Ajker Patrika

রাজশাহীর ১৭ কেন্দ্রে কোনো ভোট বাতিল হয়নি, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দাবি ভোট সুষ্ঠু হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ২১: ৩৯
রাজশাহীর ১৭ কেন্দ্রে কোনো ভোট বাতিল হয়নি, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দাবি ভোট সুষ্ঠু হয়নি

রাজশাহীতে এবার একটি ভোটও বাতিল হয়নি—এমন কেন্দ্রের সংখ্যা ১৭। জেলার ছয়টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে শুধু রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে একটি ভোটও বাতিল হয়নি এমন ভোটকেন্দ্র নেই। অন্য পাঁচ আসনেই তিন থেকে পাঁচটি করে ভোটকেন্দ্রে একটি ভোটও বাতিল হয়নি। রাজশাহী-১ আসনে সর্বনিম্ন একটি ভোট বাতিল হয়েছে—এ রকম ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা এক। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বলছেন, ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তারাই রুমের দরজা বন্ধ করে নৌকায় সিল মেরেছেন। আবার কোনো কোনো কেন্দ্রে একটি ভোটও বাতিল না করে নৌকার হিসাবে ধরা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি তাই এমন হয়েছে।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রকাশ করা কেন্দ্রভিত্তিক ভোটকেন্দ্রের ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে। সবচেয়ে বেশি পাঁচটি ভোটকেন্দ্রে একটিও ভোট বাতিল হয়নি রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে।

সামান্য ব্যবধানে এ আসনে পরাজিত হওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমান বলেছেন, প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা ভোটের ফল পাল্টে দিয়েছেন। এ জন্য কোনো কোনো কেন্দ্রে একটি ভোটও বাতিল হয়নি। এক ভোটও বাতিল না হওয়া অবিশ্বাস্য। 

ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, রাজশাহী-১ আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ১৫৮টি। এসব কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ১০০টি পর্যন্ত ভোট বাতিল হয়েছে। তবে বিজয়ী নৌকার প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীর নিজ এলাকা তানোরের কিসমত বিল্লি উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রে মাত্র একটি ভোট বাতিল হয়েছে। এ কেন্দ্রে মোট ১ হাজার ২১০ জন ভোটার ভোট দেন। গোদাগাড়ীর দিয়াড় মানিকচক নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বাতিল হয়েছে ৭টি ভোট। এ কেন্দ্রে ভোট দেন ২৬১ জন ভোটার। 

রাজশাহী-২ (সদর) আসনের ১১৩টি কেন্দ্রের মধ্যে তিনটি কেন্দ্রের একটি ভোটও বাতিল হয়নি। কেন্দ্রগুলো হচ্ছে হাতেমখাঁ আজিজর রহমান খলিফা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ মিশন একাডেমি ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৬৩২টি, মসজিদ মিশনে ৭২৯ ও আজিজর রহমান স্কুলে ৪২৭টি ভোট পড়েছে। সদরের অন্য সব কেন্দ্রে কিছু না কিছু ভোট বাতিল হয়েছে। এ আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুর রহমান বাদশা।

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে মোট কেন্দ্র ছিল ১২৯টি। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্রে একটি ভোটও বাতিল হয়নি। কেন্দ্র তিনটি হলো—জাহানাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরুষ কেন্দ্র, মাটিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বসন্তপুর উচ্চবিদ্যালয়। মাটিকাটায় ভোট পড়েছে ১ হাজার ১৭৫টি। বসন্তপুরে ভোট পড়েছে ১ হাজার ৬৯৯ টি। জাহানাবাদে ভোট পড়েছে ১ হাজার ২৭২টি। এখানে নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ একাই পেয়েছেন ১ হাজার ১৯২টি ভোট। বসন্তপুর কেন্দ্রের ১ হাজার ৬৯৯ ভোটের মধ্যে নৌকা পেয়েছে ১ হাজার ৫৭৮টি। এ ছাড়া মাটিকাটার ১ হাজার ১৭৫টি ভোটের মধ্যে নৌকা পেয়েছে ১ হাজার ৮০টি। এ আসনে বিপুল ভোটে আসাদ বিজয়ী হয়েছেন। 

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনেও শূন্য বাতিল ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা তিন। এখানে মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ১২৩টি। এর মধ্যে উত্তর একডালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরুষ কেন্দ্র, মীরপুর উচ্চবিদ্যালয় ও গোপালপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার নারী কেন্দ্রে একটি ভোটও বাতিল হয়নি। বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ৪ থেকে ১০টি করে ভোট বাতিল হয়েছে এখানে। উত্তর একডালায় ১ হাজার ৪১৪ ভোটের মধ্যে ১ হাজার ৫৭টি, মীরপুরে ১ হাজার ৭৬১ ভোটের মধ্যে ১ হাজার ৬৪টি এবং গোপালপুরে ৯৮৩টি ভোটের মধ্যে ৫৬৮টি নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ পেয়েছেন। তিনি এই নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। 

রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ১৩৩টি। এর মধ্যে পাঁচটি ভোটকেন্দ্রের কোনো ভোট বাতিল হয়নি। কেন্দ্রগুলো হলো—গোলাবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়, হোজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আনুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাওকান্দি উচ্চবিদ্যালয় ও তেঁতুলিয়া উচ্চবিদ্যালয়। 

এর মধ্যে তেঁতুলিয়ার ৮৪১ ভোটের মধ্যে ৪৮৭টি, দাওকান্দির ১ হাজার ৬২৩ ভোটের মধ্যে ৮৬১, আনুলিয়ার ১ হাজার ১০৮টি ভোটের মধ্যে ৬০৭, হোজার ১ হাজার ৩৫০টি ভোটের মধ্যে ৫৩৫টি এবং গোলাবাড়ীর ১ হাজার ৪১১টি ভোটের মধ্যে ৯৫০টি ভোট পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী আবদুল ওয়াদুদ দারা। তিনি সামান্য ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। 

রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ১১৯টি। এর মধ্যে তিনটি ভোটকেন্দ্রে কোনো ভোট বাতিল হয়নি। বেশকিছু কেন্দ্রে ১ থেকে ৭টি করে ভোট বাতিল হয়েছে। কোনো ভোট বাতিল হয়নি লক্ষ্মীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাশের চর কালীদাসখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দাদপুর কওমি মাদ্রাসা কেন্দ্রে। এর মধ্যে দাদপুরে ৮৫৯ ভোটের মধ্যে ৬৮০টি, চর কালীদাসখালীর ৫৯৪ ভোটের মধ্যে ৪৫৭টি এবং লক্ষ্মীনগরের ৫৬৫ ভোটের মধ্যে ৪৭৩টি ভোট পেয়েছেন নৌকার বিজয়ী প্রার্থী শাহরিয়ার আলম। 

রাজশাহী-৬ আসনের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হক বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তারাই রুমের দরজা বন্ধ করে নৌকায় সিল মেরেছেন। আবার কোনো কোনো কেন্দ্রে একটি ভোটও বাতিল না করে নৌকার হিসাবে ধরা হয়েছে। এভাবে নৌকাকে জেতানো হয়েছে। কোনো ভোটকেন্দ্রে যে একটি ভোটও বাতিল হবে না—এটা একেবারে অবিশ্বাস্য। আগে তো দেখতাম ভোট কীভাবে দেওয়া হবে, তার ক্যাম্পেইন হতো। ভোটারদের মনে করিয়ে দেওয়া হতো। এবার সেটাও হয়নি। তাই ভোট যে একটাও বাতিল হবে না, তা অবিশ্বাস্য।’

রাজশাহী-৫ আসনের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমানেরও একই অভিযোগ। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সংস্থা এবং টেলিভিশনের মাধ্যমে দেখেছি যে আমি বিজয়ী। কিন্তু পরে আমাকে তিন হাজার ভোটে পরাজিত দেখানো হয়েছে। এই ফলাফল সঠিক না। আমি ভোট পুনর্গণনার দাবি জানাচ্ছি। আবার ভোট গণনা করা হলে বাতিল ভোট বের হওয়ার পাশাপাশি সঠিক ফলাফল হবে।’ 

রাজশাহী-৪ আসনের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হকেরও দাবি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ভোট পড়ার হার ছিল খুব কম। কেন্দ্রে ভোটারই ছিল না। ৩টার পর বলা হয়েছে ভোট পড়েছে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ। এটা আসলে বানোয়াট। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। এনামুল হক ফল বাতিল করে পুনঃতফসিলের আবেদন জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনে।’ 

তবে রাজশাহীর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হয়নি। একেবারেই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাররা ভোট দিয়েছেন। সঠিক ফল প্রকাশ হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহী বোর্ডে ৮২ হাজার খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণের জন্য প্রায় ৪৩ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। তাঁরা প্রায় ৮২ হাজার খাতা পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেন।

রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ ন ম মোফাখখারুল ইসলাম এই তথ্য জানিয়েছেন।

মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, ‘১৭ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করার সুযোগ ছিল। এই সময়ের মধ্যে প্রায় ৪৩ হাজার শিক্ষার্থী ৮২ হাজারের বেশি খাতা পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছে। ছুটির কারণে সবকিছু দেখা হয়নি। আমরা আজ এটা দেখছি।’

চলতি বছর রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৫৯ দশমিক ৪০ শতাংশ। এ বছর বোর্ডের আওতাধীন ৩৫টি কলেজ থেকে একজন পরীক্ষার্থীও পাস করতে পারেননি। এবার শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসির ফলাফল আগের বছরগুলোর তুলনায় বেশ খারাপ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রিন্টারের ভেতর পাচার হচ্ছিল হেরোইন, রাজশাহীতে গ্রেপ্তার ২

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
জব্দ করা হেরোইন। ছবি: আজকের পত্রিকা
জব্দ করা হেরোইন। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রিন্টারের ভেতর অভিনব কায়দায় লুকিয়ে হেরোইন পাচারের সময় রাজশাহীতে দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরের শিরোইল রেলওয়ে মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।

রোববার (২৬ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার দিয়ারমানিকচক মধ্যপাড়ার বাসিন্দা মো. আসারুল ওরফে রনি (২১) এবং সিরাজগঞ্জের রেল কলোনির বাসিন্দা জাহানারা বেগম (৫০)।

এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬৪০ গ্রাম হেরোইন, একটি নষ্ট প্রিন্টার এবং দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

র‍্যাব-৫, সিপিএসসি রাজশাহীর একটি দল এই অভিযান চালায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আসারুল ও জাহানারা দীর্ঘদিন ধরে হেরোইন পাচার করছিলেন। তাঁরা সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে হেরোইন সংগ্রহ করে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করতেন।

র‍্যাব জানায়, শনিবার জাহানারা বেগম ট্রেনযোগে সিরাজগঞ্জ থেকে রাজশাহী আসেন হেরোইন নেওয়ার জন্য। আসারুলের কাছে থাকা প্রিন্টার নেওয়ার সময় দুজনকে আটক করা হয়। পরে নষ্ট প্রিন্টারটির বক্স তল্লাশি করে টোনারের মধ্যে লুকানো অবস্থায় ৬৪০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ০৭
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ব্যক্তি ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। মেট্রোরেল চলাচলের মুহূর্তে ওপর থেকে একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর মাথায় পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। তবে নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।

তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ডিউটিরত অবস্থায় কাছেই ছিলাম। খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে দেখি, এক ব্যক্তি রাস্তায় মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।’

এদিকে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানিয়েছে, এই ঘটনার কারণে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরো পথে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কখন চালু হবে তা নিশ্চিত করা হয়নি।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড পড়ে এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর উভয় পথেই মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা কাজ করছি। এর বেশি এখন বলা সম্ভব হচ্ছে না।’

এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। এর ফলে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এই ঘটনায় বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হয়। এর মধ্যে দ্বিতীয়বার বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ল।

মেট্রোরেলের লাইনের নিচে উড়ালপথের পিলারের সঙ্গে রাবারের বিয়ারিং প্যাড থাকে। এগুলোর প্রতিটির ওজন ১৪০ বা ১৫০ কেজি। এসব বিয়ারিং প্যাড ছাড়া ট্রেন চালালে উড়ালপথ দেবে যাওয়া কিংবা স্থানচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্য মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমটিসিএল সূত্র।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুর্গাপুর সীমান্ত থেকে মালিকবিহীন ২৬৯ বোতল ফেনসিডিল জব্দ

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
জব্দ করা ফেনসিডিল। ছবি: সংগৃহীত
জব্দ করা ফেনসিডিল। ছবি: সংগৃহীত

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা সীমান্ত থেকে ২৬৯ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল জব্দ করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। জব্দ করা এসব মাদক নেত্রকোনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে জমা দেওয়া হবে। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম কারুজ্জামান।

এর আগে গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে দুর্গাপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ফান্দা নামক এলাকা থেকে এসব মাদক জব্দ করেন বিজিবির সদস্যরা।

বিজ্ঞপ্তিতে ৩১ বিজিবির অধিনায়ক জানান, নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ বারমারী বিওপির (বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট) ছয় সদস্যের একটি বিশেষ টহল দল মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ওই বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ১১৬২ নম্বর হতে আনুমানিক ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ফান্দা নামক এলাকা থেকে টহল দলটি মালিকবিহীন ২৬৯ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল জব্দ করতে সক্ষম হয় বলে জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত