Ajker Patrika

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা

আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ৫ বছরের তুলনায় এবার গাছে কম মুকুল এসেছিল। ফলে উৎপাদন ও বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা কম। চলতি বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা।

সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের আম চাষি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার গত বছর পাঁচ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের আমবাগান ছিল। গাছে মুকুলও এসেছিল, ভালো ফলনও হয়েছিল। কিন্তু দাম ভালো না থাকায় তেমন লাভবান হতে পারিনি। এ বছর গাছে মুকুলই কম। তবুও আশা করছি, যদি দাম ভালো হয় কিছু টাকা পাব। এ মাসেই শেষে বাজারে উঠবে আম।’ 

উপজেলার পুখুরিয়া এলাকার বিপ্লব বিশ্বাস বলেন, ‘১০-১৫ দিন পরই আমার বাগানের লক্ষণভোগ ও ক্ষিরসাপাতসহ বেশ কিছু গুটি জাতের আম বিক্রির উপযোগী হবে। জুনের মাঝামাঝি সময়ে ল্যাংড়া ও শেষের দিকে বাজারে আসবে ফজলি আম। তবে এ বছর সব আমের গাছেই মুকুল কম এসেছিল। ফলে ফলনও কম।’ 

১০-১৫ দিন পরই লক্ষণভোগ ও ক্ষিরসাপাতসহ বেশ কিছু গুটি জাতের আম বিক্রির উপযোগী হবে।শিবগঞ্জ ম্যাঙ্গো প্রোডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিডেটের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খান শামীম বলেন, ‘গত ৫ বছরের তুলনায় এবার প্রায় প্রতিটি গাছে মুকুল কম এসেছিল। ফলে আমের উৎপাদন কম। যদিও এবার আম পাড়ার সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করেনি প্রশাসন। এতে আমরা লাভবান হব। আম পাকলেই বাজার ও আড়তে বিক্রি করতে পারব। উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কানসাট আম বাজার ছাড়াও নওগাঁর সাপাহারে আম বিক্রয় করে থাকি। সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ বিঘা আমবাগান রয়েছে আমার।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, গত বছরের তুলনায় ফলনের লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা কম এবার। গত বছর ৩ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আর এবার নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন। যা দামের হিসেবে প্রায় ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা। এ বছর আম পাড়ার কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। আম পাকলেই চাষিরা বাজারজাত করতে পারবেন। এ জেলায় ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত