নাটোর প্রতিনিধি
নৌকা প্রতীকের ভোটার ছাড়া অন্য কোনো প্রতীকের ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে না আসার হুমকি দিয়েছেন নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ। হুমকির এমন ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।
গতকাল শনিবার রাতে নাটোর সদর উপজেলার তেবাড়িয়া ইউনিয়নের দলীয় মনোনীত প্রার্থী ওমর আলীর প্রচারণা সভায় এসব বক্তব্য দেন মাসুদ। এ সময় তিনি বলেন, 'আগামী ১১ নভেম্বর নৌকার বিরোধীরা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা করতে পারেন। এতে নাটোর সদরের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের ভাবমূর্তিও নষ্ট হতে পারে। তাই তাদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেওয়া যাবে না। অতীতে যারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, যারা ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, তাদের আর ভোট দেওয়ার অধিকার নাই বাংলার মাটিতে। বাংলার মাটিতে ভোট তারাই দেবে যারা ভোট এবং ভাতের অধিকার জানার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে ছিল।'
মাসুদ বলেন, 'আপনাদের মাঝে আমি বলতে চাই নাটোরের আপনাদের আমাদের প্রিয় নেতা শফিকুল ইসলাম শিমুল ম্যাসেজ দিয়েছেন, নৌকার বিরোধীরা ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবে না। ভোট দেওয়া তো দূরের কথা ভোট কেন্দ্রের আশপাশে যেতে পারবে না।'
এ সময় জেলা তাঁতি লীগের সভাপতি মশিউর রহমান ও তেবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বকুল ও স্বতন্ত্রসহ অন্য প্রার্থীর সমর্থকদের কেন্দ্রে না আসার হুমকি দেন। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন নাটোর সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক ডাবলু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আহাদ আলী তেতু এবং নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ওমর আলী প্রধান।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তেবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাইফুল এসবের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘নৌকার সমর্থকেরা শুধু ভোটারদের হুমকি নয়, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন, প্রচারণায় বাঁধা দেওয়াসহ মারধরের হুমকি দিচ্ছেন। আচরণবিধি লঙ্ঘন বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি দলীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘আমিও এর আগে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করেছি। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। আমরা শঙ্কা প্রকাশ করছি, ভোটের দিন আমাদের ভোটাররা কেন্দ্রে যেতে পারবে কি না।’
এই প্রসঙ্গে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজা খাতুন বলেন, ‘আচরণবিধি মনিটরিং আরও জোরদার করা হবে। কোনো প্রার্থী বা তাঁর সমর্থক কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়ার হুমকি দিলেও ভোটের দিন ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়ার পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।’
জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, ‘ভোট কেন্দ্রে যেতে ভোটারদের কেউ যেন কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে তা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে পুলিশ প্রশাসন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ভোটারদের হুমকি বিষয়ে কোনো প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ভোটারদের হুমকি দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নাটোর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, ‘হুমকি বা কোনো ভোটারকে কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়ার এমন অভিযোগ এখনো পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে কথা বলতে মাসুদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
নৌকা প্রতীকের ভোটার ছাড়া অন্য কোনো প্রতীকের ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে না আসার হুমকি দিয়েছেন নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ। হুমকির এমন ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।
গতকাল শনিবার রাতে নাটোর সদর উপজেলার তেবাড়িয়া ইউনিয়নের দলীয় মনোনীত প্রার্থী ওমর আলীর প্রচারণা সভায় এসব বক্তব্য দেন মাসুদ। এ সময় তিনি বলেন, 'আগামী ১১ নভেম্বর নৌকার বিরোধীরা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা করতে পারেন। এতে নাটোর সদরের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের ভাবমূর্তিও নষ্ট হতে পারে। তাই তাদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেওয়া যাবে না। অতীতে যারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, যারা ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, তাদের আর ভোট দেওয়ার অধিকার নাই বাংলার মাটিতে। বাংলার মাটিতে ভোট তারাই দেবে যারা ভোট এবং ভাতের অধিকার জানার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে ছিল।'
মাসুদ বলেন, 'আপনাদের মাঝে আমি বলতে চাই নাটোরের আপনাদের আমাদের প্রিয় নেতা শফিকুল ইসলাম শিমুল ম্যাসেজ দিয়েছেন, নৌকার বিরোধীরা ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবে না। ভোট দেওয়া তো দূরের কথা ভোট কেন্দ্রের আশপাশে যেতে পারবে না।'
এ সময় জেলা তাঁতি লীগের সভাপতি মশিউর রহমান ও তেবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বকুল ও স্বতন্ত্রসহ অন্য প্রার্থীর সমর্থকদের কেন্দ্রে না আসার হুমকি দেন। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন নাটোর সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক ডাবলু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আহাদ আলী তেতু এবং নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ওমর আলী প্রধান।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তেবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাইফুল এসবের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘নৌকার সমর্থকেরা শুধু ভোটারদের হুমকি নয়, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন, প্রচারণায় বাঁধা দেওয়াসহ মারধরের হুমকি দিচ্ছেন। আচরণবিধি লঙ্ঘন বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি দলীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘আমিও এর আগে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করেছি। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। আমরা শঙ্কা প্রকাশ করছি, ভোটের দিন আমাদের ভোটাররা কেন্দ্রে যেতে পারবে কি না।’
এই প্রসঙ্গে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজা খাতুন বলেন, ‘আচরণবিধি মনিটরিং আরও জোরদার করা হবে। কোনো প্রার্থী বা তাঁর সমর্থক কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়ার হুমকি দিলেও ভোটের দিন ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়ার পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।’
জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, ‘ভোট কেন্দ্রে যেতে ভোটারদের কেউ যেন কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে তা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে পুলিশ প্রশাসন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ভোটারদের হুমকি বিষয়ে কোনো প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ভোটারদের হুমকি দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নাটোর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, ‘হুমকি বা কোনো ভোটারকে কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়ার এমন অভিযোগ এখনো পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে কথা বলতে মাসুদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৩ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৪ ঘণ্টা আগে