নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুর উপজেলার চংধুপইল ইউনিয়নের সাত বছরের এক মেয়ে শিশুকে একা পেয়ে প্রথমে ধর্ষণ ও পরে হাঁসুয়ার আঘাতে হত্যা করে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর। মৃত্যু নিশ্চিতের পর মরদেহ গুমের উদ্দেশ্যে বস্তায় করে টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে ভরে রাখে কিশোরটি। এক দিন পর ওই শিশুর মরদেহ আবার সেপটিক ট্যাংক থেকে তুলে একটি ধানখেতে ফেলে রাখে ওই কিশোর।
নিখোঁজের আগে ওই শিশু কিশোরটির বাড়িতে আসার বিষয়টি জানাজানি হলে কিশোরের বাবার কাছে ওই কিশোর হত্যার কথা স্বীকার করেন। তখন তার বাবা বস্তাবন্দী মরদেহটি দূরের আরেকটি ধানখেতে ফেলে আসেন।
আজ রোববার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এভাবেই ওই শিশু হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেন জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। এর আগে গতকাল শনিবার রাতে কিশোর ও তার বাবা গ্রেপ্তার করে লালপুর থানার পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাঁসুয়াটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, গত ১৯ অক্টোবর নিহত শিশু ও হত্যাকারী কিশোরসহ বেশ কয়েকজন শিশু পিকনিকের জন্য প্রতিবেশীর বাড়িতে যায়। রান্না শেষে গোসলের জন্য সবাই বাড়ি গেলে ওই কিশোরও তার বাড়িতে চলে যায়। বাড়িতে একা থাকা অবস্থায় ভুক্তভোগী শিশুও সেখানে যায়। এ সময় শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে ওই কিশোর। শিশুটি কান্নাকাটি করলে কিশোর তার গলা চেপে হত্যার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে শিশুটি নিস্তেজ হয়ে পড়লে ধারালো হাঁসুয়ার উল্টোদিক দিয়ে ঘাড়ে আঘাত করে কিশোরটি। এতে শিশুটি মারা যায়।
পুলিশ সুপার বলেন, ভুক্তভোগী শিশুটিকে হত্যার পর তাৎক্ষণিক মরদেহ বাড়ির পরিত্যক্ত টয়লেটে ফেলে দেয় কিশোর। পরদিন ২০ অক্টোবর রাতে টয়লেট থেকে মরদেহ তুলে শিশুটির বাড়ির ৫০০ মিটার দূরে স্থানীয় এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের আমবাগানের পাশের ধানখেতে ফেলে রাখে। পরদিন কিশোরটির বাবা তার কাছে জানতে চান, ওই শিশুর তাঁদের বাড়িতে আসার ঘটনা সত্য কি না। এ সময় বাবার কাছে হত্যা ও মরদেহ রেখে আসার স্থান বলে দেয় ওই কিশোর। পরে বাবা ছেলেকে বাঁচাতে মরদেহভর্তি বস্তাটি সরিয়ে আরেকটু দূরে আরেক ধানখেতে ফেলে আসেন।
লিটন কুমার সাহা আরও বলেন, হত্যার দিন দুপুরে ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা তাকে বাড়িতে মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে বাবা আত্মীয়স্বজনকে জানানোর পাশাপাশি আব্দুলপুর এলাকায় মাইকিং ও রেলস্টেশনে পোস্টারিং করেন। নিখোঁজের চতুর্থ দিনে বাবা জানতে পারেন তাঁর বাড়ির ৭০০ মিটার দূরে একটি জমিতে বস্তাবন্দী অবস্থায় একটি মরদেহ পড়ে আছে। পরে সেখানে গিয়ে মেয়ের অর্ধগলিত মরদেহ শনাক্ত করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জোবায়ের, লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফজলুর রহমান, গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ জালাল উদ্দীনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নাটোরের লালপুর উপজেলার চংধুপইল ইউনিয়নের সাত বছরের এক মেয়ে শিশুকে একা পেয়ে প্রথমে ধর্ষণ ও পরে হাঁসুয়ার আঘাতে হত্যা করে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর। মৃত্যু নিশ্চিতের পর মরদেহ গুমের উদ্দেশ্যে বস্তায় করে টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে ভরে রাখে কিশোরটি। এক দিন পর ওই শিশুর মরদেহ আবার সেপটিক ট্যাংক থেকে তুলে একটি ধানখেতে ফেলে রাখে ওই কিশোর।
নিখোঁজের আগে ওই শিশু কিশোরটির বাড়িতে আসার বিষয়টি জানাজানি হলে কিশোরের বাবার কাছে ওই কিশোর হত্যার কথা স্বীকার করেন। তখন তার বাবা বস্তাবন্দী মরদেহটি দূরের আরেকটি ধানখেতে ফেলে আসেন।
আজ রোববার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এভাবেই ওই শিশু হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেন জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। এর আগে গতকাল শনিবার রাতে কিশোর ও তার বাবা গ্রেপ্তার করে লালপুর থানার পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাঁসুয়াটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, গত ১৯ অক্টোবর নিহত শিশু ও হত্যাকারী কিশোরসহ বেশ কয়েকজন শিশু পিকনিকের জন্য প্রতিবেশীর বাড়িতে যায়। রান্না শেষে গোসলের জন্য সবাই বাড়ি গেলে ওই কিশোরও তার বাড়িতে চলে যায়। বাড়িতে একা থাকা অবস্থায় ভুক্তভোগী শিশুও সেখানে যায়। এ সময় শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে ওই কিশোর। শিশুটি কান্নাকাটি করলে কিশোর তার গলা চেপে হত্যার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে শিশুটি নিস্তেজ হয়ে পড়লে ধারালো হাঁসুয়ার উল্টোদিক দিয়ে ঘাড়ে আঘাত করে কিশোরটি। এতে শিশুটি মারা যায়।
পুলিশ সুপার বলেন, ভুক্তভোগী শিশুটিকে হত্যার পর তাৎক্ষণিক মরদেহ বাড়ির পরিত্যক্ত টয়লেটে ফেলে দেয় কিশোর। পরদিন ২০ অক্টোবর রাতে টয়লেট থেকে মরদেহ তুলে শিশুটির বাড়ির ৫০০ মিটার দূরে স্থানীয় এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের আমবাগানের পাশের ধানখেতে ফেলে রাখে। পরদিন কিশোরটির বাবা তার কাছে জানতে চান, ওই শিশুর তাঁদের বাড়িতে আসার ঘটনা সত্য কি না। এ সময় বাবার কাছে হত্যা ও মরদেহ রেখে আসার স্থান বলে দেয় ওই কিশোর। পরে বাবা ছেলেকে বাঁচাতে মরদেহভর্তি বস্তাটি সরিয়ে আরেকটু দূরে আরেক ধানখেতে ফেলে আসেন।
লিটন কুমার সাহা আরও বলেন, হত্যার দিন দুপুরে ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা তাকে বাড়িতে মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে বাবা আত্মীয়স্বজনকে জানানোর পাশাপাশি আব্দুলপুর এলাকায় মাইকিং ও রেলস্টেশনে পোস্টারিং করেন। নিখোঁজের চতুর্থ দিনে বাবা জানতে পারেন তাঁর বাড়ির ৭০০ মিটার দূরে একটি জমিতে বস্তাবন্দী অবস্থায় একটি মরদেহ পড়ে আছে। পরে সেখানে গিয়ে মেয়ের অর্ধগলিত মরদেহ শনাক্ত করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জোবায়ের, লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফজলুর রহমান, গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ জালাল উদ্দীনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আনিছুর রহমানের পাসপোর্ট স্ক্যান করার পর ইমিগ্রেশন ডেটাবেইসে তাঁর বিরুদ্ধে রংপুর মহানগরের কোতোয়ালি থানায় একটি মামলার তথ্য পাওয়া যায়। পরে তাঁকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
১ মিনিট আগেরাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে ছুরিকাঘাতে রকি (৩১) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে কামরাঙ্গীরচরের মাতবর বাজার বেড়িবাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২৮ মিনিট আগেচাষিরা সাধারণত রাসায়নিক ব্যবহার করেন না। তবে বাগান কিনে নেওয়া কিছু ব্যবসায়ী অপরিপক্ব আম দ্রুত পাকাতে রাসায়নিক প্রয়োগ করছেন, এতে আমের স্বাদ ও গুণাগুণ নষ্ট হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের হারিজের মোড় থেকে ফরিদপুর গ্রাম পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সড়কটি তিন মিটার প্রশস্ত করে কার্পেটিংয়ের (পিচ ঢালাই) কাজের জন্য চলতি বছরের মার্চে এলজিইডি দরপত্র আহ্বান করে। ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটির কাজ পায় চিরিরবন্দর উপজেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মনতাজ ট্রেডার্স।
১ ঘণ্টা আগে