নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ছাত্রীকাণ্ডে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হেদায়েত উল্লাহ ও অভিযুক্ত ছাত্রীকে স্থায়ী বহিষ্কারসহ পাঁচ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একই বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী। আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্ত ছাত্রী-শিক্ষককে বহিষ্কার; চাঁদা গ্রহণকারী চার শিক্ষার্থীর স্থায়ী বহিষ্কার; হেদায়েত উল্লাহর ফলাফল জালিয়াতির সুষ্ঠু তদন্ত ও যথাযথ বিচার; হেদায়েত উল্লাহ পাসের বিনিময়ে শিক্ষার্থীকে একজন শিক্ষককে হত্যার প্ররোচনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার এবং হেদায়েত উল্লাহ পর্দা করা ছাত্রীদের একাডেমিক ও মানসিক নির্যাতনের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানানো হয়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘সহযোগী অধ্যাপক হেদায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে আগে থেকেই মানসিক হেনস্তাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। যার মধ্যে কয়েকটি ঘটনা বিভাগে জানানোর পরও আমরা আশানুরূপ কোনো ফল পাইনি। ফলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা নানা ধরনের মানসিক নির্যাতনের মধ্য দিয়ে তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করেন।’
তাঁরা বলেন, ‘এত কিছুর পরও কোনো প্রকার শাস্তি না হওয়ায় তাঁর অপরাধ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর ও বিভাগের সভাপতির কাছে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।’
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষককে বিভাগীয় কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। অপরদিকে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে সাবেক সমন্বয়ক, দুই সাংবাদিকসহ চার শিক্ষার্থীর নামে মামলা করেছেন ওই শিক্ষক।
গতকাল মঙ্গলবার নগরীর মতিহার থানায় এ মামলা করেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক বলেন, গতকাল দুপুরের পর মামলাটি করা হয়েছে। এখন তদন্তাধীন রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা হলেন–আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের শিক্ষার্থী সিরাজুল ইসলাম সুমন, আইবিএ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আতাউল্ল্যাহ এবং ইতিহাস বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন সজীব।
দুই সাংবাদিকের একজন দৈনিক কালবেলা ও অপরজন দৈনিক খবরের কাগজের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি। তবে অভিযোগ ওঠার পর প্রতিষ্ঠান থেকেও তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দুজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (রাবিসাস) সদস্য ছিলেন। এ সংগঠন থেকেও তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মতিহার থানায় করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১১ মে বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের এমবিএর ছাত্রী মারিয়া খাতুন পড়াশোনার বিষয়ে দেখা করতে ওই শিক্ষকের চেম্বারে যান। একপর্যায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা কক্ষে ঢুকে গালিগালাজ ও ওই ছাত্রীকে শারীরিক হেনস্তা করেন।
একপর্যায়ে তাঁরা ভিডিও করতে থাকেন এবং ওই ছাত্রীকে মারতে আসেন, ধর্ষণের হুমকি দেন। পরে ঘটনাস্থলে শিক্ষকের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। সেই সঙ্গে চাঁদা না দিলে ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেন।
আমি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনের এটিএম বুথ থেকে এক লাখ টাকা তুলে সিরাজুল ইসলাম সুমনের হাতে দিই এবং নাজমুস সাকিব আরও চার লাখ টাকা পেলে ভিডিও ডিলিট করার কথা বলেন।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, ‘১২ মে সকালে সুমন হোয়াটসঅ্যাপে বাকি চার লাখ টাকা দেওয়ার জন্য বলে। একই দিন বেলা দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র ভবনের তৃতীয় তলায় আমাকে পশ্চিম পাশে ডেকে নিয়ে টাকা দেওয়ার কথা বলে।
উল্লেখ্য, আতাউল্ল্যাহ ও সাজ্জাদ সে সময় আইনে বিভাগের গেটে অবস্থান করে আমাকে সাকিব ও সুমনের কাছে ইশারায় টাকা দিতে বলে। আমি আমার ৩০৭ নম্বর কক্ষ থেকে সাকিব ও সুমনের কাছে দুই লাখ টাকা দিই। এ-সম্পর্কিত কলরেকর্ড আমার কাছে আছে। সুমন আমাকে জানায় যে, ১৮ মে বাকি দুই লাখ টাকা দিতে হবে এবং তাদের ইন্ধনদাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ফ্যাকালটির একজন শিক্ষক এই ঘটনার ও আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত।
বাকি টাকা দিলে ওই শিক্ষকের নাম প্রকাশ করবে বলে জানায়। পরে ১৪ মে রাতে সামাজিকমাধ্যমে ভিডিও বিকৃতভাবে প্রকাশ করে আমাকে ও আমার ছাত্রীকে সামাজিকভাবে হেনস্তা করে।’
ছাত্রীকাণ্ডে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হেদায়েত উল্লাহ ও অভিযুক্ত ছাত্রীকে স্থায়ী বহিষ্কারসহ পাঁচ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একই বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী। আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্ত ছাত্রী-শিক্ষককে বহিষ্কার; চাঁদা গ্রহণকারী চার শিক্ষার্থীর স্থায়ী বহিষ্কার; হেদায়েত উল্লাহর ফলাফল জালিয়াতির সুষ্ঠু তদন্ত ও যথাযথ বিচার; হেদায়েত উল্লাহ পাসের বিনিময়ে শিক্ষার্থীকে একজন শিক্ষককে হত্যার প্ররোচনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার এবং হেদায়েত উল্লাহ পর্দা করা ছাত্রীদের একাডেমিক ও মানসিক নির্যাতনের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানানো হয়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘সহযোগী অধ্যাপক হেদায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে আগে থেকেই মানসিক হেনস্তাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। যার মধ্যে কয়েকটি ঘটনা বিভাগে জানানোর পরও আমরা আশানুরূপ কোনো ফল পাইনি। ফলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা নানা ধরনের মানসিক নির্যাতনের মধ্য দিয়ে তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করেন।’
তাঁরা বলেন, ‘এত কিছুর পরও কোনো প্রকার শাস্তি না হওয়ায় তাঁর অপরাধ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর ও বিভাগের সভাপতির কাছে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।’
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষককে বিভাগীয় কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। অপরদিকে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে সাবেক সমন্বয়ক, দুই সাংবাদিকসহ চার শিক্ষার্থীর নামে মামলা করেছেন ওই শিক্ষক।
গতকাল মঙ্গলবার নগরীর মতিহার থানায় এ মামলা করেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক বলেন, গতকাল দুপুরের পর মামলাটি করা হয়েছে। এখন তদন্তাধীন রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা হলেন–আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের শিক্ষার্থী সিরাজুল ইসলাম সুমন, আইবিএ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আতাউল্ল্যাহ এবং ইতিহাস বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন সজীব।
দুই সাংবাদিকের একজন দৈনিক কালবেলা ও অপরজন দৈনিক খবরের কাগজের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি। তবে অভিযোগ ওঠার পর প্রতিষ্ঠান থেকেও তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দুজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (রাবিসাস) সদস্য ছিলেন। এ সংগঠন থেকেও তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মতিহার থানায় করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১১ মে বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের এমবিএর ছাত্রী মারিয়া খাতুন পড়াশোনার বিষয়ে দেখা করতে ওই শিক্ষকের চেম্বারে যান। একপর্যায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা কক্ষে ঢুকে গালিগালাজ ও ওই ছাত্রীকে শারীরিক হেনস্তা করেন।
একপর্যায়ে তাঁরা ভিডিও করতে থাকেন এবং ওই ছাত্রীকে মারতে আসেন, ধর্ষণের হুমকি দেন। পরে ঘটনাস্থলে শিক্ষকের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। সেই সঙ্গে চাঁদা না দিলে ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেন।
আমি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনের এটিএম বুথ থেকে এক লাখ টাকা তুলে সিরাজুল ইসলাম সুমনের হাতে দিই এবং নাজমুস সাকিব আরও চার লাখ টাকা পেলে ভিডিও ডিলিট করার কথা বলেন।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, ‘১২ মে সকালে সুমন হোয়াটসঅ্যাপে বাকি চার লাখ টাকা দেওয়ার জন্য বলে। একই দিন বেলা দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র ভবনের তৃতীয় তলায় আমাকে পশ্চিম পাশে ডেকে নিয়ে টাকা দেওয়ার কথা বলে।
উল্লেখ্য, আতাউল্ল্যাহ ও সাজ্জাদ সে সময় আইনে বিভাগের গেটে অবস্থান করে আমাকে সাকিব ও সুমনের কাছে ইশারায় টাকা দিতে বলে। আমি আমার ৩০৭ নম্বর কক্ষ থেকে সাকিব ও সুমনের কাছে দুই লাখ টাকা দিই। এ-সম্পর্কিত কলরেকর্ড আমার কাছে আছে। সুমন আমাকে জানায় যে, ১৮ মে বাকি দুই লাখ টাকা দিতে হবে এবং তাদের ইন্ধনদাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ফ্যাকালটির একজন শিক্ষক এই ঘটনার ও আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত।
বাকি টাকা দিলে ওই শিক্ষকের নাম প্রকাশ করবে বলে জানায়। পরে ১৪ মে রাতে সামাজিকমাধ্যমে ভিডিও বিকৃতভাবে প্রকাশ করে আমাকে ও আমার ছাত্রীকে সামাজিকভাবে হেনস্তা করে।’
৬ সেপ্টেম্বর রাতে চরপুঁটিমারী ইউনিয়নের আগ্রাখালী আকন্দপাড়া গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে এবং ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা আইয়ুব আলী বাদী হয়ে ইসলামপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় সাবেক ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলালের ছোট ভাই এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মোরশেদুর রহমান মাসুম খানসহ ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
৭ মিনিট আগেগোপালগঞ্জে এবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশস্থলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ হামলার জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে সমাবেশে উপস্থিত থাকা এনসিপির নেতা-কর্মীরা...
১১ মিনিট আগেকোটালীপাড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, "আমরা সড়ক অবরোধ ঠেকাতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাঁরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। যেহেতু আমাদের পর্যাপ্ত ফোর্স নেই, তাই এখনই প্রতিরোধে গেলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির আশঙ্কা রয়েছে। তবে তাঁরা আপাতত
২৮ মিনিট আগে“আমরা দুই বোন ও এক ভাই। বাবা শ্রমিকের কাজ করে আমাদের পাঁচ সদস্যের পরিবারের ভরণ-পোষণ করতেন। মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেশী বিল্লাল গাজীর কৃষি জমিতে কাজ করতে বাড়ি থেকে বের হন। রাতে বাড়ি না ফেরায় আমরা খোঁজাখুঁজি শুরু করি। রাত ১০টা ১৫ মিনিটে বাড়ির পাশের একটি কৃষি মাঠে বাবার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি।
৩২ মিনিট আগে