নাটোর (লালপুর) প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুরের পদ্মার চরাঞ্চলসহ প্রায় ২৫ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে মাল্টার চাষ শুরু হয়েছে। কয়েক হাজার বিঘা জমিতে শোভা পাচ্ছে সবুজের সমারোহ। ফুলে-ফলে ভরা ফসলের মাঠ কৃষকের মুখে হাসি আর মনে আনন্দ ছড়াচ্ছে। সর্বনাশা পদ্মার ভাঙনে নিঃস্ব কৃষক পরিবারগুলো সুখের স্বপ্ন দেখছে।
লালপুর কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, লালপুরের পদ্মার চরাঞ্চলে ৭ হেক্টরসহ উপজেলার ওয়ালিয়া, চকনাজিরপুরের প্রায় ২৫ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা চাষ হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সত্তরের দশকে উপজেলার পদ্মা তীরবর্তী দুড়দুড়িয়া, বিলমাড়িয়া, লালপুর ও ঈশ্বরদী ইউনিয়নের ১৮টি গ্রাম সর্বনাশা পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এতে হাজারো পরিবার নিঃস্ব হয়ে যায়। আশির দশকে পদ্মার বুকে চর জেগে ওঠা শুরু হয়। চরে বাদামের আবাদ দিয়ে শুরু হয় নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন।
রোববার সরেজমিনে কয়েকটি মাল্টার বাগানে গিয়ে দেখা যায়, গাছে থোকায় থোকায় ঝুলে আছে সবুজ রঙের মাল্টা। বাগান থেকে পাইকারেরা মাল্টা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত মাল্টাচাষিরা।
জানা যায়, উপজেলার নীমতলী, লালপুর, দিয়ার শংকরপুর, নওসারা সুলতানপুর, আরাজি বকনাই, সেকেন্দারপুর, চাকলা বিনোদপুর, রসুলপুর, মোহরকয়ার আংশিকসহ সব চরেই আবাদ হচ্ছে। এসব চরে মুলা, কুমড়া, গাজর, টমেটো, কপি, পুঁইশাক, লালশাক, ঢ্যাঁড়স, ধুইমী, করলা, পটোল, বেগুন, কলা, আখ, বাদাম, ধান, গম, সরিষা, মোটর, মসুর, পাট, মাল্টা, আম, পেয়ারা, বরই, বেদানা ও পানের চাষ হচ্ছে। উৎপাদিত পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি হচ্ছে।
নওপাড়া গ্রামের মাল্টাচাষি নাহিদ হোসেন (৩৫) বলেন, তিন বছর আগে যশোর থেকে চারা এনে মাল্টার চাষ শুরু করেন। নিজের তিন বিঘা জমিতে মাল্টা চাষ করেছেন। এ ছাড়া বেদানা, বারোমাসি আম, পেয়ারা, কলাসহ সব ধরনের সবজি চাষ করেন তিনি।
পানসিপাড়ার কৃষক মজনু ও মুকুল বলেন, ২০ বিঘা করে মাল্টা চাষ করেছেন। নাটোর হর্টিকালচার থেকে বারী-১ জাতের মাল্টার চারা কিনে চাষ শুরু করেন। বিঘাপ্রতি বছরে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। তেমন রোগবালাইহীন মাল্টাগাছে দুই বছরে ফুল ও ফল আসতে শুরু করে। এ পর্যন্ত লাখ টাকার ওপরে মাল্টা বিক্রি করেছেন। মাল্টার চাহিদাও বাজারে ভালো হওয়ায় লাভবান হবেন। তাঁদের দেখে অনেকে মাল্টা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম জানান, পদ্মা নদীর চরে সব ধরনের ফল-ফসলের চাষ হচ্ছে। চরাঞ্চল ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বারী-১ জাতের মাল্টার বাগান গড়ে উঠেছে, যা নাটোর জেলার মধ্যে সর্বাধিক।
লালপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, অনুকূল আবহাওয়া উপজেলায় মাল্টা চাষে সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। কম খরচে মাল্টা চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে কৃষক পর্যায়ে মাল্টা চাষের প্রদর্শনী, সার, স্প্রে মেশিনসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। কৃষক পর্যায়ে লেবুজাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় কৃষক-কৃষানি প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে লেবু ও মাল্টা চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
নাটোরের লালপুরের পদ্মার চরাঞ্চলসহ প্রায় ২৫ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে মাল্টার চাষ শুরু হয়েছে। কয়েক হাজার বিঘা জমিতে শোভা পাচ্ছে সবুজের সমারোহ। ফুলে-ফলে ভরা ফসলের মাঠ কৃষকের মুখে হাসি আর মনে আনন্দ ছড়াচ্ছে। সর্বনাশা পদ্মার ভাঙনে নিঃস্ব কৃষক পরিবারগুলো সুখের স্বপ্ন দেখছে।
লালপুর কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, লালপুরের পদ্মার চরাঞ্চলে ৭ হেক্টরসহ উপজেলার ওয়ালিয়া, চকনাজিরপুরের প্রায় ২৫ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা চাষ হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সত্তরের দশকে উপজেলার পদ্মা তীরবর্তী দুড়দুড়িয়া, বিলমাড়িয়া, লালপুর ও ঈশ্বরদী ইউনিয়নের ১৮টি গ্রাম সর্বনাশা পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এতে হাজারো পরিবার নিঃস্ব হয়ে যায়। আশির দশকে পদ্মার বুকে চর জেগে ওঠা শুরু হয়। চরে বাদামের আবাদ দিয়ে শুরু হয় নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন।
রোববার সরেজমিনে কয়েকটি মাল্টার বাগানে গিয়ে দেখা যায়, গাছে থোকায় থোকায় ঝুলে আছে সবুজ রঙের মাল্টা। বাগান থেকে পাইকারেরা মাল্টা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত মাল্টাচাষিরা।
জানা যায়, উপজেলার নীমতলী, লালপুর, দিয়ার শংকরপুর, নওসারা সুলতানপুর, আরাজি বকনাই, সেকেন্দারপুর, চাকলা বিনোদপুর, রসুলপুর, মোহরকয়ার আংশিকসহ সব চরেই আবাদ হচ্ছে। এসব চরে মুলা, কুমড়া, গাজর, টমেটো, কপি, পুঁইশাক, লালশাক, ঢ্যাঁড়স, ধুইমী, করলা, পটোল, বেগুন, কলা, আখ, বাদাম, ধান, গম, সরিষা, মোটর, মসুর, পাট, মাল্টা, আম, পেয়ারা, বরই, বেদানা ও পানের চাষ হচ্ছে। উৎপাদিত পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি হচ্ছে।
নওপাড়া গ্রামের মাল্টাচাষি নাহিদ হোসেন (৩৫) বলেন, তিন বছর আগে যশোর থেকে চারা এনে মাল্টার চাষ শুরু করেন। নিজের তিন বিঘা জমিতে মাল্টা চাষ করেছেন। এ ছাড়া বেদানা, বারোমাসি আম, পেয়ারা, কলাসহ সব ধরনের সবজি চাষ করেন তিনি।
পানসিপাড়ার কৃষক মজনু ও মুকুল বলেন, ২০ বিঘা করে মাল্টা চাষ করেছেন। নাটোর হর্টিকালচার থেকে বারী-১ জাতের মাল্টার চারা কিনে চাষ শুরু করেন। বিঘাপ্রতি বছরে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। তেমন রোগবালাইহীন মাল্টাগাছে দুই বছরে ফুল ও ফল আসতে শুরু করে। এ পর্যন্ত লাখ টাকার ওপরে মাল্টা বিক্রি করেছেন। মাল্টার চাহিদাও বাজারে ভালো হওয়ায় লাভবান হবেন। তাঁদের দেখে অনেকে মাল্টা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম জানান, পদ্মা নদীর চরে সব ধরনের ফল-ফসলের চাষ হচ্ছে। চরাঞ্চল ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বারী-১ জাতের মাল্টার বাগান গড়ে উঠেছে, যা নাটোর জেলার মধ্যে সর্বাধিক।
লালপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, অনুকূল আবহাওয়া উপজেলায় মাল্টা চাষে সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। কম খরচে মাল্টা চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে কৃষক পর্যায়ে মাল্টা চাষের প্রদর্শনী, সার, স্প্রে মেশিনসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। কৃষক পর্যায়ে লেবুজাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় কৃষক-কৃষানি প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে লেবু ও মাল্টা চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
আসমা বলেন, ‘মাংসের দাম বেশি। তাই সরা বছর গরুর মাংস কেনার সামর্থ্য হয় না। আমরাও মানুষ। আমাদেরও খেতে ইচ্ছে করে। তাই এক টুকরো মাংসের আশায় ঈদের দিনে ব্যাগ নিয়ে শহরে এসেছি।’
২২ মিনিট আগেসারিয়াকান্দিতে দাদা বাড়ি ঈদ করতে এসে পুকুরে ডুবে আদুরী আক্তার (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরের দিকে উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ছাগলধরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেমোর্শেদুর রহমান কামাল বলেন, ‘আজকে ঈদের দিন। সবাই আনন্দ করতাছে। আর আমি আমার পরিবার ও প্রতিবেশী লোকজন নিয়া পুকুর থেকে মরা মাছ তুলতেছি। আমার জানা মতে তো কোনো শত্রু নেই। তাইলে কেডা আমার এই ক্ষতিটা করল। দুই পুকুরে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ ছিল আমার। সব মইরা শেষ। ১৫ বছরের জমানো পুঁজি সব শেষ।
১ ঘণ্টা আগেপ্রায় ২৫ বছর আগে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ভারতে পাচার হন খুলনার রূপসা উপজেলার কিলো গ্রামের আনোয়ারা গাজী (৪৫)। বয়স তখন মাত্র ২০ বছর। অবশেষে ২৫ বছর পর তিনি ফিরলেন নিজ মাতৃভূমিতে।
২ ঘণ্টা আগে