন। চিকিৎসকের ঘাটতি মেটাতে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররা
৭ ঘণ্টা আগেনানা সমস্যায় জর্জরিত দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভা। দীর্ঘদিন ধরে পৌর এলাকার রাস্তা ও ড্রেনের নাজুক অবস্থা, নেই পর্যাপ্ত ডাস্টবিন। ফলে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে পৌরবাসীর। নাগরিকদের অভিযোগ, নামে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও বাড়েনি সেবার মান। তাই রাস্তা ও ড্রেনগুলো দ্রুত সংস্ক
৭ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ৫ কোটির বেশি টাকায় নেওয়া শতাধিক প্রকল্পে লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার ও উপজেলা প্রকৌশলী আয়েশা আখতার নিয়ম-বহির্ভূতভাবে প্রকল্প গ্রহণ ও ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে এই অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি আড়াল করতে প্রকল্পের কাগজপত্র
৭ ঘণ্টা আগে