Ajker Patrika

এএসআইয়ের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া ও তদন্তে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি 
অভিযুক্ত এএসআই মোক্কাস আলী। ছবি: আজকের পত্রিকা
অভিযুক্ত এএসআই মোক্কাস আলী। ছবি: আজকের পত্রিকা

বগুড়ার শেরপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোক্কাস আলীর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও তদন্তে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এক নারী।

অভিযোগকারী মোছা. রুবি আক্তার ঊর্মী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের দড়িমুকুন্দ গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শেরপুর ইউএনও মো. আশিক খান।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি কয়েকজন ব্যক্তি রুবি আক্তারের বোন মোছা. ঊর্মীলা খাতুনের জমি জবরদখল করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ৬ ফেব্রুয়ারি শেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ঊর্মীলা। সেটি তদন্তের দায়িত্ব পান থানার এএসআই মোক্কাস আলী।

তদন্ত করতে গিয়ে তিনি অভিযোগকারীর পরিবারের কাছ থেকে দুই দফায় মোট ২ হাজার টাকা নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এরপর ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে হোয়াটসঅ্যাপে রুবি আক্তারকে ফোন দেন মোক্কাস আলী। অসাবধানতাবশত তিনি ফোন কেটে না দিয়ে রাখেন, যার ফলে রুবি অপর প্রান্তে বিবাদীদের সঙ্গে তাঁর কথোপকথন শুনতে পান। ওই কথোপকথনে এএসআই মোক্কাস আলী বিবাদীদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন এবং তাঁদের পক্ষাবলম্বন করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

রুবি আক্তার বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেলেও এএসআই মোক্কাসের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি আমার বোনের জমি উদ্ধার না করে বরং বিবাদীদের কাছে এক শতক জায়গা বিক্রি করে আপস করার পরামর্শ দিয়েছেন।’

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত এএসআই মোক্কাস আলী। তিনি বলেন, ‘আমি নিয়ম মেনে তদন্ত করছি। আগামী সোমবার দুই পক্ষকে নিয়ে থানায় বৈঠক করার কথা রয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে মোক্কাস আলীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনও মো. আশিক খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভিযোগটি বগুড়ার শেরপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত