রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের এমপি আয়েন উদ্দিনের নামে ভুয়া আধা-সরকারি (ডিও) চিঠি দিয়ে ট্রেনের টিকিট জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি ধরা পড়ার পর এ ব্যাপারে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কে বা কারা এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত তা জানতে তদন্ত কমিটি করা হবে।
রেল সূত্রে জানায়, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের গ্রেড-২-এর পার্সেল সহকারী ও রেলওয়ে শ্রমিক লীগের ওপেন লাইন শাখার সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী এই ভুয়া ডিও লেটার কাউন্টারের বুকিং সহকারীর কাছে দেন। বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য আজ মঙ্গলবার তাঁকে ফোন কল করা হলে সাড়া দেননি।
রেলওয়ের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, গত রোববার রাত ১১টার দিকে আকতার আলী স্টেশনের বুকিং সহকারী ফয়সাল কবিরের কাছে ডিও লেটারটি দিয়ে যান। এমপির প্যাডে ওই ডিওতে লেখা ছিল, পরিবার নিয়ে এমপি ঢাকা যাবেন। তাই একটি ডাবল কেবিনের টিকিট বরাদ্দ দেওয়ার জন্য তিনি জোর সুপারিশ করেছেন। এতে এমপির স্বাক্ষর ও সিলও ছিল।
এই ডিও পাওয়ার পর রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের প্রধান বুকিং সহকারী আবদুল মোমিন গত সোমবার রাতের ঢাকা-রাজশাহী রুটের ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনের ‘ক’ বগির ৭,৮, ৯ ও ১০ নম্বর আসনের ডবল কেবিনের টিকিট বরাদ্দ করেন। এসব টিকিট রাখা হয় আবদুর রশিদ নামের আরেক বুকিং সহকারীর কাছে। সোমবার রাতে যাত্রার আগে এক ব্যক্তি ওই টিকিট নিতে কাউন্টারে আসেন। এ সময় রেল শ্রমিক নেতা আকতার বুকিং সহকারী আবদুর রশিদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে ওই টিকিটগুলো দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
এরপর এমপি আয়েন উদ্দিন পরিবার নিয়ে আসছেন বলে স্টেশনে প্রস্তুতি রাখা হয়। ভালোভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয় কেবিনটি। উপস্থিত থাকেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদারও। কিন্তু দেখা যায়, যাত্রা শুরুর আগেও এমপি আসছেন না।
এরই মধ্যে প্রধান বুকিং সহকারী আবদুল মোমিন ফোন করেন এমপির ব্যক্তিগত সহকারী ইকবাল হোসেনকে। এমপির সঙ্গে কথা বলে ইকবাল জানান, আগের দিনই এমপি ঢাকা থেকে ফিরেছেন। আবার যাওয়ার জন্য তিনি কোনো ডিও দেননি। এটি ভুয়া। এর মধ্যে ট্রেনের যাত্রা শুরুর সময় হলে দেখা যায়, ওই কেবিনে গিয়ে উঠছেন তিন ব্যক্তি।
ওই তিন যাত্রীর মধ্যে ছিলেন—মোহনপুরের কেশরহাট পৌরসভার মেয়র মো. শহিদুজ্জামান ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য শফিকুল ইসলাম। মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার তাঁদের এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু ওই ডিওর ব্যাপারে তাঁরা কোনো সদুত্তর দেননি।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মেয়র মো. শহিদুজ্জামানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জবাব দেননি। জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, ওই কেবিনে তিনি ঢাকা গিয়েছেন। কিন্তু টিকিট কীভাবে বরাদ্দ হয়েছে তা জানেন না। ভুয়া ডিও লেটারের বিষয়েও তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।
এ ব্যাপারে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‘ডিও লেটারটা ছিল ফলস। আমরা এটা তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যারা ভ্রমণ করেছেন, তাঁদের ফোন নম্বরও রেখেছি। তাঁদের বলেছি, ডাকা হলে যেন তাঁরা আসেন। তারা আসতে চেয়েছেন।’ তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পশ্চিম রেলের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের এমপি আয়েন উদ্দিনের নামে ভুয়া আধা-সরকারি (ডিও) চিঠি দিয়ে ট্রেনের টিকিট জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি ধরা পড়ার পর এ ব্যাপারে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কে বা কারা এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত তা জানতে তদন্ত কমিটি করা হবে।
রেল সূত্রে জানায়, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের গ্রেড-২-এর পার্সেল সহকারী ও রেলওয়ে শ্রমিক লীগের ওপেন লাইন শাখার সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী এই ভুয়া ডিও লেটার কাউন্টারের বুকিং সহকারীর কাছে দেন। বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য আজ মঙ্গলবার তাঁকে ফোন কল করা হলে সাড়া দেননি।
রেলওয়ের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, গত রোববার রাত ১১টার দিকে আকতার আলী স্টেশনের বুকিং সহকারী ফয়সাল কবিরের কাছে ডিও লেটারটি দিয়ে যান। এমপির প্যাডে ওই ডিওতে লেখা ছিল, পরিবার নিয়ে এমপি ঢাকা যাবেন। তাই একটি ডাবল কেবিনের টিকিট বরাদ্দ দেওয়ার জন্য তিনি জোর সুপারিশ করেছেন। এতে এমপির স্বাক্ষর ও সিলও ছিল।
এই ডিও পাওয়ার পর রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের প্রধান বুকিং সহকারী আবদুল মোমিন গত সোমবার রাতের ঢাকা-রাজশাহী রুটের ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনের ‘ক’ বগির ৭,৮, ৯ ও ১০ নম্বর আসনের ডবল কেবিনের টিকিট বরাদ্দ করেন। এসব টিকিট রাখা হয় আবদুর রশিদ নামের আরেক বুকিং সহকারীর কাছে। সোমবার রাতে যাত্রার আগে এক ব্যক্তি ওই টিকিট নিতে কাউন্টারে আসেন। এ সময় রেল শ্রমিক নেতা আকতার বুকিং সহকারী আবদুর রশিদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে ওই টিকিটগুলো দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
এরপর এমপি আয়েন উদ্দিন পরিবার নিয়ে আসছেন বলে স্টেশনে প্রস্তুতি রাখা হয়। ভালোভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয় কেবিনটি। উপস্থিত থাকেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদারও। কিন্তু দেখা যায়, যাত্রা শুরুর আগেও এমপি আসছেন না।
এরই মধ্যে প্রধান বুকিং সহকারী আবদুল মোমিন ফোন করেন এমপির ব্যক্তিগত সহকারী ইকবাল হোসেনকে। এমপির সঙ্গে কথা বলে ইকবাল জানান, আগের দিনই এমপি ঢাকা থেকে ফিরেছেন। আবার যাওয়ার জন্য তিনি কোনো ডিও দেননি। এটি ভুয়া। এর মধ্যে ট্রেনের যাত্রা শুরুর সময় হলে দেখা যায়, ওই কেবিনে গিয়ে উঠছেন তিন ব্যক্তি।
ওই তিন যাত্রীর মধ্যে ছিলেন—মোহনপুরের কেশরহাট পৌরসভার মেয়র মো. শহিদুজ্জামান ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য শফিকুল ইসলাম। মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার তাঁদের এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু ওই ডিওর ব্যাপারে তাঁরা কোনো সদুত্তর দেননি।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মেয়র মো. শহিদুজ্জামানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জবাব দেননি। জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, ওই কেবিনে তিনি ঢাকা গিয়েছেন। কিন্তু টিকিট কীভাবে বরাদ্দ হয়েছে তা জানেন না। ভুয়া ডিও লেটারের বিষয়েও তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।
এ ব্যাপারে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‘ডিও লেটারটা ছিল ফলস। আমরা এটা তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যারা ভ্রমণ করেছেন, তাঁদের ফোন নম্বরও রেখেছি। তাঁদের বলেছি, ডাকা হলে যেন তাঁরা আসেন। তারা আসতে চেয়েছেন।’ তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পশ্চিম রেলের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।
যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানা। এই মোড় থেকে শহরের চারদিকে চারটি সড়ক বিভিন্ন দিকে গেছে। এই মোড়েই একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বসানো রয়েছে তিনটি সিসি ক্যামেরা। তবে তিনটিই নষ্ট। কোনোটির সংযোগের তারই ছেঁড়া, কোনোটি নিচের দিকে বাঁকানো। অথচ অপরাধপ্রবণতা কমাতে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বাড়াতে...
৩৬ মিনিট আগেচার মাস ধরে ওষুধ সরবরাহ নেই ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোয়। চলছে শুধু রক্তচাপ পরিমাপ আর পরামর্শ দেওয়ার কার্যক্রম। এতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। তারা এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চায়। সিভিল সার্জন অবশ্য আশার বাণী শুনিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগেতিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও নতুন করে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। ঢেউয়ের আঘাতে নদীতীর, ফসলি জমি ও বসতভিটা ভাঙতে শুরু করেছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিস্তাপারের বাসিন্দারা।
৫ ঘণ্টা আগেসংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জের তিনটি আসনের সীমানা পরিবর্তনের প্রস্তাব এনেছে নির্বাচন কমিশন। এর মাধ্যমে বন্দর থানা এলাকা ভাগাভাগি হয়ে নারায়ণগঞ্জ-৩ এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ সংসদীয় এলাকায় পড়তে যাচ্ছে। এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহী নেতারা। তাঁরা বলছেন, একই এলাকায়
৫ ঘণ্টা আগে