Ajker Patrika

উপদেষ্টার অপেক্ষায় গুদামে রাখা কম্বল বিতরণের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮: ৫৮
গুদামে পড়ে থাকা শীতার্তদের কম্বল। ছবি: সংগৃহীত
গুদামে পড়ে থাকা শীতার্তদের কম্বল। ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার অপেক্ষায় উত্তরাঞ্চলের তিন উপজেলার গুদামে ফেলে রাখা কম্বল বিতরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এর আগে ওই দিন সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকার অনলাইনে ‘শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল, উপদেষ্টার অপেক্ষায় গুদামে বস্তাবন্দী কম্বল’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটি নজরে আসায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে বলে জানান রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়শা সিদ্দিকা।

আয়শা সিদ্দিকা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংবাদ প্রকাশের পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত দিয়েছে। আমি রাতে সিদ্ধান্ত পেয়েছি। কম্বল বিতরণের কাজ চলমান। আজই অনেক কম্বল চলে গিয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি আজকের মধ্যেই পুরো কম্বল বিতরণ করার।’

এর আগে গত ২৪ থেকে ২৯ ডিসেম্বর ভাড়া করা হেলিকপ্টারে চড়ে উত্তরবঙ্গের ১২টি জেলায় কম্বল বিতরণের কথা ছিল উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার। পাঁচ দিনে ২২টি উপজেলায় কম্বল বিতরণের কথা ছিল তাঁর। এ জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদ থেকে প্রত্যেক উপজেলায় ২ হাজার করে কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কম্বল বিতরণও শুরু করেছিলেন তিনি।

কিন্তু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের কারণে সফর সংক্ষিপ্ত করে রংপুর বিভাগ থেকেই ঢাকা ফিরতে হয় উপদেষ্টাকে। ফলে রাজশাহী বিভাগে তাঁর যাওয়া হয়নি। এই বিভাগের ৯টি উপজেলায় কম্বল বিতরণের কথা ছিল।

এর মধ্যে বগুড়ার সোনাতলা, রাজশাহীর পুঠিয়া ও মোহনপুর উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপদেষ্টা ফিরে গেলে একটি কম্বলও বিতরণ করা হয়নি। এই তিন উপজেলার ছয় হাজার কম্বল পড়ে ছিল গুদামে। ইউএনওরা বিষয়টি স্বীকারও করেন। তাঁরা জানান, উপদেষ্টা আবার আসবেন কি না, তা তাঁরা জানেন না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত না পাওয়ার কারণে তাঁরা কম্বল বিতরণ করেননি।

কম্বল বিতরণের অবস্থা জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিভাগ, রাজশাহীর পরিচালক পারভেজ রায়হান বলেন, ‘শুনেছি, কম্বলগুলো স্ট্যান্ড স্টিল রয়েছে। শীত চলে যাচ্ছে। কিন্তু বিষয়টা তো আমার না। কম্বলগুলো সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদের টাকায় কেনা। এ বিষয়ে তারা বলতে পারবে।’

রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মু. রেজা হাসান বলেন, ‘উপদেষ্টা মহোদয় আবার আসবেন কি না, আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। তাই কম্বল বিতরণ করতে বলা হয়নি।’

রেজা হাসান আজ (সোমবার) বলেন, ‘গতকালই আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত পেয়েছি। উপদেষ্টা মহোদয় আসবেন না। কম্বলগুলো বিতরণ করে দিতে বলা হয়েছে। এরপর আমি ইউএনওদের তা জানিয়ে দিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে সব কম্বল বিতরণ করা হয়ে যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকান ভেঙে খাদে পড়ল মাইক্রোবাস

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
রাস্তার পাশে চায়ের দোকান ভেঙে খাদে পড়ে যায় মাইক্রোবাস। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাস্তার পাশে চায়ের দোকান ভেঙে খাদে পড়ে যায় মাইক্রোবাস। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের চায়ের দোকান ভেঙে খাদে পড়েছে। এই ঘটনায় অন্তত আটজন আহত হয়েছে। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের দপদপিয়া জিরো পয়েন্ট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বরিশাল থেকে পটুয়াখালীগামী একটি মাইক্রোবাস দপদপিয়া জিরো পয়েন্ট এলাকায় পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এ সময় সড়কের পাশে দোকানে চা পানরত কয়েকজনকে চাপা দিয়ে মাইক্রোবাসটি খাদে পড়ে যায়। এতে দোকানের ক্রেতা ও মাইক্রোবাসের যাত্রীসহ আটজন আহত হন।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় তিনজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন ভরতকাঠি এলাকার মজিদ হাওলাদার (৬০), মনির হাওলাদার (৪৫) ও হারুন (৬০)। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাইক্রোবাসের চালক সম্ভবত ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, যার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুস ছালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গুরুতর আহত তিনজনকে উদ্ধার করে বরিশালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। মাইক্রোবাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাস্তার পাশে পড়ে ছিল প্রবাসীর লাশ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় সিরাজুল মণ্ডল (২৫) নামের এক প্রবাসীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের পূর্ব চরকৈজুরী এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

সিরাজুল উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মৃত শাহাদৎ মণ্ডলের ছেলে।

মৃত ব্যক্তির ভাই আজিজুল মণ্ডল জানান, সিরাজুল দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। সম্প্রতি দেশে ফেরেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর কেউ একজন তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তিনি আর ফেরেননি। আজ সকালে ফজরের নামাজে যাওয়ার পথে স্থানীয় মুসল্লিরা রাস্তার পাশে তাঁর লাশ দেখতে পান।

শাহজাদপুর থানার ডিউটি কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেটে বিমানের ইঞ্জিনে বোর্ডিং ব্রিজের আঘাত, লন্ডন ফ্লাইট বিলম্ব

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ২১
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বোর্ডিং ব্রিজের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ (এস২-এজেটি) উড়োজাহাজের ইঞ্জিন। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বে-৩ নম্বরে লন্ডনগামী ফ্লাইটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ কারণে উড়োজাহাজটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং নির্ধারিত লন্ডন ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে।

এদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পক্ষ থেকে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিকল্প উড়োজাহাজ প্রস্তুত করা হচ্ছে। পরিস্থিতি ও সম্ভাব্য প্রভাব বিবেচনা করে ফ্লাইট পরিচালনায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, এস২-এজেটি বিমান নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী (বিজি ৩৩৭ ফ্লাইটে এবং এস২-এজেটি বিমান বিজি ১২৫) ফ্লাইটে নিয়োজিত থাকবে। তবে বিজি ৩০৫ (টরন্টো) ফ্লাইট প্রায় ২ ঘণ্টা এবং বিজি ৩৪৭ (দুবাই) ফ্লাইট প্রায় ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট বিলম্বে ছেড়ে যাবে।

বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সময়ানুবর্তিতা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম জানান, বোর্ডিং ব্রিজটি গিয়ে উড়োজাহাজটির ইঞ্জিনের পাশে ধাক্কা লাগে। এতে উড়োজাহাজটি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঢাকা থেকে আরেকটি উড়োজাহাজ সিলেটে পাঠানো হয়েছে। দুপুর আড়াইটায় যাত্রীদের নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।

বোসরা আরও বলেন, উড়োজাহাজটির কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে এবং এই ঘটনার জন্য কারা দায়ী, সে বিষয়ে তদন্ত করার পর বলা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ধানখেতে ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণ গেল শিশুর

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বরগুনার তালতলী উপজেলায় ধানখেতে ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে মো. ইমরান (৮) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের বড় ভাইজোড়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃত ইমরান বড় ভাইজোড়া গ্রামের মো. সোহেল ফকিরের ছেলে। সে হরিণবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত।

স্থানীয় লোকজন জানায়, উপজেলার বড় ভাইজোড়া গ্রামের আবু সালেহ আকন ধান চাষ করেন। তিনি ধানখেতে ইঁদুর মারার জন্য পার্শ্ববর্তী মসজিদ থেকে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ-সংযোগ ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে রাখেন। আজ সকাল ৭টার দিকে ইমরান তার মা রিপা বেগমের সঙ্গে ধানখেতে ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে যায়। ওই সময় ইমরান ধানখেতে পাতা বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে বিদ্যুতায়িত হয়। স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তালতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মাহফুজা আক্তার বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে শিশুটি মারা গেছে।

তালতলী পল্লী বিদ্যুৎ উপ-স্টেশনের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. ইমরান শেখ বলেন, মসজিদ থেকে বিদ্যুৎ-সংযোগ ব্যবহার করে ধানখেতে নেওয়া সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত