Ajker Patrika

মহাস্থানগড়ে দুই দিন ধরে চলছে মাজারের দানবাক্সের টাকা গণনা

বগুড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৩, ২০: ৪৮
মহাস্থানগড়ে দুই দিন ধরে চলছে মাজারের দানবাক্সের টাকা গণনা

বগুড়ার মহাস্থানগড়ে হজরত শাহ্ সুলতান মাহমুদ বলখী (রহ.) মাজারের ৯টি সিন্দুকের (দানবাক্স) টাকা গণনা শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল থেকে শুরু করে আজ সোমবার বিকেল পর্যন্ত টাকা গণনা চলছিল। সিন্দুকগুলোতে টাকা ছাড়াও বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া গেছে। গণনা শেষ হতে আজ রাত হয়ে যাবে বলে মাজার কমিটি জানিয়েছে। 

মহাস্থান মাজার কমিটির সভাপতি বগুড়া জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাজী মূয়ীদুর রহমানের তত্ত্বাবধানে গতকাল প্রথম পর্যায়ে ছোট আকারের ৬টি সিন্দুক খোলা হয়। সেখানে মেলে ৮ লাখ ৮৮ হাজার ৩৬৭ টাকা। এরপর আজ খোলা হয় অপর বড় তিনটি সিন্দুক। দুই দিন ধরে ওই সব দানবাক্সের টাকা গণনার কাজ চলে। 

মহাস্থান উচ্চবিদ্যালয়ের ২০ শিক্ষার্থীর পাশাপাশি অগ্রণী ব্যাংক মহাস্থান শাখার ১০ কর্মকর্তা এবং মাজারে কর্মরত ১০ জন কর্মচারী টাকা গণনার কাজে অংশ নেন। এ সময় মাজার কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 
 
মহাস্থান মাজার কমিটি জানায়, মাজারের চারদিকে মোট ৯টি সিন্দুক রয়েছে। এই সিন্দুকগুলোতে মাজার জিয়ারত করতে আসা লোকজনসহ পর্যটক ও দর্শনার্থীরা টাকাপয়সা ও স্বর্ণালংকার দান করেন। মানুষের দানের ওই টাকা মাজার এবং মসজিদের উন্নয়নকাজে ব্যয় করা হয়। সিন্দুকে পাওয়া টাকাগুলো বরাবরের মতোই এবারও মাজারের পাশেই অগ্রণী ব্যাংকে জমা করা হবে। 

মহাস্থান মাজার কমিটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান জানান, মাজার কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিন মাস পরপর সিন্দুকগুলো খোলা হয়। সর্বশেষ গত মার্চ মাসে সিন্দুকগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ২৮ লাখ ৮৪ হাজার ৬৭৭ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তির দান করা স্বর্ণের নাকফুলসহ স্বর্ণালংকার ও কিছু বৈদেশিক মুদ্রাও তখন পাওয়া যায়। আর বৈশাখ মাসের শেষ বৃহস্পতিবার মহাস্থানের মেলার দিন মাজার এলাকায় রাখা অস্থায়ী কয়েকটি দানবাক্সে এক দিনে জমা পড়েছিল ৩ লাখ ৪২ হাজার ৯১২ টাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত