Ajker Patrika

রাবিতে আবাসিক হলের গেটে তালা লাগালেন ছাত্রলীগের নেত্রী

রাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২৩: ১৫
Thumbnail image

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রহমতুন্নেসা হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না আক্তার তন্বীর বিরুদ্ধে প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে হল গেটে লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা আসলে তালা খুলে দেওয়া হয়। 

আজ শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রহমতুন্নেসা হলে এ ঘটনা ঘটে। 

অন্যদিকে ছাত্রীদের আবাসিক হলে ছাত্র প্রবেশ নিষেধ থাকলেও শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী আসাদুল্লা হিল গালিব ও মেহেদী হাসান মিশুকে ওই হলে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। 

 জানা গেছে, ছাত্রলীগের নেত্রী তামান্না আকতার তন্বী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি। তিনি রহমতুন্নেসা হলের ৪৫৯ নম্বর কক্ষে থাকেন। ছয় মাস আগে তার একাডেমিক পড়াশোনা শেষ হয়েছে। ফলে তার সিটে অন্য ছাত্রীকে আবাসিকতা দেয় হল প্রশাসন। 

তবে সিট ছাড়তে রাজি নন এই নেত্রী। এ নিয়ে একাধিকবার তাকে নোটিশ করেছে হল প্রশাসন। সর্বশেষ গতকাল রাতে তাকে সিট ছাড়ার নির্দেশ দেন প্রাধ্যক্ষ। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করে উল্টো হল গেটে তালা দেন তন্বী। এ সময় অন্যান্য হল ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগের বিষয়ে তামান্না আক্তার তন্বী বলেন, ‘আমি হল ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বে আছি। হলে না থাকলে কর্মীদের কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করব। তাই সংগঠনকে গতিশীল রাখতে হলে থাকার কথা বহুবার প্রাধ্যক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু তিনি ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করতে এসব করছেন। এমনকি হলের জুনিয়র ছাত্রীদের দিয়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিতর্ক ছড়ান তিনি।’

 এ ব্যাপারে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক হাসনা হেনা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে তার একাডেমিক পড়ালেখা শেষ। তারপরেও সে হলে সিট ধরে রেখেছে। এমনকি কক্ষের আলাদা একটি সিটেও কাউকে উঠতে দেয় না। অনেক গরিব মেধাবী শিক্ষার্থী হলে সিট পাচ্ছে না। তাকে বিষয়টি একাধিকবার বলা হলেও সেটা মানে নি। সে পদের বলে হলে থাকতে চায়। ওই ছাত্রী বলে, সে এমফিল করবে কিন্তু এখানে এমফিল শিক্ষার্থীর হলে কোনো সিট নেই। যে কারণে আমরা তাকে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে (শুক্রবার) তন্বী সাধারণ ছাত্রীদের আমার বিরুদ্ধে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছিল। আমি ছাত্রীদের শান্ত রাখার চেষ্টা করেছি। ভিসি স্যার আসলে আলোচনা করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব। এখন মানবিক কারণে সে হলে থাকবে।’ 

ছাত্রলীগ নেতাদের হলে প্রবেশের বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ বলেন, ‘মেহেদী হাসান মিশু আমার ছেলের বন্ধু এবং আসাদুল্লা হিল গালিবের স্ত্রী এই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিল সেই সম্পর্ক থেকে তাদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য তাদের হলে প্রবেশ করতে দিয়েছি।’ 

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা আসাদুল্লা হিল-গালিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রাধ্যক্ষ ম্যামই আমাদের হলে প্রবেশ করতে বলেছিল। আর ম্যাম হয়তো ভুল করে স্ত্রীর কথাটি বলেছেন। আমার তো স্ত্রী নাই। তবে রহমতুন্নেসা হলে আমার বোন থাকত।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত