Ajker Patrika

স্বামীকে হারাতে ভোটের মাঠে স্ত্রী

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি
স্বামীকে হারাতে ভোটের মাঠে স্ত্রী

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ৩ জন নারী চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে দুজনই তাঁদের স্বামীর বিরুদ্ধে লড়ছেন। ওই দুজন একই ইউনিয়নে তাঁদের স্বামীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে সর্বমোট চেয়ারম্যান প্রার্থী ৭১ জন। আগামী ৩১ জানুয়ারি সারিয়াকান্দি উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 

নারী প্রার্থীরা হলেন-চন্দনবাইশা ইউনিয়নের শিল্পী আকতার, ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের লুৎফা বেগম ও সোহানী (নুরজাহান)। 

জানা যায়, শিল্পী আকতার চন্দনবাইশা ইউনিয়নে আনারস প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন-মাহমুদুন নবী (নৌকা), শাহাদত হোসেন দুলাল, আব্দুর রাজ্জাক নয়া মিয়া। 
চন্দনবাইশা  ইউনিয়নের সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ৮ হাজার ৭১ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩ হাজার ৮৩৩ জন ও নারী ভোটার ৪ হাজার ২৩৮ জন। সর্বমোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৯ টি। বুথ সংখ্যা ২৭ টি। এ ইউনিয়নে সংরক্ষিত আসনের সদস্য পদে ১৪ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। 

ভেলাবাড়ী ইউনিয়নে লুৎফা বেগম চশমা প্রতীক নিয়ে ও সোহানী নুরজাহান রজনীগন্ধা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন-গোলাম রব্বানী (নৌকা), শরিফুল ইসলাম, লুৎফুল হায়দার রুমি, আইনুর ইসলাম মণ্ডল, রুবেল উদ্দিন ও আবু বক্কর সিদ্দিক।   

লুৎফা বেগম ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান রুবেল উদ্দিনের স্ত্রী। অপরদিকে, একই ইউনিয়নের মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শরিফুল ইসলামের স্ত্রী সোহানী নুরজাহান। 

ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ১২ হাজার ৫১৩ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ হাজার ১৬৭ জন এবং নারী ভোটার ৬ হাজার ৩৪৬ জন। সর্বমোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৯ টি। বুথ রয়েছে ৪২ টি। এ ইউনিয়নে সংরক্ষিত আসনের সদস্য পদে ১২ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

নির্বাচন নিয়ে শিল্পী আকতার বলেন, এলাকায় আমার ব্যাপক জনপ্রিয়তা আছে। ভোট নিরপেক্ষ হলে আমি বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হব। 

সোহানী নুরজাহান বলেন, আমার স্বামী মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। আমি দেখতে চাই ভোটযুদ্ধে আমার জনপ্রিয়তা বেশি নাকি আমার স্বামীর। ভোটে কারচুপি না হলে আমি বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হব। 

লুৎফা বেগম বলেন, আমার চশমা মার্কার পোস্টার এলাকায় সর্বত্র লাগিয়ে দিয়েছি। তবে গতকাল রোববার আমার স্বামীর সঙ্গে এ বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। আমি এখন আমার স্বামীর আনারস প্রতীকের প্রচারণা চালাচ্ছি। 

এ বিষয়ে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী রুবেল বলেন, আমার স্ত্রী লুৎফা বেগমের সঙ্গে একটি বিষয় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি ছিল। বর্তমানে আমরা এখন সমঝোতা করে এক সঙ্গে কাজ করছি। এলাকায় নৌকা প্রার্থীর প্রতাপে আমার লোকজন বের হতে পারছেন না। ভোট যদি নিরপেক্ষ হয় তাহলে আমি বিপুল ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হব। 

সোহানীর স্বামী শরিফুল ইসলাম বলেন, আমি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছি। আমার স্ত্রী সোহানী পদ্মফুল প্রতীকে নির্বাচন করছে। আশা করছি, সে দু'একদিনের মধ্যেই আমাকে সমর্থন দিয়ে আমার পক্ষে কাজ করবে।  
 
সারিয়াকান্দি নির্বাচন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে আমাদের সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ মোটামুটি ভালো রয়েছে। নির্বাচনের পরিবেশ ভালো থাকায় নারী প্রার্থীরাও অবাধভাবে তাঁদের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত