Ajker Patrika

তেলের অভাবে ১৭ বছর ধরে চলে না জেনারেটর

প্রতিনিধি, চারঘাট (রাজশাহী)
তেলের অভাবে ১৭ বছর ধরে চলে না জেনারেটর

জ্বালানি তেলের বরাদ্দ না থাকায় রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জেনারেটরটি ১৭ বছর ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। জেনারেটরের ব্যাটারিসহ মূল্যবান যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এদিকে, বিদ্যুৎ চলে গেলে রোগীদের একমাত্র ভরসা মোমবাতি।

চারঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ডিজেল ইঞ্জিনচালিত ৪০ কেভির এই জেনারেটর বরাদ্দ দেয়। এতে ব্যয় হয় ৭ লাখ টাকা। এ ছাড়া বৈদ্যুতিকসামগ্রীসহ মোট ব্যয় হয় প্রায় ১০ লাখ টাকা।

জেনারেটরের ক্ষমতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চারঘাট পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোক্তার হোসেন বলেন, ৪০ কেভির এই জেনারেটরে ২৫-৩০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়।

জেনারেটর স্থাপনের উদ্দেশ্য ছিল লোডশেডিংয়ের সময় ৫০ শয্যার এই হাসপাতালের সব শাখায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। যাতে রোগীদের ওয়ার্ড ও জরুরি অস্ত্রোপচার ব্যাহত না হয়। কিন্তু সরকারিভাবে জ্বালানি তেলের বরাদ্দ না থাকায় বাস্তবে এটি চালানো যাচ্ছে না। ফলে এটি রোগীদের কোনো কাজে আসছে না। এমনকি জেনারেটর চালানোর জন্য লোকবলও নেই। দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় জেনারেটরের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেছে। অন্যান্য যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে যাচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, বিদ্যুৎ না থাকলে রোগীদের দুর্ভোগের চিত্র। বেশির ভাগ শয্যার পাশে দেশলাই ও মোমবাতি রাখা হয়েছে। রোগীরা জানালেন, লোডশেডিংয়ের সময় তাঁদের ওয়ার্ডসহ অন্যান্য বিভাগে ভুতুড়ে অবস্থার সৃষ্টি হয়। তখন মোমবাতি কিংবা মোবাইল ফোনের টর্চের আলো জ্বালান তাঁরা। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আশিকুর রহমান বলেন, ‘জেনারেটরটি শুধু চালু করতে প্রায় ৩০ লিটার ডিজেল প্রয়োজন হয়, যা ব্যয়বহুল। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এত পরিমাণ তেল কেনার কোনো তহবিল নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত