গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের গুরুদাসপুরে বিয়ের দাবিতে দুই দিন ধরে ইকবাল হোসেন (২২) নামের এক যুবকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন ১৯ বছর বয়সী এক তরুণী। দুই দিন ধরে অনশনে থাকলেও এই ঘটনা সমাধানে সমাজ প্রধান থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি কেউই এখনো এগিয়ে আসেনি। গতকাল রোববার বেলা ৩টার দিকে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বৃগড়িলা এলাকায় অনশনে বসেছেন ওই তরুণী।
ইকবাল হোসেন উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের মহারাজপুর গ্রামের সৈয়দ মণ্ডলের ছেলে। তিনি নাটোরের নবাব সিরাজ উদ-দৌলা সরকারি কলেজের সম্মান প্রথম বর্ষের ছাত্র বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী তরুণী স্থানীয় নাজিরপুর ডিগ্রী কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
স্থানীয়রা বলছে, ওই তরুণী ও যুবকের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে এলাকায় জানাশোনা রয়েছে। তাদের সম্পর্কের ভিত্তিতে স্থানীয় গণ্য-মান্য ও প্রভাবশালী মজিদ মণ্ডল, আব্দুল গণি, মিজান প্রামাণিক, জিয়া প্রামাণিকসহ শতাধিক লোকজন মিলে তাদের বিয়ে দিয়ে ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।
স্থানীয় প্রভাবশালী আব্দুল মজিদ বলেন, ‘কয়েকবার বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। ছেলের পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি মেনে না নেওয়ায় কোনো সুরাহা ছাড়াই সালিস শেষ হয়। অবশেষে দুই দিন ধরে মেয়েটি ইকবালের বাড়ির সামনে অনশন করছে। বিষয়টা অমানবিক হয়ে উঠছে।’
এদিকে অনশনরত তরুণী বলেন, ‘কলেজে পড়ার সময় আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ইকবালের মা আমাকে ‘বউমা’ বলে ডেকে বিয়ে দেওয়া হবে বলে বিভিন্ন জায়গা বেড়াতে যেতে উৎসাহ দিয়েছেন। যার কারণে বিভিন্ন জায়গায় আমি ইকবালের সঙ্গে গিয়েছি। ইকবালও আমাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। আমাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কও হয়েছে। পরবর্তীতে বিয়ের কথা বলতেই বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকে। এ নিয়ে সমাজে দুইবার সালিসও হয়েছে। তাঁরা বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয়। আমি কোনো উপায় না পেয়ে ছেলের বাড়িতে উঠেছি। আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তাই আমাকে বিয়ে করতে হবে। না হলে এখান থেকে আমি যাবনা। আমার মরদেহ যাবে।’
তরুণীর মা আছমা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে দুই দিন ধরে অনশন করছে। আমরা গরিব বলে আমাদের দেখার কেউ নেই। আমাদের যা মান সন্মান তা তো চলে গেছে। এখন আমার দাবি ইকবাল আমার মেয়েকে বিয়ে করে ঘরে তুলুক। এটাই আমার চাওয়া। আমরা গরিব বলে কি আমরা মানুষ নয়? আমি ন্যায্য বিচার চাই। নাজিরপুরের চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। তিনি বলেছেন বসে ঠিক করে দেবেন। এখনো বসার কোনো পরিবেশ হয় নাই! আমি ন্যায় বিচার চাই।’
অপরদিকে অভিযুক্ত ইকবাল ও তাঁর বাবা-মাসহ কেউ বাড়িতে নেই। তারা কোথায় গেছেন সে বিষয়ে আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী কেউ জানেন না বলে জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি অবগত আছি। দুই পক্ষ নিয়ে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মতিন বলেন, ‘এখনো কোনো অভিযোগ পাই নাই। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
নাটোরের গুরুদাসপুরে বিয়ের দাবিতে দুই দিন ধরে ইকবাল হোসেন (২২) নামের এক যুবকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন ১৯ বছর বয়সী এক তরুণী। দুই দিন ধরে অনশনে থাকলেও এই ঘটনা সমাধানে সমাজ প্রধান থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি কেউই এখনো এগিয়ে আসেনি। গতকাল রোববার বেলা ৩টার দিকে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বৃগড়িলা এলাকায় অনশনে বসেছেন ওই তরুণী।
ইকবাল হোসেন উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের মহারাজপুর গ্রামের সৈয়দ মণ্ডলের ছেলে। তিনি নাটোরের নবাব সিরাজ উদ-দৌলা সরকারি কলেজের সম্মান প্রথম বর্ষের ছাত্র বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী তরুণী স্থানীয় নাজিরপুর ডিগ্রী কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
স্থানীয়রা বলছে, ওই তরুণী ও যুবকের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে এলাকায় জানাশোনা রয়েছে। তাদের সম্পর্কের ভিত্তিতে স্থানীয় গণ্য-মান্য ও প্রভাবশালী মজিদ মণ্ডল, আব্দুল গণি, মিজান প্রামাণিক, জিয়া প্রামাণিকসহ শতাধিক লোকজন মিলে তাদের বিয়ে দিয়ে ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।
স্থানীয় প্রভাবশালী আব্দুল মজিদ বলেন, ‘কয়েকবার বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। ছেলের পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি মেনে না নেওয়ায় কোনো সুরাহা ছাড়াই সালিস শেষ হয়। অবশেষে দুই দিন ধরে মেয়েটি ইকবালের বাড়ির সামনে অনশন করছে। বিষয়টা অমানবিক হয়ে উঠছে।’
এদিকে অনশনরত তরুণী বলেন, ‘কলেজে পড়ার সময় আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ইকবালের মা আমাকে ‘বউমা’ বলে ডেকে বিয়ে দেওয়া হবে বলে বিভিন্ন জায়গা বেড়াতে যেতে উৎসাহ দিয়েছেন। যার কারণে বিভিন্ন জায়গায় আমি ইকবালের সঙ্গে গিয়েছি। ইকবালও আমাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। আমাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কও হয়েছে। পরবর্তীতে বিয়ের কথা বলতেই বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকে। এ নিয়ে সমাজে দুইবার সালিসও হয়েছে। তাঁরা বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয়। আমি কোনো উপায় না পেয়ে ছেলের বাড়িতে উঠেছি। আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তাই আমাকে বিয়ে করতে হবে। না হলে এখান থেকে আমি যাবনা। আমার মরদেহ যাবে।’
তরুণীর মা আছমা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে দুই দিন ধরে অনশন করছে। আমরা গরিব বলে আমাদের দেখার কেউ নেই। আমাদের যা মান সন্মান তা তো চলে গেছে। এখন আমার দাবি ইকবাল আমার মেয়েকে বিয়ে করে ঘরে তুলুক। এটাই আমার চাওয়া। আমরা গরিব বলে কি আমরা মানুষ নয়? আমি ন্যায্য বিচার চাই। নাজিরপুরের চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। তিনি বলেছেন বসে ঠিক করে দেবেন। এখনো বসার কোনো পরিবেশ হয় নাই! আমি ন্যায় বিচার চাই।’
অপরদিকে অভিযুক্ত ইকবাল ও তাঁর বাবা-মাসহ কেউ বাড়িতে নেই। তারা কোথায় গেছেন সে বিষয়ে আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী কেউ জানেন না বলে জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি অবগত আছি। দুই পক্ষ নিয়ে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মতিন বলেন, ‘এখনো কোনো অভিযোগ পাই নাই। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বরগুনায় ডিবি পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় দুজনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। শনিবার (৩ মে) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বরগুনার তালতলী উপজেলার পচাকোড়ালিয়া এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
৩১ মিনিট আগেবগুড়ায় মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে কার্যকরী সভাপতি পদপ্রার্থী আনোয়ার হোসেনকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৩ মে) বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে চারমাথা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেস্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ভোলার চরফ্যাশনে জামায়াত নেতার বাড়িতে অনশন করছেন এক তরুণী (২৫)। গতকাল শুক্রবার উপজেলার এওয়াজপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। পরে আজ শনিবার পুলিশের মধ্যস্থতায় তরুণীকে তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেফেনীর ছাগলনাইয়ায় ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মোহাম্মদ বেলাল হোসেন (৫০) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৩ মে) বিকেলে উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের পশ্চিম দেবপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে